Wednesday, May 31, 2017

Niyati Mandi, Priyanka Majhi, Basundhara Bauri and Arup Nandi tensions for higher education despite scoring good result in WB Higher Secondary Exam-2017. দুর্দান্ত ফল করেও দুশ্চিন্তায় নিয়তি মান্ডি, প্রিয়াঙ্কা মাজি, বসুন্ধরা বাউরি ও অরূপ নন্দী।

রঘুনাথপুর ও জয়পুর ১ জুন, ২০১৭

নিয়তি, প্রিয়াঙ্কা, বসুন্ধরা ও অরূপ।
তিন কন্যা। তিন জনই হরিহর আত্মা। দারিদ্রের মধ্যে লড়াই করে তিন জনই দুর্দান্ত ফল করেছে। রঘুনাথপুর ১ ব্লকের মেট্যাল সহর হাইস্কুলের নিয়তি মান্ডি, প্রিয়াঙ্কা মাজি ও বসুন্ধরা বাউরিকে নিয়ে তাই গর্বের শেষ নেই এলাকাবাসীর। সেই সুতোতেই বাঁধা পড়েছে বাঁকুড়ায় জয়পুরের চ্যাংডোবা গ্রামের অরূপ নন্দীও। তাঁতশালে চাদর বুনে চলার ফাঁকে পড়াশোনা করেও যে উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্য পাওয়া যায়, তা সে করে দেখিয়েছে।
৪৩১ নম্বর পাওয়া নিয়তি স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক। পিছিয়ে নেই তার বাকি দুই বন্ধু প্রিয়াঙ্কা (৪২৭) ও বসুন্ধরাও (৪২৩) । মেট্যাল সহর হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘এ বছর স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে আট জন খুব ভাল ফল করেছে। বেশির ভাগই অভাবি পরিবারের। কিন্তু এই তিন ছাত্রীর ফল যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।”
কিন্তু মেয়েদের এই ফল যেন দুশ্চিন্তা বয়ে এনেছে পরিবারে। কারণ নুন আনতে পান্তা ফুরনো এই পরিবারের কাছে কলেজে পড়ার খরচ যে অনেক! কাশীপুর ব্লকের কুমারডি গ্রামে বাড়ি প্রিয়াঙ্কা ও বসুন্ধরার। প্রিয়াঙ্কার বাবা ফাল্গুনী বাউরি দিনমজুর, বসুন্ধরার বাবা রঞ্জিতবাবু মণিহারি সামগ্রী ফেরি করেন। তাঁদের কথায়, ‘‘মেয়েরা ভাল ফল করে কলেজে ভর্তি হতে চাইছে। কিন্তু কলেজে পড়ানোর টাকা কী ভাবে জোগাড় করব, সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না।”
একই অবস্থা কাশীপুর ব্লকেরই পচাগড়া গ্রামের বাসিন্দা নিয়তি মান্ডির বাবা বিশ্বনাথ মান্ডিরও। দিনমজুর বিশ্বনাথবাবু বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়ে স্কুলের সব থেকে বেশি নম্বর পাওয়ায় গর্ব যেমন হচ্ছে, তেমনই আশঙ্কা হচ্ছে এর পর কী ভাবে মেয়েকে কলেজে পড়াব?’’ তবে জেদও আছে তিন কৃতীর পরিবারের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিজেরা আর্থিক ম্যার বেশিদূর পড়তে পারেননি বলে মেয়েদের এখানেই থামিয়ে দিতে তাঁরা নারাজ।
তাই নতুন করে লড়াইয়ের জন্য কোমর বাঁধতে চাইছেন তাঁরা। তিন মেয়েও জানিয়েছে, স্কুলের শিক্ষকেরা যে ভাবে তাঁদের ভাল ফল করার জন্য বরাবর পাশে থেকেছেন, তারাও ভবিষ্যতে শিক্ষকতা করে ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করতে চায়।
তবে উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৬৭ নম্বর পেয়েও অরূপ সামনে কোনও দিশা দেখতে পাচ্ছে না। তার কথায়, ‘‘ইতিহাস নিয়ে পড়ব ভেবেছিলাম। কিন্তু তাঁত না বুনলে ভাত জোটে না আমাদের। পড়াশোনা তো সেখানে বিলাসিতা।’’
তাঁদের চাষের জন্য জমি নেই। নিজস্ব বাড়িও নেই। অন্যের দেওয়া মাটির ঘরে কোনও রকমে বাস। ভরসা শুধু তাঁতশাল। অরূপের বাবা শত্রুঘ্ন নন্দী বলেন, ‘‘মহাজন কাঁচামাল দিয়ে গেলে দিনে দুটো করে চাদর বাপ-বেটা তৈরি করি। স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যে ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেও কলেজে ওকে কী ভাবে পড়াব?’’ চ্যাংডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক চিন্ময় কোনার বলেন, ‘‘ওকে আমরা আগলে রেখেছিলাম। বলেছি কলেজে ভর্তি হতে। দেখি কী করা যায়।’’

http://www.anandabazar.com/district/purolia-birvhum-bankura/students-are-worried-even-after-their-outstading-results-1.621420?ref=purolia-birvhum-bankura-new-stry

Cattle grazer Swadhin Mahato gets 444 marks in West Bengal Higher Secondary Exam-2017. গরু চরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৪৪ স্বাধীন মাহাতোর।

ঝাড়গ্রাম ১ জুন, ২০১৭

পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের প্রয়োজনে গরু চরিয়েছেন। অভাব নিত্যসঙ্গী। তাই জোটেনি গৃহশিক্ষক। ওই ভাবেই মাধ্যমিকে ৬৩৬ নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ব্লকের গড়দুয়ারা গ্রামের স্বাধীন মাহাত। তবে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই থামেনি। উচ্চ মাধ্যমিকেও তাঁর সাফল্যে গর্বিত নয়াগ্রাম বাণী বিদ্যাপীঠের শিক্ষকেরা। গৃহশিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই ৪৪৪ নম্বর পেয়েছেন স্বাধীন।
প্রধান শিক্ষক বিকাশকুমার মণ্ডলের কথায়, ‘‘দারিদ্র্যই স্বাধীনের প্রধান বাধা। তাই মেধাবী ছাত্রটিকে স্কুল থেকে সবরকম সাহায্য করা হয়েছে। ফি মকুব থেকে নিখরচায় স্কুলের হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শিক্ষকেরা বইপত্র দিয়ে সাহায্য করেছেন। ও স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে।”
তবে ছেলের পড়ার খরচ এ বার কী ভাবে জোগাড় হবে তা নিয়ে চিন্তায় মা প্রমীলাদেবী। স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগে। দিনমজুরি করে সংসার চলে। স্বাধীনের ইচ্ছা ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়ার। ছেলের কৃতিত্বে খুশির মধ্যেই প্রমীলাদেবী চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, ‘‘ওকে কলেজে পড়ানোর সঙ্গতি নেই। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে ও যে এতদূর এগিয়েছে সেটাই পরম প্রাপ্তি।” হতাশা ঝরে পড়ে স্বাধীনের গলাতেও, ‘‘টাকার অভাবে পড়া বন্ধ হয়ে গেলে হয়তো গরু চরিয়েই দিন কাটাতে হবে!” স্বাধীনকে সাহায্য করতে চাইলে যোগাযোগ করতে হবে এই নম্বরে ৯৮৩৬৮৯৬১২৩।

http://www.anandabazar.com/district/mednipore/cattleman-swadhin-performed-well-in-hs-1.621361?ref=mednipore-new-stry

Adibasi students of Jhargram Ekalavya Residential Model School (ERMS) signs bright in West Bengal Higher Secondary Exam-2017. সব্যসাচী হয়ে নজর কাড়লেন ‘একলব্যরা’।

