ঝাড়গ্রাম
৩১ মে, ২০১৭
হোক
না সরকারি স্কুল। কিন্তু ‘ওরা কিছু পারে না’— এটা শুনতে শুনতেই বড় হয়েছেন। এ বার তাঁরাই
উচ্চ মাধ্যমিকে তাক লাগিয়ে দিলেন সকলকে।
উচ্চ
মাধ্যমিকে সাঁওতালি বিভাগে ৪৩০ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন ঝাড়গ্রাম একলব্য আদর্শ
আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্র উদয় মুর্মু। বাংলা বিভাগের মজিবর সরেন ৪৪৮ পেয়ে স্কুলের সেরা
হয়েছেন। সকলেরই বক্তব্য, বছর দেড়েক আগে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরেই
ভোল বদল হয়েছে স্কুলের।
ঝাড়গ্রামে
আদিবাসীদের এই স্কুল থেকে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন পঞ্চান্ন জন। উত্তীর্ণ
চুয়ান্ন। যাঁদের মধ্যে চল্লিশ জনই ৬০ শতাংশের বেশি পেয়েছেন। উনিশজনের প্রাপ্ত নম্বর
৭৫ শতাংশেরও বেশি। সাত জন পেয়েছেন ৮০ শতাংশেরও বেশি।
রাজ্যের
অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সহায়তায় চলত আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের
এই আবাসিক স্কুল। পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ টাকা ঠিক মতো খরচ হতো না বলে প্রায়ই অভিযোগ
উঠত। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিন কাটাত ছাত্রছাত্রীরা।
২০১৬
সালের জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে স্কুলের ভার নেয় বেলুড়
রামকৃষ্ণ মিশন। মিশনের গণমাধ্যম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী স্বামী শুভকরানন্দ (শান্তনু
মহারাজ) স্কুলের দায়িত্বে আসেন। তারপর থেকেই স্কুলের মান বদলের শুরু। গত বছরেও মাধ্যমিক
ও উচ্চ মাধ্যমিকে এই স্কুলের পড়ুয়ারা ভাল ফল করেন। এখান থেকে বেরিয়ে কয়েকজন নরেন্দ্রপুর
ও বেলুড় কলেজে পড়ছেন। ‘জগদীশ বোস ন্যাশনাল ট্যালেন্ট সার্চ’-এর নোডাল স্কুল হয়েছে
একলব্য।
স্বামী
শুভকরানন্দ বলেন, “সুযোগ পেলে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের একলব্যেরাও যে সব্যসাচী হয়ে উঠতে
পারেন, সেটা উদয়-মজিবররা দেখিয়ে দিলেন।”
http://www.anandabazar.com/state/this-year-tribal-students-made-a-mark-in-higher-secondary-results-2017-1.621074?ref=hm-new-stry
No comments:
Post a Comment