ঝাড়গ্রাম
১ জুন, ২০১৭
পড়াশোনার
পাশাপাশি সংসারের প্রয়োজনে গরু চরিয়েছেন। অভাব নিত্যসঙ্গী। তাই জোটেনি গৃহশিক্ষক। ওই
ভাবেই মাধ্যমিকে ৬৩৬ নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ব্লকের
গড়দুয়ারা গ্রামের স্বাধীন মাহাত। তবে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই থামেনি। উচ্চ মাধ্যমিকেও
তাঁর সাফল্যে গর্বিত নয়াগ্রাম বাণী বিদ্যাপীঠের শিক্ষকেরা। গৃহশিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই
৪৪৪ নম্বর পেয়েছেন স্বাধীন।
প্রধান
শিক্ষক বিকাশকুমার মণ্ডলের কথায়, ‘‘দারিদ্র্যই স্বাধীনের প্রধান বাধা। তাই মেধাবী ছাত্রটিকে
স্কুল থেকে সবরকম সাহায্য করা হয়েছে। ফি মকুব থেকে নিখরচায় স্কুলের হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা
করা হয়েছিল। শিক্ষকেরা বইপত্র দিয়ে সাহায্য করেছেন। ও স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে।”
তবে
ছেলের পড়ার খরচ এ বার কী ভাবে জোগাড় হবে তা নিয়ে চিন্তায় মা প্রমীলাদেবী। স্বামীকে
হারিয়েছেন অনেক আগে। দিনমজুরি করে সংসার চলে। স্বাধীনের ইচ্ছা ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে
পড়ার। ছেলের কৃতিত্বে খুশির মধ্যেই প্রমীলাদেবী চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, ‘‘ওকে
কলেজে পড়ানোর সঙ্গতি নেই। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে ও যে এতদূর এগিয়েছে সেটাই পরম প্রাপ্তি।”
হতাশা ঝরে পড়ে স্বাধীনের গলাতেও, ‘‘টাকার অভাবে পড়া বন্ধ হয়ে গেলে হয়তো গরু চরিয়েই
দিন কাটাতে হবে!” স্বাধীনকে সাহায্য করতে চাইলে যোগাযোগ করতে হবে এই নম্বরে ৯৮৩৬৮৯৬১২৩।
http://www.anandabazar.com/district/mednipore/cattleman-swadhin-performed-well-in-hs-1.621361?ref=mednipore-new-stry
No comments:
Post a Comment