ঝাড়গ্রাম ৩১ মে, ২০১৭

হোক না সরকারি স্কুল। কিন্তু ‘ওরা কিছু পারে না’— এটা শুনতে শুনতেই বড় হয়েছেন। এ বার তাঁরাই উচ্চ মাধ্যমিকে তাক লাগিয়ে দিলেন সকলকে।
উচ্চ মাধ্যমিকে সাঁওতালি বিভাগে ৪৩০ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন ঝাড়গ্রাম একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্র উদয় মুর্মু। বাংলা বিভাগের মজিবর সরেন ৪৪৮ পেয়ে স্কুলের সেরা হয়েছেন। সকলেরই বক্তব্য, বছর দেড়েক আগে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ভোল বদল হয়েছে স্কুলের।
ঝাড়গ্রামে আদিবাসীদের এই স্কুল থেকে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন পঞ্চান্ন জন। উত্তীর্ণ চুয়ান্ন। যাঁদের মধ্যে চল্লিশ জনই ৬০ শতাংশের বেশি পেয়েছেন। উনিশজনের প্রাপ্ত নম্বর ৭৫ শতাংশেরও বেশি। সাত জন পেয়েছেন ৮০ শতাংশেরও বেশি।
রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সহায়তায় চলত আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের এই আবাসিক স্কুল। পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ টাকা ঠিক মতো খরচ হতো না বলে প্রায়ই অভিযোগ উঠত। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিন কাটাত ছাত্রছাত্রীরা।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে স্কুলের ভার নেয় বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন। মিশনের গণমাধ্যম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী স্বামী শুভকরানন্দ (শান্তনু মহারাজ) স্কুলের দায়িত্বে আসেন। তারপর থেকেই স্কুলের মান বদলের শুরু। গত বছরেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে এই স্কুলের পড়ুয়ারা ভাল ফল করেন। এখান থেকে বেরিয়ে কয়েকজন নরেন্দ্রপুর ও বেলুড় কলেজে পড়ছেন। ‘জগদীশ বোস ন্যাশনাল ট্যালেন্ট সার্চ’-এর নোডাল স্কুল হয়েছে একলব্য।
স্বামী শুভকরানন্দ বলেন, “সুযোগ পেলে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের একলব্যেরাও যে সব্যসাচী হয়ে উঠতে পারেন, সেটা উদয়-মজিবররা দেখিয়ে দিলেন।” 

http://www.anandabazar.com/state/this-year-tribal-students-made-a-mark-in-higher-secondary-results-2017-1.621074?ref=hm-new-stry

Adibasi woman Gangraped in Purulia. পুরুলিয়ায় আদিবাসী বধূকে বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ।

রঘুনাথপুর ৩১ মে, ২০১৭

স্বামী কর্মসূত্রে অন্য জেলায় থাকেন। বাড়িতে একাই থাকতেন স্ত্রী। রাতের অন্ধকারে বছর তিরিশের ওই বধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল রঘুনাথপুর থানা এলাকায়।
রবিবার রাতের ওই ঘটনার পরের দিন সোমবার সন্ধ্যায় এক আত্মীয়াকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই বধূ। তাঁর অভিযোগ, গ্রামেরই ছ’জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। সোমবার রাতেই রঘুনাথপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তিন অভিযুক্তকে। বাকিরা পলাতক বলে দাবি পুলিশের। ধৃতেরা হল শ্রীমন্ত হাঁসদা, বিজয় মুর্মু, কাজল টুডু। মঙ্গলবার ধৃতদের রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। নির্যাতিতা বধূটির ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
রঘুনাথপুরের এসডিপিও অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘রঘুনাথপুর থানার ওই গণধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।” তবে এ দিন আদালতে ধৃতেরা দাবি করেছে, তাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বধূর স্বামী ইটভাটায় কাজ করেন। কাজের সূত্রে তিনি বাইরেই থাকেন। গ্রামের বাড়িতে একাই থাকেন ওই বধূ। ওই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বাড়ির অদূরে থাকেন। রবিবার রাতে গরমের জন্য তিনি বাড়ির মধ্যে না শুয়ে উঠোনে খাটিয়া পেতে শুয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘হঠাৎ গ্রামের চার যুবক মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যায় গ্রামেরই প্রান্তে মাঠের ঝোপে। সেখানে পরে আরও দু’জন আসে। তারা কাপড় দিয়ে হাত, পা বেঁধে ধর্ষণ করে। অত্যাচারে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’’ পরে জ্ঞান ফিরতে তিনি কোনও রকমে বাড়ি ফিরে আসেন।
সোমবার বেলায় তিনি এক আত্মীয়াকে ঘটনাটি জানান। অভিযোগকারিণীর দাবি, অভিযুক্তদের পরিবার থানায় অভিযোগ না জানানোর জন্য চাপ তৈরি করতে শুরু করে। একদিকে চাপ, অন্যদিকে লোকজলজ্জার ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে কিছুটা গড়িমসি করেন তিনি। কিন্তু দুপুরে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত রঘুনাথপুর থানায় গিয়ে পুরো ঘটনাটি জানিয়ে ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
ওই বধূর এক আত্মীয় এ দিন অভিযোগ করেন, ‘‘বৌমার স্বামীকে ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ছ’জনের পরিবার থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য এত চাপ আসছে যে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’’ তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূটি বা তাঁর পরিবারের উপরে যাতে কেউ চাপ তৈরি করতে না পারে, তা গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।

http://www.anandabazar.com/district/purolia-birvhum-bankura/complaint-of-gang-rape-3-accused-arrested-1.620981?ref=purolia-birvhum-bankura-new-stry

Story of Struggle for Education. বাধা পেরিয়ে অন্য লড়াই সরস্বতীদের।


মেদিনীপুর ৩১ মে, ২০১৭

কৃতী: (বাঁ দিক থেকে উপরে) সরস্বতী হেমব্রম, দীপ্তি কবি, (বাঁ দিক থেকে নীচে) অনিরুদ্ধ মণ্ডল, সুমনা মাঝি।
আর্থিক প্রতিকূলতা ছিল। সেই প্রতিকূলতার পাহাড় টপকে উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্যের মুখ দেখেছে ওঁরা। ওঁরা মানে সরস্বতী হেমব্রম, দীপ্তি কবি, অনিরুদ্ধ মণ্ডল, সুমনা মাঝিরা। অভাবকে হারিয়ে ভাল নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন সকলে।
কারও চোখে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। কারও বা অন্য কিছু। স্বপ্নপূরণের পথে দারিদ্র্য কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো? ভাল ফল করেও দুর্ভাবনা কাটছে না ওদের। অবশ্য হাল ছাড়তে নারাজ কেউ। সকলেই বলছেন, এতদিন লড়াই করেছি। আরও করব। পাশে থাকছেন পরিজনেরা। তাঁরা বলছেন, যতদূর পড়তে চায় পড়বে। আজ সব কষ্ট সার্থক।
খেতমজুর পরিবারের মেয়ে সরস্বতী ছোটবেলা থেকেই রয়েছেন মেদিনীপুর গ্রামীণের এক আশ্রমে। বাড়ি শালবনির সীতানাথপুরে। বাবা জমাদার হেমব্রম খেতমজুর। মা দুখী হেমব্রম গৃহবধূ। মেয়েকে পড়ানোর সামর্থ্য ছিল না জমাদারবাবুর। মেদিনীপুর গ্রামীণের একটি আশ্রম মেয়েটির পড়াশোনার ভার নিয়েছিল সেই ছোটবেলায়। এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে ৪০৮ নম্বর পেয়ে সকলের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তিনি। চোখে শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন। মেদিনীপুর গ্রামীণের হরিশপুরের দেশপ্রাণ হাইস্কুলের ছাত্রী সরস্বতীর আশা, চলার পথে কখনও অসুবিধায় পড়লে নিশ্চয়ই কোনও সহৃদয়ের হাত এগিয়ে আসবে। যে হাতে হাত রেখে আরও অনেকটা পথ পেরোনো যাবে।
শালবনির ভাদুতলা হাইস্কুলের ছাত্রী দীপ্তি কবি উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছেন ৪০৬ নম্বর। বাড়ি ডাঙরপাড়ায়। বাবা দ্বিজেন কবি ঠিকাশ্রমিক। মাস ফুরোলে সামান্য আয়। মা সুচিত্রা কবি গৃহবধূ। বাংলা কিংবা ইতিহাসে অনার্স নিয়ে মেদিনীপুর কলেজ থেকে পড়তে চান দীপ্তি। তাঁর কথায়, “নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থেকেও উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল করার সব রকম চেষ্টা করেছি। আমাকে পড়াতে বাবা-মাকে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে। সামনে হয়তো আরও বাধা থাকবে। চেষ্টা করব সব বাধা টপকে এগিয়ে যাওয়ার।”
মেদিনীপুর টাউন স্কুলের ছাত্র অনিরুদ্ধ মণ্ডল এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে ৪২৩ নম্বর পেয়েছে। বাড়ি মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুরে। বাবা শান্তনু মণ্ডল বাড়ি বাড়ি জিনিস বিক্রি করেন। দোকানে দোকানে জিনিসপত্র ফেরি করেন। মা রূপালী মণ্ডল গৃহবধূ। মেদিনীপুর কলেজে ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে অনিরুদ্ধর।
আর্থিক দুর্দশার মধ্যেও লড়াই করে এতটা এগিয়েছে এই কৃতী ছাত্র। বাড়িতে অভাব। তাতে কী? লড়াই করেই এগোতে চায় তাঁরা।
অনিরুদ্ধ বলছিলেন, “পড়াটা চালিয়ে যেতে হবে। দেখি কী হয়।” মেদিনীপুর গ্রামীণের গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলের ছাত্রী সুমনা মাঝি উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৪২ নম্বর পেয়েছেন। বাড়ি গুড়গুড়িপালের অদূরে উল্টায়। বাবা রবীন্দ্রনাথ মাঝি চাষের কাজ করেন। সামান্য জমি রয়েছে।
টেনেটুনে কোনও রকমে সংসার চলে। মা উজ্জ্বলা মাঝি গৃহবধূ। সুমনার পছন্দের বিষয় বাংলা। বাংলায় তিনি ৯৬ নম্বর পেয়েছেন। মেদিনীপুর কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। সুমনা বলছিলেন, “পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। সকলে পাশে থাকলে পড়াশোনাটা নিশ্চয়ই চালিয়ে নিতে পারব। একটা চাকরি খুব দরকার।” বাধার পাহাড় টপকে সুমনাদের স্বপ্নের উড়ান ডানা মেলল বলে!

