Monday, May 22, 2017

Allegation of serving Govt service using fake ST certificate in Murshidabad. মুর্শিদাবাদে পদবি পালটে সংরক্ষিত পদে চাকরির অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে।

বহরমপুর: মুর্শিদাবাদ জেলায় এফিডেভিটের মাধ্যমে পদবি পালটে এসটি সার্টিফিকেট হাতিয়ে পঞ্চায়েতের সংরক্ষণ পদে চাকরি করছেন এক যুবক। সম্প্রতি একটি আদিবাসী সংগঠন এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। ওই সংগঠনের অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশের মদতে রাজা সাহা নামে ওই যুবক এসটি সার্টিফিকেট হাতিয়ে পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়কপদে চাকরি করছেন। এনিয়ে তদন্তে নেমেছে বহরমপুর মহকুমা প্রশাসন। তারা তদন্ত রিপোর্ট দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। যদিও অভিযুক্ত যুবকের দাবি, তাঁরা এসটি। এক্ষেত্রে তিনি কোনও অনিয়ম করেননি।
আট মাস আগে জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক পদে কর্মী নিয়োগের প্যানেল প্রকাশিত হয়। ওই প্যানেলে রাজা সাহার নাম রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬সালের সেপ্টেম্বর মাসে জলঙ্গি ব্লকের চোয়াপাড়া পঞ্চায়েতের নির্মাণ সাহায়ক পদে যোগ দেন। পদটি এসটিদের জন্য সংরক্ষিত। এর কিছুদিন পর রাজার নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলে মুর্শিদাবাদ ফেডারেশন আদিবাসী অর্গানাইজেশন। অর্গানাইজেশনের সম্পাদক কৌশিক মুর্মু বলেন, সাহা পদবিওয়ালারা কখনই এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত হতে পারে না। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশের মাধ্যমে রাজা এসটি সার্টিফিকেট হাতিয়ে ওই পদে যোগ দিয়েছে। ফলে প্রকৃত এসটি সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীরা সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক তথা জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য প্রথমে অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরকে নির্দেশ দেন জেলাশাসক। সেই দপ্তর বিষয়টি নিয়ে জলঙ্গি বিডিও অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অভিযুক্তের কাস্ট সার্টিফিকেট যাচাই করতে বহরমপুর এসডিও অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জলঙ্গি ব্লক প্রশাসন। কারণ, অভিযুক্তের সার্টিফিকেট বহরমপুর এসডিও অফিস থেকেই ইস্যু হয়েছিল। বহরমপুরের মহকুমা শাসক বলেন, ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে রিপোর্ট মেলার পর যথাযথ পদক্ষেপ নেব।
প্রসঙ্গত, বহরমপুর শহরের খাগড়া নেতাজি রোড এলাকায় রাজা সাহাদের বাড়ি। তাঁর বাবা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী। রাজা বলেন, বাবার স্কুল সার্টিফিকেটে সাহা হয়ে যায়। তাই আমরাও সাহা পদবি ব্যবহার করছি। প্রকৃতপক্ষে আমরা শাও(shaw)আমাদের সাবকাস্ট গনড(Gond)আমার কাকা রাজু শাও এসটি সার্টিফিকেট বের করেছেন। সেই সূত্রে আমিও এসটি সার্টিফিকেট বের করেছি। এজন্য এফিডেভিটের মাধ্যমে সাহা ওরফে শাও করেছি। এর সপক্ষে জমির দলিলও দাখিল করেছি। সেখানে তাও উল্লেখ আছে। কাজেই আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।
সৌজন্য – বর্তমান পত্রিকা, দক্ষিণবঙ্গ পাতা, ২২/০৫/২০১৭ 

No comments:

Post a Comment