আমুলের মতো স্বনির্ভর
গোষ্ঠী গড়ে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি আদিবাসী মানুষের আর্থিক মানোন্নয়নের প্রকল্প
হাতে নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। আমুলের ক্ষেত্রে যেমন ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে দুগ্ধ
বিক্রয় করতে স্বনির্ভর গোষ্ঠী সফল ভাবে কাজ করে চলেছে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী সে ভাবেই আদিবাসী মানুষের কাছ থেকে মাইনর ফরেস্ট প্রডিউস বা ক্ষুদ্র
বনজ উদ্ভিদ এবং পণ্য কিনতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছে। এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে
প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামগুলিতে বসবসাকারী পরিবারগুলিকে সংগঠিত করা, তাদের নিয়ে
মূল্য সংযোজন কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং পণ্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণের মতো
গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে এই কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পকে
বাস্তবায়িত করতে স্থানীয় স্তরের জনপ্রতিনিধিদের এবং সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট রাজ্য
সরকারগুলির সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।
তবে মোদী সরকারের এই
পরিকল্পনা নতুন নয়, পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারের আমলেই এ ধরনের কর্মসূচি নেওয়া
হয়েছিল। গত ২০১৩-১৪, অর্থাৎ মনমোহন সিংহ সরকারের শেষের দিকে এই জনমোহিনী কর্মসূচি
গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে
আদিবাসী জনজাতির মানুষের কাছ থেকে বনজ সম্পদ ক্রয় করার ওই কর্মসূচি নিয়ে
দীর্ঘ দিন কোনো উচ্চবাচ্য করা হয়নি। সেই কর্মসূচিকেই নতুন রূপে শুরু করতে চলেছে
বর্তমান এনডিএ সরকার। তাদের লক্ষ্য-এই কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রায় পাঁচ কোটি
আদিবাসী মানুষকে নিয়ে আসা।
ইতিমধ্যেই দেশের নয়টি
রাজ্যকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই রাজ্যগুলি হল ওড়িশা, ছত্তীশগঢ়,
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা।
পরবর্তীতে আর নয়টি রাজ্য সংযোজিত হতে চলেছে। সেগুলি হল কর্ণাটক, মণিপুর,
নাগাল্যান্ড, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসম।
সৌজন্য – খবর Online, January
24, 2018
No comments:
Post a Comment