http://www.anandabazar.com/district/mednipore/4-students-showed-brilliance-in-higher-secondary-despite-financial-adversity-1.620924?ref=mednipore-new-stry

Anupama Hansda, Santali Topper Girl in West Bengal Higher Secondary Exam-2017 wants development of Santali Language. সাঁওতালি ভাষার প্রসার চায় বান্দোয়ানের অনুপমা।


বান্দোয়ান ৩১ মে, ২০১৭

সাঁওতালি ভাষাভাষিদের কাছে গর্বের দিন হয়ে থাকল মঙ্গলবার। এ বারই প্রথম সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হল। তাতে মেয়েদের মধ্যে রাজ্যে সেরার শিরোপা পেল বান্দোয়ান গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অনুপমা হাঁসদা। ৪০৯ নম্বর পেয়ে সে বান্দোয়ানবাসীকেও সাফল্যের স্বাদ দিল।
বান্দোয়ান গার্লস হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষিকা বীথিকা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাঁওতালি মাধ্যমে এ বারই প্রথম উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হল। আর তাতে অনুপমার এই সাফল্য পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।’’ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পুরুলিয়া জেলা উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কল্যাণ মাহাতো বলেন, ‘‘সাঁওতালি মাধ্যমে রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে অনুপমার এই কৃতিত্ব অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’’ প্রশাসনও এই মেধাবীর সাফল্যকে বিশেষ ভাবে সম্মান জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। বান্দোয়ানের বিডিও মহাদ্যুতি অধিকারী জানিয়েছেন, শুক্রবার তাঁরা ব্লক থেকে অনুপমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
অনুপমা প্রথম ভাষা হিসেবে সাঁওতালি নিয়েছিল। সাঁওতালিতে সে পেয়েছে ৮২ নম্বর। এ ছাড়া, ইংরাজিতে ৬৫, ভুগোলে ৯১, ইতিহাসে ৮৩ এবং সংস্কৃতে ৮৮ পেয়েছে সে। ভবিষ্যতেও সাঁওতালি বিষয় নিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় এই মেধাবী। শিক্ষকতা পেশার সাথে যুক্ত হয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।   
বান্দোয়ানের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক উপেন্দ্রনাথ হাঁসদার নাতনি অনুপমা। উপেন্দ্রনাথবাবু সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। আর কয়েকদিন পরে তাঁর পারলৌকিক কাজ হওয়ার কথা।
তাই এই আনন্দের দিনেও দাদুর কথা স্মরণ করে চোখ ছলছল করে ওঠে তার। বলে, ‘‘এত খুশির দিনে দাদুই আমাদের মধ্যে নেই। দাদু আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের কাজ করে গিয়েছেন। আমিও সাঁওতালি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষকতা করে দাদুর সেই কাজই আরও বিস্তৃত করতে চাই।’’
স্কুলের সাঁওতালি ভাষার অতিথি শিক্ষক মহাদেব হাঁসদা বলেন, ‘‘মূলত দাদুর উৎসাহে অনুপমা প্রথম ভাষা হিসেবে সাঁওতালি বিষয় নিয়েছিল। তার দাদু নেই। তিনি থাকলে আজ সব থেকে বেশি খুশি হতেন।’’ কয়েকটি বিষয়ের গৃহশিক্ষক থাকলেও স্কুলের শিক্ষিকারা এই বুদ্ধিমতী মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। স্কুলের সময় ছাড়াও আলাদা ভাবে তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে দেখিয়ে দিতেন অনুপমাকে।
চার ভাই-বোনের মধ্যে অনুপমা বড়। বান্দোয়ানের মা কপালি গ্রামে তাদের বাড়ি। পড়াশোনার সুবিধার জন্য বান্দোয়ান বাজারে বাড়িতে থেকে পড়াশোনা চালায় সে। পড়ার সময় ছাড়া বাড়ির উঠোনে গাছের পরিচর্যা করা অনুপমার শখ।
তার বাবা স্বপন হাঁসদা বলেন, ‘‘বাবা ১০ বছর বিধায়ক থাকলেও বাড়ির অবস্থা আমাদের বিশেষ পাল্টায়নি। আমি সামান্য জমিতে চাষ করি। মেয়েকে বাইরের কলেজে রেখে কী ভাবে পড়ার খরচ চালাব, তাই নিয়ে চিন্তায় আছি।’’
অনুপমা অবশ্য এখনই হাল ছাড়তে নারাজ। সে যে এখন সাঁওতালি ভাষার প্রসারের স্বপ্নে বুঁদ।

http://www.anandabazar.com/district/purolia-birvhum-bankura/bandwan-s-anupama-wants-to-spread-the-santali-language-1.620971

Udai Murmu, Santali Topper in West Bengal Higher Secondary Exam-2017. সাঁওতালিতে রাজ্যে প্রথম একলব্যের উদয়।

ঝাড়গ্রাম ৩১ মে, ২০১৭

উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম ভাষা হিসাবে সাঁওতালি নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে রাজ্যে প্রথম হলেন ঝাড়গ্রাম জেলার উদয় মুর্মু।
রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত ঝাড়গ্রাম একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ের কলাবিভাগের ছাত্র উদয় পেয়েছেন ৪৩০ (৮৬ শতাংশ) । বিনপুরের লোয়াপাড়া গ্রামের ছেলে উদয়ের বাবা সাহেবরাম মুর্মু ও মা শ্রীমতীদেবী খেতমজুরি করেন।
টিনের চালের মাটির বাড়ি। নিজে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোননি। স্ত্রীও নিরক্ষর। দু’জনেই চেয়েছিলেন ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা শিখে মানুষ হোক। উদয়ের দুই বোন বিনপুরের দু’টি স্কুলে নবম ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই উদয় একলব্য স্কুলের আবাসিক পড়ুয়া। ২০১৫ সালে এখান থেকেই মাধ্যমিকে ৩৯৮ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। উচ্চ মাধ্যমিকে ছেলের এমন সাফল্য খুশি বাবা-মা। খুশি স্কুলের শিক্ষক থেক সহপাঠী সকলেই।
কী ভাবে এল সাফল্য? উদয়ের কথায়, ‘‘মিশন কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার পরে স্কুলে নৈশকালীন বাড়তি কোচিং ক্লাস হয়েছে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অত্যন্ত যত্ন নিয়ে পড়িয়েছেন। গত এক বছরে স্কুলের পরিবেশটাই বদলে গিয়েছে। শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ভাল কিছু করতে হবে এই আদর্শ নিয়ে পড়াশোনা করেছি।” ভবিষ্যতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে বেলুড় বিদ্যামন্দিরে স্নাতকস্তরে পড়তে চান উদয়। ইচ্ছা ডব্লুবিসিএস অফিসার হওয়া। স্কুলের সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক রাজু মুর্মু বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ স্কুলের ৫৪ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ২৫ জনের প্রথম ভাষা ছিল সাঁওতালি। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন ছাত্রছাত্রী সাঁওতালিতে আশি শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন। এটা আগামী দিনে সাঁওতালি ভাষায় পড়াশোনা করতে পড়ুয়াদের উৎসাহিত করবে।”
এক সময় একলব্য স্কুলের বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে আদিবাসী মহলে অসন্তোষ ছিল। ২০১৬-র জানুয়ারিতে স্কুলের পরিচালন ভার বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর স্বামী শুভকরানন্দের তত্ত্বাবধানে স্কুলটির ভোল বদলে যায়।

http://www.anandabazar.com/state/tribal-student-uday-got-86-percent-marks-in-hs-1.620939?ref=state-ft-stry

Anupama Hansda, Santali Topper in West Bengal Higher Secondary Exam-2017.

By Courtesy - Sangbad Pratidin, 31/05/2017 

Monday, May 29, 2017

West Bengal Madhyamik Pariksha Results 2017

Sunirmal Baskey : 648 (M.P -2017.)/Anandapur High School. West Mednipur.

