ডিএ পাওয়া সরকারি কর্মীদের অধিকার৷ ডিএ না দেওয়া মানে সংবিধানের ৩০৯ অনুচ্ছেদ
অগ্রাহ্য করা৷ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে
এই দাবিই করলেন আইনজীবী৷ মামলাকারীর আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি পে-কমিশনের ২০০৯
সালের রিপোর্টও তুলে ধরেন৷ বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফ এই
নিয়ে অতীতে কোনও কোর্টের কোনও রায় আছে কিনা, তা-ও জানতে চান৷
গত দিন হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া প্রশ্নমালা অনুযায়ীই বুধবার শুনানি শুরু হয়৷ স্টেট
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল দাবি খারিজ করতে গিয়ে জানিয়েছিল, ডিএ কর্মীদের অধিকার নয়, বরং সরকারের দয়ার দান৷
সেই রায় চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে মামলা করেছেন সরকারি কর্মীরা৷ এ দিন সেই
প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই আইনজীবী সংবিধানের ৩০৯ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করেন৷ ওই অনুচ্ছেদে
বলা হয়েছে,
কর্মচারীদের কাজের নিয়ম-নীতি তৈরির দায়িত্ব সরকারের৷ সেই
অনুযায়ী নিয়ম-নীতির মধ্যেই ডিএ দেওয়ার নিয়মও চালু করেছে সরকারই৷
মামলাকারীদের পক্ষে এক সময়ে আইনজীবী এমনও বলেন, এর পরেও কেউ যদি চেঙ্গিস খান হন, তবে তিনি না-ও
দিতে পারেন! আদালত অবশ্য এই প্রসঙ্গ আর বেশি দূর এগোতে দেয়নি৷ ২০০৯ সালে পে-কমিশন
যে রিপোর্ট দেয়,
তাতেও কর্মীরা সময়মতো ডিএ না পাওয়ায় যে অসন্ত্তষ্ট-সে
সম্পর্কে বলা হয়েছিল৷ রাজ্যকে দ্রুত বকেয়া মেটানোর ব্যবস্থা করতেও পরামর্শ দেওয়া
হয়েছিল রিপোর্টে৷ আজ,
বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে৷
সৌজন্য – এই সময়, ১৮/০১/২০১৮।
No comments:
Post a Comment