রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা সংক্রান্ত মামলায় দ্রুত শুনানি করতে
প্রশ্নমালা নির্দিষ্ট করে দিল হাইকোর্ট৷ আজ, বুধবার থেকে সেই
প্রশ্ন অনুযায়ী জবাব দিতে হবে মামলাকারীদের আইনজীবীদের৷ হাইকোর্ট চায় রোজ শুনানি
করে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে৷ মঙ্গলবার কিছু সময় শুনানির পরে মামলাকারীরা
বৃহস্পতিবার পরবর্তী দিন ধার্য করার আবেদন জানালেও বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও
বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, আদালত একটানা শুনানি করে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায়৷
সরকারি কর্মচারীদের দাবি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আদালতের এমন মনোভাব সম্প্রতি
দেখা যায়নি৷ বকেয়া ডিএ এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মোট তিনটি
মামলা হয়েছে৷ রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) ডিএ নিয়ে মামলাকারীদের দাবি
খারিজ করে দিলে মূল মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ
হাইকোর্টে যায়৷ মূল মামলাকারী মলয় মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি এ দিন
বিস্তারিত ভাবে নিজেদের বক্তব্য জানান৷ কিন্তু কোর্ট জানায়, সরকারি কর্মীদের ডিএ পাওয়া আইনি অধিকার কিনা, তা বিচার করবে আদালত৷ কারণ, স্যাট অতীতে এই মামলা
খারিজ করতে গিয়ে ‘ডিএ সরকারের দয়ার দান,
কর্মীদের অধিকার নয়’ বলে মন্তব্য করায়
বিতর্কের ঝড় উঠেছিল৷ সেই রায় চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে আসে কংগ্রেস প্রভাবিত রাজ্য
সরকারি কর্মী ইউনিয়ন৷ একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের ডিএ ‘ফিক্সেশন’
রুল মেনে হয়েছে কিনা, কেন্দ্রের সঙ্গে
রাজ্যের ডিএ-র হারে কতটা ফারাক, আদালত তা-ও দেখবে৷ ডিএ
দেওয়ার মোড অফ পেমেন্ট কী,
বিচার করা হবে তা-ও৷ এই মামলার সঙ্গে রাজ্যের তিন লক্ষ
সরকারি কর্মচারী ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পঞ্চায়েত-পুরসভা
মিলিয়ে ১০ লক্ষের বেশি মানুষের স্বার্থ জড়িত৷ বকেয়া ডিএ দেওয়ার ব্যাপারে কোর্টের
হস্তক্ষেপ চেয়ে নতুন একটি মামলা দায়ের হয়েছে৷ তাতে সওয়াল করবেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন
ভট্টাচার্য৷ আইনজীবী আলির সওয়াল শেষ হলে বিকাশ ও সরকারের তরফে এজি কিশোর দত্ত বলার
পরেই রায় দেবে আদালত৷
সৌজন্য - এই সময়, ১৭/০১/২০১৮।
No comments:
Post a Comment