Victims of Witch superstition afraid to return own village, does not gets police help. কার ভরসায় ফিরবেন, নির্যাতিতারা ঘরছাড়াই।

দীক্ষা ভুঁইয়া, কলকাতা ২৪ মে, ২০১৭

পুলিশ-প্রশাসনের একাংশ বলছে, নিয়মিত সচেতনতা বাড়ানোর প্রচার চলছে। তার পরও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রশাসনের তরফ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা অনেকাংশেই মিলছে না তার সঙ্গে। সম্প্রতি এ রাজ্যে একাধিক ‘ডাইনি’ নির্যাতনের ঘটনায় পঞ্চায়েত, পুলিশ কিংবা প্রশাসনের সামান্য সহায়তাও আক্রান্তরা পাননি বলে অভিযোগ। খোদ রাজ্য মহিলা কমিশনই সে কথা স্বীকার করছে।
কী রকম? কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় পরিসংখ্যান তুলে ধরে বললেন, ‘‘২০১৬ সালে ৩৫টি এবং চলতি বছরে ইতিমধ্যেই ৫টি অভিযোগ পেয়েছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অত্যাচারের পর প্রশাসন কোনও মহিলা কিংবা পরিবারকে গ্রামে ফেরাতে পারেনি।’’ বীরভূম, বর্ধমানের মতো জেলায় ডাইনি নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে বলেই লক্ষ করছে কমিশন।
যেমন বীরভূমের মহম্মদ বাজারের কানাদীঘি গ্রামের ঘটনা। ১ মে ওই গ্রামের লোকজন সরস্বতী টুডু নামে বছর ষাটের এক প্রৌঢ়ার উপরে চড়াও হয়। অভিযোগ, গ্রামের মনসা পুজোর ঘটটি সরস্বতী চুরি করেছেন। তিনি ‘ডাইনি।’ ওই প্রৌঢ়াকে উলঙ্গ করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে প্রশাসন এখনও পর্যন্ত সরস্বতীকে বাড়িতে ফেরাতে পারেনি। তিনি মেয়ের বাড়িতে গিয়ে রয়েছেন। ঘরছাড়া তাঁর ছেলে-বৌমা এবং নাতি-নাতনিও।
২৬ এপ্রিল রূপপুরের বাসিন্দা কালোমনি সোরেনকে কুড়ুল দিয়ে কোপ মারেন তাঁর আত্মীয়েরাই। কেন? পরিবারে এক কিশোর সাপের কামড়ে মারা গিয়েছে। পরিবারের একাংশের অভিযোগ, কালোমনিই সাপ হয়ে ওই ছেলেটিকে কামড়েছেন।
বিনোদপুরের কিসকু পরিবার। কোনও পরিবারে চার জন মেয়ে থাকা মানেই পরিবারটি ‘ডাইনি’। তাই এমন মারধর করা হল যে এক বৃদ্ধা মারা গেলেন। বাকি মেয়েদের আধমরা করে ফেলে রেখে গেল গ্রামবাসীরা। ২০১৫ সালের এই ঘটনার পর থেকে পরিবারটিকে এখনও বয়কট করে রেখেছে গোটা গ্রাম।
কেন তৎপর হচ্ছে না পুলিশ? বীরভূমের জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী দাবি করছেন, ‘‘আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে এই ধরনের অপরাধ শুধু আইন দিয়ে বন্ধ করা যায় না। সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চলছে।’’ একই দাবি বীরভূমের পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমারেরও। গ্রামের মোড়লরাও বলছেন, কুসংস্কারের বশেই গুনিন দিয়ে যাচাই করে কোনও পরিবারের মহিলা কিংবা মেয়েকে ‘ডাইনি’ বলে চিহ্নিত করা হয়। সচেতনতা বাড়ালে এটা বন্ধ করা সম্ভব।
কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ এবং জেলা প্রশাসনের একাংশ স্বীকার করছেন, বিষয়টা শুধু কুসংস্কারের নয়। বরং কুসংস্কারকে সামনে রেখে রাজনৈতিক এবং সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্য কাজ করছে। বেশির ভাগ ঘটনার পিছনেই রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিবাদ। এবং বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগ, আদিবাসী সমাজকে চটাতে চায় না বলেই পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পঞ্চায়েত-আধিকারিকের কথায়, ‘‘পাথর খাদান, কয়লা খাদানের ব্যবসা চালাতে গেলে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়কে চটালে ক্ষতি হবে। এই ভেবে কেউ পদক্ষেপ করে না।’’
তবে কি এই রকমই চলবে? রাজ্যের নারীকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা আশ্বাস দিচ্ছেন, সরকার চুপ করে থাকবে না। যে সব জেলায় এ রকম ঘটনা বেশি ঘটছে, সেগুলি চিহ্নিত করে নারীকল্যাণ দফতর আলাদা করে সচেতনতার প্রচাব করবে।

http://www.anandabazar.com/state/tortured-woman-in-name-of-superstition-are-in-fear-to-return-home-1.617487?ref=strydtl-rltd-state

Government distributes soap, shampoo, detergent to Musahar Community to get cleaned before Chief Minister Jogi Adityanath's visit যোগীর সামনে আসার জন্য সাবান-শ্যাম্পু।

লখনৌ : দু’বেলা খাবার জোগাড় করতে বিস্তর খাটাখাটনি করতে হয়৷ মাথার ঘাম পায়ে পড়ে৷ রোদে পোড়া চামড়া, খসখসে৷ মাথার চুলে জট, তেলহীন৷ এমন বেহদ্দ চেহারা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আসা যায় না কি ! এমনটাই মনে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর জেলা প্রশাসনের কর্তাদের৷ তাই গ্রামের তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে সাবান ও শ্যাম্পু তুলে দেওয়া হয়৷ বলা হয়, সাফসুতরো হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হতে হবে৷ ঘেমো গন্ধ যেন না ছাড়ে, পরিপাটি থাকে চুল, পোশাকআশাক৷
মুশাহার সম্প্রদায়ের মানুষেরা খুবই গরিব৷ নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তাই চেহারায় চাকচিক্য কী করে থাকবে৷ গত শুক্রবার কুশীনগরে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ একটি প্রকল্প উদ্বোধনের কর্মসূচি ছিল তাঁর৷ মুখ্যমন্ত্রীর সফরের কয়েকদিন আগে মুশাহারদের গ্রামে গিয়ে প্রশাসনের তরফে সাবান-শ্যাম্পুর সঙ্গে কাপড় কাচার গুঁড়ো সাবানও দেওয়া হয়৷ পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরে গ্রামবাসীদের আসতে বলা হয় মুখ্যমন্ত্রীর সামনে৷ সাবান-শ্যাম্পু হাতে গ্রামবাসীদের ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়৷ ভিডিয়োর জেরে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন আদিত্যনাথ৷ এই ঘটনাকে নিম্নবর্ণের মানুষদের প্রতি ঠাকুর সম্প্রদায়ের মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাবের প্রতিফল হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে৷ কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীকে এ জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছে৷ মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভির দাবি, ‘প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত যে সব ব্যক্তি এ কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি-উপজাতি আইনে অভিযোগ দায়ের করতে হবে৷’ রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের মন্তব্য, ‘কোনও যোগী মুখ্যমন্ত্রী হলে এ ধরনের ঘটনাই ঘটবে৷ গরিবদের গ্রামে গেলে তাঁদের লড়াইয়ের কথা মাথায় রাখা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর৷’৷

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32080&boxid=153510645

Two women molested in public and video uploaded in social media. প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি ২ তরুণীর, ভিডিয়ো।

