কুড়মি (মাহাত) সম্প্রদায় যাতে আদিবাসী (Schedule Tribe) তালিকায় নথিভূক্ত না হতে পারে তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে
স্মারকলিপি জমা দিল ফেডারেশন অফ আদিবাসী অরগানাইজেশন (Federation of Adibasi
Organization)
৮৭ বছর আগে নাকি আদিবাসী গোষ্ঠীভুক্ত ছিল। অর্থাৎ ১৯৩১ সাল পর্যন্ত
আদিবাসী ছিল বলে দাবী। কেন আদিবাসী তকমা টা চলে গেছে তাঁর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
কুড়মিদের ভাষা,
কৃষ্টি, কালচার, ধর্ম সবই সাধারন হয়ে গেছে। রাজনৈতিক চেতনা অনেক বেশি। সাধারনের সঙ্গে শিক্ষা
দীক্ষায়,
অর্থনীতি, ব্যবসায় সাধারনের সঙ্গে
টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা করার, চ্যালেঞ্জ জানানোর
ক্ষমতায় পৌঁছেছে। সেই জাতির আবার কি করে জেগেছে মনে আদিবাসী হওয়ার। ভাষা বাঁচাতে
হবে। সংস্কৃতি বাঁচাতে হবে। ভাষাটার স্বীকৃতি দিতে হবে। ধর্মের স্বীকৃত চাই। তার
জন্য রাজনৈতিক কৌশলে ভোট ব্যাঙ্কের হুশিয়ারী দিয়ে রাজ্যের সরকারকে যা করতে বলা
হচ্ছে, তাতেই বাধ্য হচ্ছে শায় দিতে। কিন্তু এতদিন কোথায় ছিল সেই জাতি? যাদের আদিবাসী বীরদের নাম মুখে আনতে সংকোচ বোধ হয়েছে। লজ্জা অপমান লাগতো। ভারত
রত্ন, আদিবাসী,
অনগ্রসর, দলিতদের রক্ষা কর্তা ড.
আম্বেদকরের নাম মুখে আনতে কুণ্ঠাবোধ হয়। সংকোচে লাগে। যারা ৯ই আগষ্ট বিশ্ব আদিবাসী
দিবসে সামিল হয় না। আদিবাসী উচ্চারন করতে
দিধা বোধ হয় তারা কেমন আদিবাসী। হঠাৎ করে জেগেছে মনে আদিবাসী হতে হবে।
সাধারন প্রার্থী হয়ে,
সাধারন জাতীর গর্বে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। এবার অন্য কৌশল
অবলম্বন করতে হবে। দুর্বল,
অবুজ, সরলদের দলে ঢুকতে হবে।
তাদের ভাগে ভাগ বসাতে হবে। রাজ করতে আদিবাসী হওয়ার আন্দোলন করতে হবে। সরকার কে গদি
উল্টে দেওয়ার হুসিয়ারী দিয়ে আদিবাসী করার চাপ সৃষ্টি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সরকার
চাপে। সন্ত্রস্ত সরকার। সত্যিকারের আদিবাসীরা দিশেহারা হচ্ছে। শুধু তাতেই
নতস্বীকার করছে সরকার। আদিবাসী সংরক্ষন আসন কত ছল চাতুরে করে মূল আদিবাসীদের
বঞ্চিত করে সাধারন প্রার্থী গুলো লুট করছে। সত্যি কারের কাস্ট সার্টিফিকেট
প্রাপকরা মাসের পর মাস সরকারি দরজায় ঘুরে বেডায়। আর সাধারন প্রার্থী রা কোথা থেকে
কোন পথে কাস্ট সার্টিফিকেট জোগাড় করে নেয়। আর সত্যিকারের আদিবাসীদের খাবি খাওয়ায়। কুড়মি নামক সবল, উন্নত জাতি,
যারা হারিয়েছে নিজস্বতা। মিশে গেছে সাধারন স্রোতে। ভাষা, সংস্কৃতি,
লোকাচার বিলিন প্রায়। শিক্ষা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সাধারন প্রার্থী দের টেক্কা, চ্যালেঞ্জ করার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সেই জাতি কি করে আদিবাসী হয়। আর কিসের
স্বার্থে আদিবাসী সিডুলড ট্রাইব হওয়ার আশা
করে। দ্বি-মুখি আন্দোলন হচ্ছে। কুড়মি জাতি যাতে আদিবাসী তালিকায় না আসতে পারে তার
জন্য আদিবাসী সংগঠন গুলো একজোট হয়ে আন্দোলনে নেমেছে। গত ৯ই জানুয়ারী ২০১৮ তারিখে
ফেডারেশন অফ আদিবাসী অরগানাইজেশন কুড়মি (মাহাত) সম্প্রদায় কে আদিবাসী (Schedule Tribe) তালিকায় যুক্ত না করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের
মাননীয় রাজ্যপালের কাছে দাবী জানিয়েছে। কয়েক দিন বাদেই ঝাড়গ্রামে রাজ্যের সাঁওতাল
ছাত্রছাত্রীরা সামিল হচ্ছে কুড়মি সম্প্রদায় কে আদিবাসী তালিকা ভুক্ত রোধে আন্দোলন
শুরু করার জন্য। সম্প্রতি জানা গেছে, রেজিস্টার্ড
জেনারেল অফ ইন্ডিয়া থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যান দফতরের সচিবকে
কেন্দ্রীয় আদিবাসী মন্ত্রকের এক কর্তা চিঠি লিখে জানিয়েছেন কুড়মি জাতির
নৃতাত্ত্বিক রিপোর্ট সঠিক না হওয়ার কারনে আদিবাসী
তালিকা ভুক্ত করার প্রস্তাব ফেরৎ পাঠান হয়েছে। তার সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে
কেন কুড়মি সম্প্রদায় কে কেন আদিবাসী করা হবে ?
সৌজন্য – সারসাগুন পত্রিকা।
অনেক আদিবাসী তো নিজেদের সংস্কৃতি ছেড়ে দিয়ে খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন তাহলে তাদের আদিবাসী থাকবে কেন?
ReplyDeleteতাতে তাদের কি কি উন্নতি হয়েছে যদি একটু বলেন ভালো হয়।
ReplyDeletekono paribar ke nir bonsyo kor te hale tar pratha me tar chele ta ke maarte hoi tai uccho broner manush ra bhabe jodi adibasi der maar te hoi ta hole kudmi jadi ke maar jak
ReplyDeletekudmi der ke st theke dur kare che kintu thader neg niti negachar theke bich chinna kor to pare na
ReplyDeleteapnara kudmi der rajniti dekchen kintu ko ta kudmi paribarer lok mod khacche o koto kudmi nijer ghor chere banglor a pali a chen ta ki apnara kabu dekhechen?
ReplyDelete