লখনৌ
: দু’বেলা খাবার জোগাড় করতে বিস্তর খাটাখাটনি করতে হয়৷ মাথার ঘাম পায়ে পড়ে৷ রোদে
পোড়া চামড়া, খসখসে৷ মাথার চুলে জট, তেলহীন৷ এমন বেহদ্দ চেহারা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর
সামনে আসা যায় না কি ! এমনটাই মনে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর জেলা প্রশাসনের
কর্তাদের৷ তাই গ্রামের তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে সাবান ও শ্যাম্পু
তুলে দেওয়া হয়৷ বলা হয়, সাফসুতরো হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হতে হবে৷ ঘেমো
গন্ধ যেন না ছাড়ে, পরিপাটি থাকে চুল, পোশাকআশাক৷
মুশাহার
সম্প্রদায়ের মানুষেরা খুবই গরিব৷ নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তাই চেহারায় চাকচিক্য কী
করে থাকবে৷ গত শুক্রবার কুশীনগরে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী
আদিত্যনাথ৷ একটি প্রকল্প উদ্বোধনের কর্মসূচি ছিল তাঁর৷ মুখ্যমন্ত্রীর সফরের
কয়েকদিন আগে মুশাহারদের গ্রামে গিয়ে প্রশাসনের তরফে সাবান-শ্যাম্পুর সঙ্গে কাপড়
কাচার গুঁড়ো সাবানও দেওয়া হয়৷ পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরে গ্রামবাসীদের আসতে বলা হয়
মুখ্যমন্ত্রীর সামনে৷ সাবান-শ্যাম্পু হাতে গ্রামবাসীদের ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়৷
ভিডিয়োর জেরে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন আদিত্যনাথ৷ এই ঘটনাকে নিম্নবর্ণের
মানুষদের প্রতি ঠাকুর সম্প্রদায়ের মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাবের প্রতিফল হিসেবে ব্যাখ্যা
করা হচ্ছে৷ কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীকে এ জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছে৷ মুখপাত্র অভিষেক মনু
সিংভির দাবি, ‘প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত যে সব ব্যক্তি এ কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে
তফসিলি জাতি-উপজাতি আইনে অভিযোগ দায়ের করতে হবে৷’ রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান
লালুপ্রসাদ যাদবের মন্তব্য, ‘কোনও যোগী মুখ্যমন্ত্রী হলে এ ধরনের ঘটনাই ঘটবে৷
গরিবদের গ্রামে গেলে তাঁদের লড়াইয়ের কথা মাথায় রাখা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর৷’৷
http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32080&boxid=153510645
No comments:
Post a Comment