রামপুর : একটা জঙ্গল এলাকা৷ সেখানে ১৪ জন দুষ্কৃতী ঘিরে রয়েছে দুই তরুণীকে৷ তাঁদের শ্লীলতাহানি করছে৷ এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই হইচই৷ অভিযুক্ত একজনকে গ্রেন্তার করেছে পুলিশ৷ এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করে সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের পরামর্শ, মেয়েদের ঘরে রাখুন কড়া পাহারায়৷ বিজেপি ক্ষমতায় আসার দু’মাসের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ সাহারানপুরে ঠাকুর-দলিত সংঘর্ষের আগুন এখনও নেভেনি৷ তারই মধ্যে আর একটি ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলে দিল যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনকে৷ প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর গড়া রোমিয়ো দমন বাহিনীর কার্যকারিতা৷ রামপুর জেলার শ্লীলতাহানির ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তাতে দেখ যাচ্ছে, দুই তরুণীকে ঘিরে ধরেছে কয়েকজন যুবক, তাদের কয়েকজন নাবালক হতে পারে৷ একটি জঙ্গল এলাকার নির্জন স্থানে তারা ঘিরে ধরে দু’জনকে৷ তাদের উদ্দেশে প্রথমে কটূক্তি করে, অশ্লীল ভাষায় কথা বলে৷ এক দুষ্কৃতী তরুণীদের একজনকে কোলেও তুলে নেয়৷ বাকিরা হাসাহাসি করতে থাকে, কুরুচিকর মন্তব্য করে৷ রামপুরের টান্ডা শহরের কাছে নির্জন স্থানে এই কাণ্ড ঘটিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে অভিযুক্তরা৷ তারা পুরো ঘটনার ভিডিয়ো তোলে, পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেয়৷ গত ১৫ দিন ধরে মোবাইল ও কম্পিউটারে দেখা যাচ্ছে এই ভিডিয়ো৷ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও দেখা যায় এই ক্লিপিংস৷ তাতে তরুণীদের আর্তি শোনা যাচ্ছে, কিন্ত্ত শত অনুরোধ সত্ত্বেও অভব্য আচরণ করে যেতে থাকে দুষ্কৃতীরা৷ ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হওয়ার পর পুলিশ সুপার বিপিন টাডা নিজে টান্ডায় এসেছেন৷ পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে শাহনওয়াজ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেন্তার করেছে৷ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷
বিজেপি সরকারের উপর এই ঘটনার দায় চাপিয়েছে বিরোধী সমাজবাদী পার্টি৷ দলের নেতা আজম খানের বক্তব্য, ‘শ্লীলতাহানি, মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ, ডাকাতি, খুন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ভোটের আগেই আমরা বলেছিলাম, বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে যাবে রাজ্য৷’ তবে এ ব্যাপারে অভিভাবকদের পরামর্শ দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যই করে ফেলেছেন প্রবীণ নেতা৷ মেয়েদের কার্যত গৃহবন্দি রাখতে বলেছেন৷ তাঁর মন্তব্য, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিচার করে, মেয়েদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার কথা ভেবে, মেয়েদের কড়া নজরদারিতে বাড়িতেই রাখুন৷’ সঙ্গে তরুণীদের উদ্দেশে আজমের সাবধানবাণী, ‘এমন জায়গায় যাবেন না, যেখানে শ্লীলতাহানির সম্ভাবনা রয়েছে!’ যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মহিলাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রোমিয়ো দমন বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন৷ কিন্ত্ত, সেই উদ্যোগের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রামপুরের ঘটনা৷ সাহারানপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে তোপের মুখে রয়েছেন আদিত্যনাথ৷ শ্লীলতাহানি ভিডিয়ো আইন-শৃঙ্খলার বেহাল দশা ফের সামনে আনল৷

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32080&boxid=15352583

West Bengal Madhyamik Pariksha Results 2017. পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষা রেজাল্ট ২০১৭।


Honour killing of a Dalit. সম্মানরক্ষায় খুন দলিতকে।

হায়দরাবাদ : প্রায় একমাস বাদে তেলেঙ্গানার নিখোঁজ যুবক আম্বোজি নরেশের (২৩) মৃত্যু রহস্যের কিনারা হল৷ ওই দলিত যুবক ‘অনার কিলিং’-এর শিকার হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নরেশের শ্বশুর তুম্মালা শ্রীনিবাস রেড্ডিকে গত দু’সন্তাহ ধরে জেরা করছিল পুলিশ৷ শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে রেড্ডি দোষ স্বীকার করে জানিয়েছে, এন সতি রেড্ডি নামে এক আত্মীয়ের সাহায্যে জামাইকে খুন করেছে সে৷ শ্রীনিবাসের মেয়ে স্বাতী তুম্মালা (২০) বাপের বাড়ির অত্যাচারে আগেই আত্মঘাতী হয়েছেন৷ মেয়ের সঙ্গে অন্য জাতের ছেলের বিয়ে প্রথম থেকেই মেনে নিতে পারেনি শ্রীনিবাস৷ বাড়ির লোকের অমতে মার্চে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন স্বাতী ও নরেশ৷ হঠাত্ই সব মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মেয়ে-জামাইকে মুম্বই থেকে ডেকে পাঠিয়েছিল শ্রীনিবাস৷
সরল বিশ্বাসে তেলেঙ্গানায় বাপের বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে আসে স্বাতী৷ কিন্ত্ত ১ মে থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় নরেশ৷ পুলিশ জানিয়েছে, তার পরদিনই খেতে নিয়ে গিয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় মেরে ওই যুবককে হত্যা করে শ্রীনিবাস৷ সেই সময় সতি রেড্ডি তার সঙ্গে ছিল৷ পরে নরেশের দেহ পুড়িয়ে কাছে একটি নদীতে ছাই ভাসিয়ে দেয় তারা৷ গত ১৬ মে আত্মহত্যা করেছেন স্বাতী৷ তিনি গর্ভবতী ছিলেন৷
http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32080&boxid=153549552

গোহত্যা বন্ধে জল মাপছে সব পক্ষ, কেরালায় গর্জালেও বাংলায় নীরব সিপিএম, অতি-সতর্ক তৃণমূলও।

এই সময় : বাজারে গবাদি পশু কেনাবেচার উপরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নয়া ফরমান নিয়ে কেরালায় সিপিএম তেড়েফুঁড়ে নামলেও হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কায় সতর্ক আলিমুদ্দিন স্ট্রিট৷ মুখে বিরোধিতা করলেও বামেদের মতোই জল মেপে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পা ফেলতে চাইছে তৃণমূল৷ রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বও সংবেদনশীল এই বিষয়ে প্রতিবাদের কোনও রোডম্যাপ তৈরি করতে পারেনি৷
বাংলায় রাজনৈতিক দলগুলির এই জল মাপার কৌশলে বিস্মিত নাগরিক সমাজের অনেক মুখ৷ বিদ্বজ্জনদের অনেকে মোদী সরকারের এই ফরমান নিয়ে সরব হলেও, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিবাদ কলকাতায় এখনও সংগঠিত হয়নি৷ নাগরিক সমাজের এই ‘ঔদাসীন্য’ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিদ্বজ্জনদের একাংশ৷ আবার নাগরিক সমাজের একাংশ মনে করছেন, কেরালায় যে আঙ্গিকে প্রতিবাদ হয়েছে, এই রাজ্যে সেই আঙ্গিকে প্রতিবাদ হবে এমন কোনও কথা নেই৷
তবে নাগরিক সমাজের ঔদাসীন্যর থেকেও চোখে পড়ছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির অতি-সতর্ক মনোভাব৷ হাত ধুয়ে এই ইস্যু নিয়ে রাস্তায় নামতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে এই আশঙ্কা রয়েছে শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষেরই৷ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বনমন্ত্রক নতুন বিধি ঘোষণা করতেই কেরালায় বামেরা তেড়েফুঁড়ে তার বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে৷ সে দিনই কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও এই বিধির বিরোধিতা করে মোদীকে চিঠি দিয়েছেন৷ সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন মোদীর ফরমানের বিরোধিতায় গো-মাংস রান্না করে খেয়েছে৷ সিপিএম পলিটব্যুরো বিবৃতি দিয়ে মোদী সরকারের এই বিধির বিরোধিতা করেছে৷ বৃন্দা কারাট, হান্নান মোল্লা প্রমুখ পলিটব্যুরোর নেতারা তীব্র সমালোচনা করেছেন মোদী সরকারের৷ কিন্ত্ত বাংলার সিপিএম নেতারা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই বিষয়ে একটা কথাও বলেননি৷ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হলেও তৃণমূল নেতৃত্ব কিন্ত্ত এখনও এই ইস্যু নিয়ে রাস্তায় নামার কোনও পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি৷ কেন্দ্র সরকারের বিধি হাতে আসার পর এ বিষয়ে নবান্ন প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আগে দেখি, কী বিধি ওরা তৈরি করেছে৷ বিধি বিশদে না-দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব নয়৷ বিধিতে কেন্দ্র সরকার কী বলতে চাইছে, তা দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন৷’ ঘটনা হল, মমতা আগেও ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাসের উপর নিয়মের কড়াকড়ি নিয়ে সরব হয়েছেন৷ গত বছর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও বিজেপির ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা৷
তৃণমূলের থেকেও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সতর্ক মনোভাব রাজনৈতিক মহলের চোখে পড়ছে৷ যে দ্রুততায় ও ব্যাপকতায় কেরালায় সিপিএম রাস্তায় নেমেছে, তার ধারেকাছেও যেতে রাজি নয় বঙ্গ ব্রিগেড৷ সেলিমের কথায়, ‘দুই রাজ্যের পরিস্থিতি এক নয়৷ গোমাংস জাতীয় খাদ্যের উপর ওই রাজ্যের আমজনতার বড় অংশ নির্ভর করে৷ মোদী সরকারের সিদ্ধান্তর ফলে কেরালায় মুসলিম, খ্রিস্টান ও দলিতদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের উপর আঘাত আসবে৷ তাই কেরালায় প্রতিবাদের মাত্রা অনেক বেশি৷’ সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে, কেরালায় যে কায়দায় প্রতিবাদ হচ্ছে, সেই কায়দায় প্রতিবাদ করলে রাজ্যে সঙ্ঘ পরিবার সুযোগটা নিয়ে নতুন উদ্যমে মেরুকরণ করতে চাইবে৷ দলের প্রথম সারির এক নেতার কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গে ওই ভাবে প্রতিবাদ করলে বিজেপি মানুষের মধ্যে আরও বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইবে৷ রাজ্যে মেরুকরণের প্রচেষ্টা চলছে, তাতে বাড়তি সুযোগ পাবে সঙ্ঘ পরিবার৷’ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রবিবারই সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক এস সুধাকর রেড্ডি বলেছেন, ‘সঙ্ঘ পরিবার নিরামিষাশী অভ্যাস চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ এটা ওদের হিন্দু রাষ্ট্র ষড়যন্ত্রের অন্তর্গত৷ যে মুসলিম এবং দলিতদের সঙ্ঘ পরিবার ঘৃণা করে, তাদের আঘাতের জন্যই এটা করা হয়েছে৷’ কিন্ত্ত নাগরিক সমাজ কেন এতটা উদাসীন ? এতেই বিস্মিত সাহিত্যিক আবুল বাশার৷ তাঁর কথায়, ‘অদ্ভুত গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে চলছে নাগরিক সমাজ, একটা ম্রিয়মাণ ভাব দেখা যাচ্ছে৷ আমার প্রশ্ন, গবাদি পশুর পর মোদী সরকার কি মাছ খাওয়ার উপর বিধি আরোপ করবে ? নিরামিষ সমাজ তৈরি করা কোনও রাজনৈতিক দলের অ্যাজেন্ডা হতে পারে৷ কিন্ত সরকার কী ভাবে এই অসাংবিধানিক নির্দেশ জারি করতে পারে ?’ মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীও৷ তাঁর বক্তব্য, ‘বৈদিক সমাজে যাগযজ্ঞে গোমাংস ভক্ষণের রেওয়াজ ছিল৷ মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবাঞ্ছিত৷ মন কি বাত-এ মোদী বলছেন, দেশের বৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে৷ এই মন কি বাত কিন্ত্ত কাম কি বাত-এ পরিণত হচ্ছে না৷’ যদিও প্রতিবাদ মানেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ, এই তত্ত্ব মানেন না নৃসিংহপ্রসাদ৷ তাঁর কথায়, ‘দক্ষিণের রাজ্যে যে আঙ্গিকে প্রতিবাদ হচ্ছে, তা এই রাজ্যে করতে হবে এমন কোনও কথা নেই৷’ ৷

