September 10,
2017
‘অলচিকি মিশন-২০২৫’কে সফল করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার বারোকনা
সাঁওতাল গ্রামে ভূরকৗঃ ইপিল মহিলা সংঘে’র ১৫জন সদস্যরা অলচিকি
লিপি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। গত ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে
প্রশিক্ষক হিসেবে ‘বাংলাদেশ সৗরি সারনা গাঁওতার’ সদস্য খোকন সুইটেন মুরমু
উপস্থিত ছিলেন। বারোকনা ভূরকৗঃ ইপিল মহিলা সংঘের সভাপতি বাসন্তী মুরমু’র আহ্বানে এবং সংঘের সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় অলচিকি লিপি শেখার এ
প্রশিক্ষণ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বতীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের পঞ্চম থেকে
দশম শ্রেনীর ছাত্রীরা এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন। প্রশিক্ষণে অলচিকি-লিপির উৎপওি
ও বিকাশ,
লিপি-পরিচিতকরণ, ব্যবহারিক এবং
প্রায়োগিক দিক সর্ম্পকে প্রশিক্ষনার্থীদের জানানো হয়। এরপরে অলচিকি-লিপি লেখার
কৌশল হাতে কলমে শেখানো হয় শিক্ষার্থীদেরকে। প্রশিক্ষণার্থীরা মাত্র দু’ঘন্টায় অলচিকি লিপিতে লিখতে সক্ষম হন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী পার্বতীপুর
ঝাড়ুয়া ডাঙ্গা হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী রীতা টুডু বলেন, ‘আমি বাংলা এবং ইংরেজী অক্ষরগুলোর চেয়ে খুব সহজে অলচিকি অক্ষরগুলো শিখতে
পেরেছি।’
একই স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রী হান্না মার্ডী বলেন, ‘অলচিকি লিপিতে আমাদের দৈনন্দিন কাজ-কর্মের ও সংস্কৃতি’র ছাপ আছে। যেটা আমাদেরকে লিপিটি গভীরভাবে শিখতে উদ্বুদ্ধ করেছে।’ বারোকনা ভূরকৗঃ ইপিল মহিলা সংঘের সভাপতি ও আদিবাসী সাংস্কৃতিক পরিষদের
সভানেত্রী বাসন্তী মরমু বলেন - ‘সাঁওতাল সমাজে মেয়েরা
অবহেলিত হলেও বাস্তবে আজ মেয়েরা পরিবারের হাল ধরছে। এ এলাকার সাঁওতাল মেয়েদের
স্কুল-কলেজে অভিগম্যতা ছেলেদের তুলনায় বেশি। প্রতিকূল পরিবেশে মেয়েরা যখন সংগঠিত
হয়ে যখন মেধা-মননে,
সংস্কৃতিতে ও খেলাধূলায় এগিয়ে যাচ্ছে তখন এলাকার যুবকদের
প্রগতিশীল কোন কাজে পাওয়া যায় না। এটা সত্যিই দুঃখের কারন । বারোকনা ভূরকৗঃ ইপিল
মহিলা সংঘের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন - আমরা ভবিষ্যতে পন্ডিত
রঘুনাথ মুরমু পাঠাগার ও নার্সারী স্কুল, শহীদ মাতা ফুলমনি
মুরমু স্পোর্টিং ক্লাব এবং সৗরি-সৗরজম উমুল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করবো। এই
এলাকার সাঁওতাল আদিবাসী সমাজের রক্ষাকবচ হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষতে কাজ করবে।
তাদের এই প্রচেষ্টায় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সৌজন্য – শেকড়ের কণ্ঠ।
Adi napae. lahag tabon pe
ReplyDelete