Thursday, September 21, 2017

হাওড়া জেলার নিশ্চিন্দায় গাড়িতে তুলে আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণ ২ যুবার।


তফসিলি উপজাতি তথা আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক কিশোরীকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল হাওড়া জেলার নিশ্চিন্দায়৷ ওই কিশোরী একটি জেলার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের চেয়ারপার্সনের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে৷ পুলিশ গণধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে৷ মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে৷ অভিযুক্ত দুই যুবক পলাতক৷ তাদের বিরুদ্ধে পক্সো আইন এবং তফসিলি জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বিরোধী আইনের ধারাও দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধেয় ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কোনও কাজে৷ ২ নং জাতীয় সড়কের কাছেই একটি গাড়িতে দুই যুবক এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়৷ নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি না ফেরায় ওই পরিবার খোঁজ শুরু করে৷ রাতে নিশ্চিন্দা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়৷ গভীর রাতে সে বাড়ি ফিরে আসে৷ কিশোরী পরিবারের লোকজনকে গোটা ঘটনাটি জানায়৷ সে আরও জানায়, গাড়িতে দুই যুবক ধর্ষণ করে তাকে ডানকুনির কাছে কোনও এক জায়গায় ফেলে পালায়৷ এরপরই কোনও ভাবে সে বাড়ি ফিরে আসে৷ পুরো ঘটনার কথা লিখিত ভাবে জানিয়ে বাড়ির মালিক নিশ্চিন্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷
বুধবার হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা ছুটে আসেন নিশ্চিন্দায়৷ থানায় তাঁরা দীর্ঘক্ষণ নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন৷ নাবালিকার কথাবার্তায় তাঁরা কিছু অসঙ্গতিও খুঁজে পেয়েছেন৷ থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ ও নাবালিকার বয়ানেও মিল পাওয়া যাচ্ছে না বলে এক তদন্তকারী জানান৷ ওই দুই যুবক মেয়েটির পূর্বপরিচিত কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে৷ পুজোর মুখে সন্ধেবেলায় জাতীয় সড়কে বেশ ভিড় থাকে৷ সেই ভিড়ের মধ্যে দুই যুবক একটি মেয়েকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেল৷ অথচ সে কোনও চিৎকার চেঁচামেচি করল না কেন, প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ৷ আবার বেশি রাতে সে একাই বাড়ি ফিরে এল কেমন করে, সেটাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে৷ এক অফিসার জানান, আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে মেয়েটিকে৷ নিশ্চিন্দা থানায় বসে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (নর্থ) জাফর আজমল কিদোয়াই বলেন, ‘এক নাবালিকাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি৷ তদন্ত শুরু হয়েছে৷ নাবালিকার বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে৷ তদন্ত চলছে৷

No comments:

Post a Comment