West Bengal Madhyamik Pariksha Results 2017. পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষা রেজাল্ট ২০১৭।


Sunday, May 28, 2017

Musahar Dalits of Uttar Pradesh given soap, shampoo, perfumes to use before Chief Minister Jogi Adityanath's visit. দলিত প্রেমে সাবান-জ্বালা! তবেই দেখা মিলবে যোগীর।

২৯ মে, ২০১৭

ফিটফাট না হয়ে এলে প্রবেশ নিষেধ! আগে সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করতে হবে। পরতে হবে কাচা জামা-কাপড়। তার পর বাড়ি থেকে বেরনোর আগে, গায়ে ঢেলে নিতে হবে সুগন্ধী। তবেই দেখা মিলবে যোগী আদিত্যনাথের। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে স্থানীয় ‘মুসহর’ সম্প্রদায়ের কাছে নাকি এমন ‘ফতোয়া’-ই জারি করেছিল কুশীনগর জেলা প্রশাসন। সাফ-সুতরো হতে যা-যা লাগে সবটাই বাড়ি বয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা। কেউ-কেউ সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু গায়ের জ্বালাটা যাবে কোথায়!
সংবাদমাধ্যমের সামনে তাই সাবান-শ্যাম্পুর প্যাকেট নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ‘মুসহর’ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। কেন এমন নির্দেশ? মুখে কুলুপ জেলা প্রশাসনের।
সহারনপুরে দলিতদের উপর ঠাকুর সম্প্রদায়ের আক্রমণ নিয়ে মাথাব্যথা ছিলই। এ বার জুড়ল নয়া বিতর্ক। হইচই শুরু হতেই তেড়েফুঁড়ে মাঠে নেমেছে কংগ্রেস। মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি রবিবার দিল্লিতে বলেন, ‘‘অস্পৃশ্যতা ছড়াচ্ছে বিজেপি। এটাই যে বিজেপি ও সঙ্ঘের আসল চেহারা, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন আদিত্যনাথ। উনি ‘যোগী’ নন, ভোগী। ক্ষমা চাইতেই হবে তাঁকে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর নামে মামলা দায়েরের হুমকিও দিয়েছেন সিঙ্ঘভি।
এ নিয়ে বিজেপি মুখ না খুললেও, অমিত শাহকে আবার রবিবারই দেখা গিয়েছে দিল্লির এক দলিত বস্তিতে। ঘেমেনেয়েও পাক্কা ৩০ মিনিট তিনি কাটান আর কে পুরমের গুরু রবিদাস ধামে। রেডিও-তে তখন ‘মন কি বাত’ শোনাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়েও কংগ্রেসের কটাক্ষ, ‘‘সবটাই নাটক। এখন আসলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন সেনাপতি।’’
অমিতের দলিত পরিবারে যাতায়াত অবশ্য নতুন নয়। নকশালবাড়িতে গিয়ে এক আদিবাসী দম্পতির বাড়িতে কলাপাতায় ভাত খেয়েছিলেন তিনি। যদিও তার দিন কয়েক পরেই সেই আদিবাসী মাহালি পরিবার যোগ দিয়েছিল তৃণমূলে। সম্প্রতি একই রকম ‘লোক-দেখানো আদিখ্যেতা’-র অভিযোগ ওঠে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে। এক দলিত পরিবারে গিয়ে ইডলি, বড়া খেয়েছিলেন তিনি। পরে জানা যায়, সেই খাবার এসেছিল হোটেল থেকে!
দিন কয়েক আগে শহিদ বিএসএফ জওয়ান প্রেম সাগরের বাড়ি গিয়েও বিতর্কে জড়ান যোগী। আগেভাগেই সেখানে পৌঁছে যায় নতুন সোফা, গালিচা, এমনকী এসি-ও। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার পরেই সব ধাঁ!
কুশীনগরের দলিতরা অবশ্য সাবান-শ্যাম্পু সব যত্ন করেই সরিয়ে রেখেছেন। প্রমাণ হিসেবে!

http://www.anandabazar.com/national/dalits-were-distributed-soaps-and-shampoos-before-yogi-adityanath-s-visit-to-a-village-1.620039?ref=hm-ft-stry#

Salkhan Murmu to lead rally against land law changes

Updated: May 25, 2017

RANCHI: Former MP and the founder of Jharkhand Disom Party Salkhan Murmu on Wednesday said he would intensify the Adivasi Sengel Abhiyan (Tribal Empowerment Campaign) to drum up public support against the proposed amendments to the Chotanagpur Tenancy Act and the Santhal Pargana Tenancy Act.
The campaign aims to garner support of more than 10 lakh tribal by June 15 with a Jharkhand Bachao Maharally planned in Ranchi on July 7. Murmu had recently held a similar rally in the state capital in which Bihar chief minister Nitish Kumar was the chief guest.
Murmu said the volunteers have been asked to collect soil in metal mugs from the birthplaces of tribal freedom fighters, including that of Birsa Munda, and then get the members of the tribal community to touch the sacred soil and take an oath to oppose amendments to the tenancy acts.
"Everyone taking an oath would be asked to sign on a register, carried by the volunteers of the Adivasi Sengel Abhiyan, write their names and contact details and donate Rs 10 towards registration. Each volunteer group, carrying a mug filled with the sacred soil, has been assigned the task of mobilising the support of at least 1,000 volunteers would would spread and garner support of 10 lakh tribals by June 15," Murmu explained.
There are 28 tribal MLAs in the state assembly which has an effective strength of 81 lawmakers. "Our volunteer groups will also approach each of the 28 tribal MLAs to enlist their support. These lawmakers will be asked to resign from their membership of the assembly and topple the BJP-led Raghubar Das government,'' Murmu added.
The volunteers will launch mass campaigns through wall writings, bicycle rallies, distribution of pamphlets etc, handing over memorandums to block development officers and deputy commissioners voicing their opposition to amendments to the tenancy laws.

http://timesofindia.indiatimes.com/city/ranchi/salkhan-to-lead-rally-against-land-law-changes/articleshow/58833470.cms

Dalits and Backward students ranks in Madhyamik Examination 2017. এবার ২০১৭ সালের মাধ্যমিকে চমক অনগ্রসর, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের।

