Tuesday, January 2, 2018

সাঁওতালি শিক্ষা, সময় চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭।

সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা সংক্রান্ত নানা দাবি সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর সামনে রাখলেন আদিবাসী নেতারা। সময় চেয়ে নিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত শনিবার (৩০/১২/২০১৭) সাঁওতাল আদিবাসীদের সর্বোচ্চ সামাজিক সংগঠন “ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল”-এর সর্বোচ্চ নেতা (দিশম পারগানা) নিত্যানন্দ হেমব্রমের নেতৃত্বে ১০ জনের এক প্রতিনিধি দল কলকাতার নাকতলায় পার্থবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতির উদ্যোগে এই বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ দিন দুপুর ১২ টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত আদিবাসী নেতাদের অভাব অভিযোগ শোনেন পার্থবাবু। শিক্ষা সংক্রান্ত দাবিগুলি পূরণের আশ্বাসও দেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পরে ০২ জানুয়ারি, ২০১৮ থেকে DI অফিস ঘেরাওয়ের পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে “ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল”।  দাবি পূরণ না হলে ২ জানুয়ারি, ২০১৮ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে লাগাতার ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন নিত্যানন্দবাবুরা।
আদিবাসী সংগঠনটির মুখপাত্র রবিন টুডু জানান, এ দিন তাঁরা সাত দফা দাবি পেশ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে, ২০১৮ সালের সাঁওতালি বিভাগের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বাদে অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্নপত্রগুলি সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি লিপিতে করতে হবে। সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুল স্থাপন, এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু সাঁওতালি মাধ্যমের প্রাথমিক, উচ্চ-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের দাবি করা হয়েছে। সাঁওতালি সিলেবাস ভিত্তিক টেক্সট বুক, প্রতিটি স্কুলে আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য পৃথক ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য সাঁওতালি মাধ্যমের চারটি সুসংহত বিদ্যালয় চালু করার দাবিও করা হয়েছে। প্রতিটি সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলে সাঁওতালি ভাষায় লিখতে ও পড়তে জানা স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবি করা হয়েছে। সাঁওতালি মাধ্যমে বিএড কলেজ চালু করারও দাবি জানানো হয়।
রবিনবাবু বলেন, ‘‘কিছুটা সময় চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। আমরা আশাবাদী।”
ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘আদিবাসীরা যে সব দাবির কথা বলেছেন, তার সিংহভাগই সরকারের সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।’’ গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গলমহলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন আদিবাসীরা।
সংবাদ সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, ৩১/১২/২০১৭।

No comments:

Post a Comment