পুনরায় সংগঠিত হবার প্রয়াস চালাচ্ছে স্বাধীন ভারতবর্ষে আদিবাসীদের প্রথম রাজনৈতিক
দল ও আদিবাসীদের নিজস্ব ভুমি বা Homeland ঝাড়খণ্ড রাজ্য নির্মাণ আন্দোলনের সূচনাকারী
"ঝাড়খণ্ড পার্টি"।
১৯৪৯ সালে মারাং গমকে জয়পাল সিং মুন্ডার নেতৃত্বে তৎকালীন সময়ে আদিবাসীদের সবথেকে
শক্তিশালী সামাজিক সংগঠন "আদিবাসী মহাসভা "-কে "ঝাড়খণ্ড পার্টি"
রুপে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৫২ সালের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড পার্টি ৪ টি লোকসভা
আসন, বিহার বিধানসভায় ৩৪ টি বিধানসভা আসন জিতে প্রধান বিরোধী দল, উড়িষ্যা বিধানসভায়
৬ টি বিধানসভা আসন যেতে।
কিন্তু ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠন না হওয়ার হতাশায় ও কংগ্রেস নেতাদের প্ররোচনায় পা দিয়ে
জয়পাল সিং ঝাড়খণ্ড পার্টিকে ১৯৬৩ সালে কংগ্রেস দলের সাথে মিশিয়ে দেন।
কিন্তু ঝাড়খণ্ড আন্দোলন স্তব্ধ হয়নি। ১৯৬৭ সালে এন ই হোরোর নেতৃত্বে পুনরায় ঝাড়খণ্ড
পার্টি গঠন করা হয়। এর পর ঝাড়খণ্ড পার্টি ভেঙ্গেই গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড পার্টি ভেঙ্গে একে
একে গঠন হয়েছে সারা ভারত ঝাড়খণ্ড পার্টি, হুল ঝাড়খণ্ড পার্টি, বিহার প্রান্ত হুল ঝাড়খণ্ড
পার্টি, প্রোগ্রেসিভ হুল ঝাড়খণ্ড পার্টি, রাজ্য হুল ঝাড়খণ্ড পার্টি, ঝাড়খণ্ড পার্টি
(হোরো), ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন), ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি, প্রমুখ।
তবে বর্তমানে মাত্র তিন থেকে চারটি গোষ্ঠী সক্রিয়। ঝাড়খণ্ড রাজ্যে প্যারা মুন্ডুর
নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ড পার্টি, এনোস এক্কার নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড পার্টি (এনোস এক্কা) সক্রিয়।
পশ্চিমবাংলায় বর্তমানে আছে চুনিবালা হাঁসদার নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) ও আদিত্য
কিস্কুর নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি।
No comments:
Post a Comment