দরিদ্র এবং অনগ্রসর জেলা ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষা সম্প্রসারণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সাফল্য তুলে ধরছে এ বারের মাধ্যমিকের ফলাফল৷ মেধা তালিকার প্রথম দশে ৬৮ জন পড়ুয়া রয়েছে৷ এটা যেমন মেধাবীদের মধ্যে ফারাকটাকে ঘুচিয়ে দেওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে, তেমনই মেধাতালিকার ৬৮ জনের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ পড়ুয়া সংখ্যালঘু এবং অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়া৷ যা আগের তুলনায় অনেক বেশি আশাব্যাঞ্জক বলেই মনে করছে শিক্ষামহল৷ তা ছাড়া পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে চিহ্নিত বাঁকুড়ার জয়জয়কার বা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়ার মতো জেলা পাশের হারে এগিয়ে থাকায় স্বস্তি তৈরি হয়েছে৷ শিক্ষার অধিকার আইন, মিড ডে মিল, স্কলারশিপ, হস্টেল, বিনামূল্যে বই দেওয়া, কন্যাশ্রী, সাইকেল বিলির সাফল্যকে সূচিত করছে বলেই শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ মনে করছেন৷ এবার মেধাতালিকাতে থাকা ৫ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত৷ এমনকি বাঁকুড়া জিলা স্কুলের মোজাম্মেল হকের মতো মেধাবী পড়ুয়ার দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে৷ তা ছাড়ও অন্তত ১৪ জন পড়ুয়া অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত৷ স্বাভাবিক ভাবেই এত জন পড়ুয়ার এক সঙ্গে আলোকবৃত্তে উঠে আসা নিয়ে সরকারি মহলেও খুশির আবহাওয়া৷ এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ঘোর বিরোধীরাও এ সাফল্যকে উপেক্ষা করতে চাইছেন না৷ যেমন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে ’র কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গে ভালো পরিবর্তন হয়েছে৷ বামপন্থীদের সময় থেকেই অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে অনেক রকম নীতি ও প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল৷ বর্তমান সরকারেরও নানা প্রকল্প তাদের আলোকবৃত্তে তুলে আনার ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে৷’ দলিত বিষয়ক সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বক্তব্য, ‘অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছে রয়েছে৷ মানুষ শিক্ষিত ও সচেতন হলে এই অগ্রগতি হবেই৷’ মুসলিমদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা সমাজ কর্মী সাবির আহমেদ মনে করেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও উদার দৃষ্টিভঙ্গিই এই সাফল্যের নেপথ্যে কাজ করেছে৷
কৃতীদের পরিবারেও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে৷ অনেকে মনে করছেন, শিক্ষা সম্পর্কে মানুষ সচেতন হওয়ার কারণেই কোনও রকম বিভেদ কাজ করেনি৷ আবার অনেকের মতামত, সামাজিক-রাজনৈতিক সুরক্ষা আসাতে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে আর্থিক সামর্থও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ফলে বহুদিনের যৌথ প্রচেষ্টার ফল পাওয়া গেল৷ যেমন মোজাম্মেলের বাবা অব্দুল মামুদ একজন মাদ্রাসা শিক্ষক৷ ছেলের এই ফল নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘আমার তিন মেয়েও উচ্চশিক্ষিত৷ এ বার ছেলের পালা৷ যেহেতু আমাদের পরিবারটাই শিক্ষিত তাই আমরা প্রথম থেকেই চেয়েছি ওঁরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক৷ পাশাপাশি আর্থিক সামর্থটাও অনেকটা উপকার করেছে৷’ তবে শিক্ষাব্রতী হওয়ার কারণে পড়ুয়াদের পাশাপাশি তাদের বাবা-মাকেও যে নানা ধরনের কটাক্ষ উপহাসকে প্রতিনিয়ত জয় করতে হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ যেমন অষ্টম স্থানাধিকারী হাওড়ার মহম্মদ সায়ন সফিকের বাবা শেখ মহম্মদ সফিকের বক্তব্য, ‘যে মানুষগুলো এতদিন কটাক্ষ করেছে৷ ছেলেকে এত পড়াচ্ছি বলে হাসিঠাট্টা করেছে, তারাই আজকে ছেলের সঙ্গে মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে মিষ্টি খাচ্ছে দেখে ভালো লাগল৷’ বাঁকুড়ার অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত ছাত্রী সঙ্গীতা মণ্ডল নবম হয়েছে৷ সঙ্গীতার মা মীরা মণ্ডলের বক্তব্য, ‘এটা জীবনের প্রথম ধাপ৷ সবেতেই লড়াই থাকবে৷ সামাজিক লড়াইগুলো বুঝে নিতে আমি আর ওর বাবা তো আছিই৷ মেয়ে কেবল পড়াশোনা করে আগে একজন ভালো মানুষ হোক সেটাই চাইব৷’
এই সময়

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32062&boxid=153339904

Saturday, May 27, 2017

Rahul Gandhi visits Saharanpur, Uttar Pradesh. রাহুল গান্ধী উত্তর প্রদেশ এর সাহারানপুর এ পৌঁছলেন।

নয়াদিল্লি ২৭ মে, ২০১৭

শাসক শিবিরের তিন বছরের বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপনে অনেকটাই জল ঢেলে দিয়েছে সহরানপুরের দলিত বিক্ষোভ। সরকারের এই জন্মদিনের আবহে গোষ্ঠী সংঘর্ষে দীর্ণ সহারনপুরে গিয়ে বিজেপির ‘দলিত’ অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে খুঁচিয়ে তুললেন দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার প্রসঙ্গ। গুজরাত বা হরিয়ানায় দলিতদের উপর স্বঘোষিত গোরক্ষকদের হামলা নিয়ে আজ সরাসরি মুখ না খুললেও, দলিতরা যে মোদী শাসনে ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন এই অভিযোগে সরব হন রাহুল। লক্ষ্য একটাই, দলিতদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মোদী সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে যাওয়া।
গোষ্ঠী সংঘর্ষের আঁতুড়ঘর সহারনপুরের শাব্বিরপুর গ্রামে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি অখিলেশ যাদবকে। তিনিও যে পাবেন না তা বিলক্ষণ জানতেন রাহুলও। তবুও আজ হরিয়ানার পথ ধরে সহারনপুর প্রবেশের চেষ্টা করে ঠাকুর-দলিতদের মধ্যে চলা সংঘর্ষকে জাতীয় রাজনীতিতে ফের উস্কে দিয়েছেন রাহুল। বিজেপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা যতই রাহুলকে ‘ট্র্যাজেডি টুরিস্ট’ বলে কটাক্ষ করুক না কেন, যোগী প্রশাসন যে সংঘর্ষ থামাতে কার্যত ব্যর্থ তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে কেন্দ্রের কাছেও।
এই আবহে আজ হরিয়ানার রাস্তা ধরে সহারনপুর পৌঁছানোর চেষ্টা করেন রাহুল। সঙ্গে ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি অজাদ ও রাজ বব্বর। কিন্তু সহারনপুর পৌঁছানোর আগেই তাঁদের আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কেন তাঁদের যেতে দেওয়া হবে না এই নিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস নেতারা। পরে রাহুল টুইট করে জানান, ‘‘প্রশাসন আমায় আটকানোর চেষ্টা করলে আমি পায়ে হেঁটে সহারনপুরের শাহজাহাপুরে পৌঁছে পীড়িত পরিবারের সঙ্গে কথা বলি।’’ রাহুলকে বাদল নামে এক দলিত বালকের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায়। এরপর পুলিশের আপত্তিতে সেখান থেকে ফিরে আসেন তিনি। রাহুল বলেন, ‘‘প্রশাসনিক কারণে আমি এখন ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই আমি এখানে আসতে পারব বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশকর্তারা।।’’
রাহুলের কথা থেকেই স্পষ্ট দলিত প্রশ্নে সরকারকে ঘেরার কোনও সুযোগ ছাড়তে নারাজ তিনি। কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, গত তিন বছরে দেশের নানা প্রান্তে ধারাবাহিক ভাবে দলিত অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। সহারনপুর কোনও ব্যতিক্রম নয়। এই অত্যাচার, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েই দলিত, আদিবাসীদের মতো চিরাচরিত দলীয় ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেতে চাইছেন রাহুল গাঁধী। আগামী দিনে এ নিয়ে দেশ জুড়ে আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি ইউপিএ সরকার দলিতদের স্বার্থরক্ষায় যে পদক্ষেপগুলি করেছে সেগুলিও নিয়ে দলীয় কর্মীদের প্রচারে নামার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল।
উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজপুত ও দলিতদের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। দলিতদের অভিযোগ, মহারাণা প্রতাপের জন্মদিবস অনুষ্ঠানের দিন থেকেই পরিকল্পিত ভাবে দলিতদের উপর হামলা চালাতে শুরু করে ঠাকুর সম্প্রদায়। ইতিমধ্যে ঠাকুর বাহিনীর হাতে মারা গিয়েছেন পাঁচ জন দলিত। বেসরকারি মতে সংখ্যাটি আরও বেশি। চরম অস্বস্তিতে পড়া আদিত্যনাথের সরকার দু’দিন আগেই পরিস্থিতি সামলাতে না পারার অভিযোগে সরিয়ে দেয় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ দুই আমলাকে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি বিশেষ উন্নতি হয়নি।

http://www.anandabazar.com/national/rahul-gandhi-meets-riot-hit-people-at-saharanpur-and-blames-bjp-dgtl-1.619320?ref=hm-new-stry

