সমস্যায় যখন কাজ আটকে থাকে, তখন জমি দান করে নজির স্থাপন করলেন কুসুমখোলা গ্রামের
আদিবাসীরা। গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রর নিজস্ব কোনও ঘর ছিল না। একজনের বারান্দায় শিশুদের
খাবার রান্না হত, রোদ–ঝড়–বৃষ্টিতে দেখভাল হত এভাবেই। দান করা জমির পরিমাণ ৩.৩ শতক।
জমি দান করেন, প্রসেনজিৎ ওরাও, রাজেন্দ্র ওরাও, ব্রজেন সর্দার, অধীর রাজবংশী, বৈদ্যনাথ
সরকার। সোমবার জিয়াগঞ্জ রেজিস্ট্রি অফিসে জমি দানের প্রক্রিয়া করা হয়।
জিয়াগঞ্জ থানার প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রাম কুসুমখোলা। প্রায় ২০০ পরিবারের বসবাস।
বেশিরভাগই খেতমজুর। আদিবাসী শিশুদের জন্য সমাজ কল্যাণ দপ্তরের আইসিডিএস–এর অঙ্গনওয়াড়ি
কেন্দ্র এখানে আছে। কিন্তু তা তো পরের বারান্দায়। জেলায় ৮ হাজারেরও বেশি অঙ্গনওয়াড়ি
কেন্দ্র আছে। কিন্তু মাত্র সাড়ে ৩ হাজার কেন্দ্রের রয়েছে নিজস্ব ঘর। আর সব রয়েছে কারও
বারান্দায় বা গাছতলায়। জেলাপ্রশাসন এবছরই ২ হাজার নতুন ঘর করবে। তবে জমির সমস্যা রয়েই
গেছে। এমন অবস্থায় কুসুমখোলার আদিবাসী মানুষেরা এগিয়ে এসে জমি দান করে নজির স্থাপন
করলেন। জমি দানের বিষয়টি যাতে সহজে হয়, সেই কাজটি করার দায়িত্ব নেয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
‘সিনি’।
জমি দান করে খুশি প্রসেনজিৎ, রাজেন্দ্র ওরাওরা। তাঁরা জানালেন, আমাদেরই ছেলেমেয়েরা
আসবে, খাবে, তাদের চিকিৎসা হবে। আমাদের গ্রামের ভাল হবে। এতদিন তো অন্যের বারান্দায়
বসতে হত। আর হবে না। নতুনঘর করে দেবে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘জমি
দানের খবর খুবই আনন্দের। এভাবে যদি জেলার মানুষ এগিয়ে আসেন, অনেক কাজ সহজে করা সম্ভব
হবে।’ কুসুমখোলার মানুষেরাও খুশি, তাদের গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রর নিজের বাড়ি হবে।
No comments:
Post a Comment