কলকাতা, ৬
সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
অধিকার হোক বা না-হোক,
সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পেয়ে আসছেন বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা
হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। মঙ্গলবার ডিএ-মামলার শুনানিতে
বিচারপতি মাত্রে বলেন, ‘‘বেতন আর বাজারদরের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে বা বাজারদরের মোকাবিলা
করতে ডিএ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এই ভাতা পাওয়ার আশায় থাকেন সরকারি কর্মীরা।”
রাজ্য কর্মীদের ৫৪% ডিএ
পাওনা হয়েছে। অভিযোগ, বকেয়া মেটাতে লিখিত আবেদন করা সত্ত্বেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।
কর্মী সংগঠনের মামলায় রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) জানিয়ে দেয়, ডিএ দেওয়ার
বিষয়টি রাজ্যের ইচ্ছার উপরে নির্ভরশীল। স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছে
হাইকোর্টে। এ দিন তার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত জানান,
বেতন কমিশন যে-সব সুপারিশ করে, তা মানতে সরকারকে বাধ্য করানো যায় না। ডিএ-র বিষয়টিও
তা-ই। শুনেই বিচারপতি মাত্রে জানান, অধিকার-অনধিকার নয়, ডিএ সরকারি কর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার
বিষয়।
ওই মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছেন
অর্থ দফতরের এক কর্মী। তাঁর কৌঁসুলি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, স্যাটের রায় যথাযথ
নয়। এজি তখন জানান, যিনি মামলায় যুক্ত হতে চান, তিনি স্যাটে মামলা করেননি। সরাসরি তিনি
হাইকোর্টের মামলায় যুক্ত হতে পারেন না। সরকার এই নিয়ে তাদের বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা
দেবে। পরবর্তী শুনানি হবে ১১ সেপ্টেম্বর।
সরকারি কর্মীদের বকেয়া
ডিএ চাওয়ার আইনি অধিকার নেই বলে আগেই হলফনামায় জানিয়েছে রাজ্য। হলফনামায় এটাও জানানো
হয় যে, তিন লক্ষ ৩৩ হাজার কোটিরও বেশি টাকার দেনা আছে রাজ্যের। রাজস্বের দেড় গুণ খরচ
হয়ে যায় কর্মীদের বেতন ও পেনশন দিতে এবং ঋণের সুদ মেটাতে। সব সামলেই নিয়মিত বকেয়া ডিএ
মেটানোর চেষ্টা চলছে।
No comments:
Post a Comment