Rahul Ghandhi not allowed to visit Saharanpur, UP. রাহুলকে সাহারানপুর যাওয়ার অনুমতি দিল না যোগী সরকার



এই সময়, নয়াদিল্লি : জাতিদাঙ্গা বিধ্বস্ত সাহারানপুরকে কেন্দ্র করে গোবলয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে সচেষ্ট কংগ্রেসকে প্রশাসনিক ভাবে রুখে দিতে উদ্যোগী যোগী আদিত্যনাথের সরকার৷ কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী সাহারানপুরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ উত্তপ্ত ওই এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে বলে রাহুলকে জানিয়েছে জেলা পুলিশ এবং প্রশাসন৷ তবে সফরের অনুমতি না পেলেও রাহুল সাহারানপুরে যেতে মরিয়া৷ এ ব্যাপারে বসপা নেত্রী মায়াবতীর সঙ্গে তাঁর এক দফা আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ সাহারানপুরে ঠাকুর বনাম দলিত সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েচেন অন্তত ২০ জন, এঁদের মধ্যে কয়েক জনের আঘাত গুরুতর৷ মোদী সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের মধ্যেই সাহারানপুর বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে৷ বছর তিনেক আগে মুজফফর নগরের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় তত্কালীন অখিলেশ-সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিল বিজেপি৷ কিন্তু এখন উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার৷ তার উপরে সাম্প্রদায়িক নয়, সাহারানপুরের দাঙ্গা জাতিগত৷ উত্তরপ্রদেশে জাতিভেদের চেহারাটা এর ফলে সামনে চলে আসায় এমনিতেই সরকার বেশ অস্বস্তিতে৷ যদিও এর পিছনে মায়াবতীকে কাঠগড়ায় তুলে ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে বিজেপি৷ কংগ্রেস অবশ্য এই ইস্যুতে মায়াবতীর পাশেই দাঁড়িয়েছে৷ ‘বহেনজি’ ও রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থীর নাম নির্ণয় নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে নয়াদিল্লিতে হাজির ছিলেন৷ বরং কংগ্রেস দাদরি, মুজফ্ফর নগরের পরে সাহারানপুর ইস্যুতে আরও একবার বিজেপি-কে চেপে ধরতে মরিয়া৷ দাদরি এবং মুজফফর নগরে অসন্তোষের সময়েও বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস৷ সরকার বিরোধী প্রায় সব ক’টি দল বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল৷ এখন সাহারানপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস চাইছে এক ঢিলে দু’পাখি মারতে৷ এই ইস্যুকে যথাযথ ভাবে প্রচারের আলোয় আনতে পারলে তা কাজে দেবে ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে৷ পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে দীর্ঘকালের জাতপাতের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে যোগী আদিত্যনাথের ইনিংসের শুরুতেই যদি বিজেপিকে জোর ধাক্কা দেওয়া যায়, তাহলে তা পরে গো বলয়ে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে কংগ্রেসকে৷ এমনিতেই উত্তরপ্রদেশে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্ককে মজবুত করতে উদ্যোগী বিজেপি৷ কিন্ত্ত সাহারানপুরের মতো এলাকায়, যেখানে বরাবর দলিতদের আধিপত্য, এখন যোগী-আমলে তা খর্ব করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ এমন একটি হাতেগরম ইস্যু ছাড়তে মোটেই রাজি নয় কংগ্রেস৷ তাই সাহারানপুর-কাণ্ডে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছেন রাহুল গান্ধী৷ বিজেপি প্রত্যাশিত ভাবেই এই ঘটনায় ‘ডিফেনসিভ’৷ তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে অশোকা রোডে দলীয় সদর দফতরে বসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ শুক্রবার বলেন, ‘সাহারানপুর, জেওয়ার সহ অন্যত্র পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে৷ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সব রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ যোগী আদিত্যনাথ সবে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন৷ একটু সময় দিন, সব ঠিক হয়ে যাবে৷’৷

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32030&boxid=15437226

Friday, May 26, 2017

Cow Nama. গো চরিত।

সৌজন্য - এই সময়, ২৭ /০৫ /২০১৭

Government of India bans killings of Cow & Buffalo. হত্যার জন্য বাজারে গোরু -মোষ বিক্রি বন্ধ করতে আইন আনল ভারতের কেন্দ্র সরকার।



নয়াদিল্লি : গোমাংস খাওয়ারঅপরাধেপিটিয়ে হত্যা, গোরুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য চেন দিয়ে বেঁধে মারধর করা, রাজস্থানের এক খামার মালিককে গণপ্রহারের তাণ্ডবের মধ্যেই বার হত্যার উদ্দেশ্যে পশুবাজারে গোরু -মোষ, এমনকী উট কেনাবেচা বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ বৃহস্পতিবার একটি গেজেট বিজ্ঞন্তিতে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, চাষাবাদ বাদে অন্য কোনও কাজের জন্য গোরু-মোষ-বলদ-বাছুর-উট বাজার থেকে কেনাবেচা যাবে না৷ পশুগুলিকে যে চাষের উদ্দেশ্যেই কেনা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে মুচলেকা দিতে হবে৷ কিন্তু পাঁঠা, ছাগল বিক্রি নিয়ে এই নিয়মে কিছু লেখা নেই৷ উত্তর -পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র৷ গোটা দেশে তিন মাসের মধ্যে এটিকে কার্যকর করে ফেলতে হবে৷
গবাদি পশু তার মাংস, চামড়া ইত্যাদি সম্পর্কিত ব্যবসার কাঁচামালের ৯০ ভাগই আসে পশুবাজার থেকে৷ আর সেই বাজারে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা চলে৷ স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রের এই নতুন ফরমান সেই বাজারকে কার্যত পঙ্গু করে দেবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা৷ গোমাংসেও যথেষ্ট টান পড়বে৷ যদিও সব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী হর্ষবর্ধন৷ তাঁর কথায়, ‘যা করা হয়েছে সবই পশুদের প্রতি হিংসা বন্ধে৷ তাই আলাদা কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই৷ মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই রাজনৈতিক তরজার কেন্দ্রবিন্দু গোরু৷ কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা সিকিম বাদে দেশের সব রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ৷ উত্তরপ্রদেশে গোহত্যা নিষিদ্ধ হলেও মোষের মাংস রন্তানির অন্যতম বড় বাজার ওই রাজ্যে৷ মোষের মাংস রন্তানিতে ভারত অন্যতম বড় দেশ৷ ২০১৫ -১৬ অর্থবর্ষে ৪০০ কোটি ডলার মূল্যের মাংস বিক্রি হয়৷ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চামড়ার বাজারও৷ ওই অর্থবর্ষে ভারত থেকে ৫৯২ কোটি ডলারের চামড়া চামড়াজাত দ্রব্য রন্তানি করা হয়৷ আশঙ্কা প্রকাশ করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ফেসবুকে লেখেন, ‘যখন একের পর এক মানুষকে মারা হচ্ছে, তখন গোহত্যা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে৷সর্বভারতীয় মাংস রন্তানি সংগঠনের অধিকর্তা এস এন সব্বরওয়ালও বলেন, ‘আমরা শক্ড৷ হাতে গোনা কয়েকটা কসাইখানা গোপালকদের থেকে পশু পায়৷কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, ‘গোহত্যা নিষেধ করার তীব্র নিন্দা করছি৷ স্বাধীনতা ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে৷ গোরু নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের আবহে এই নিয়ম মুসলিম দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে কেন্দ্রেরপ্রক্সি ওয়ারবলে মনে করছেন বহু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক৷ তা ছাড়া প্রাণিসম্পদ বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত৷ তা হলে কেন্দ্র এমন একটি নিয়ম কী ভাবে চালু করে, সে প্রশ্ন উঠছে৷ দেশ জুড়ে গো -হত্যা বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছিল, রাজ্য -আইন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে নাক গলানো হবে না৷ কেরালার কৃষিমন্ত্রী ভি এস সুনীল কুমার বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে আইনি পরামর্শ নেব৷গবাদি পশু হত্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয় ১৯৬০ -এরপ্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস অ্যাক্টমেনে৷ এই আইনের ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার সংক্রান্ত নিয়ম জারি করতে পারে৷ ওই আইনে রেগুলেশন অফ লাইভস্টক মার্কেটস- নতুন নিয়ম যোগ করেছে কেন্দ্র৷ তবে গবাদি ব্যবসা হত্যার উপরে বা লাইসেন্স থাকলে পশুপালনে সামগ্রিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না৷ সব উপেক্ষা করেই কেন্দ্র যে নতুন নিয়ম আনতে চলেছে, সে ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু হয়েছিল জানুয়ারিতে৷ গোহত্যা, গোমাংস গোমাংসজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রকের মতামত চেয়েছিল পরিবেশ মন্ত্রক৷ সদ্যপ্রয়াত কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী অনিল মাধব দাভেই নয়া নিয়ম অনুমোদন করেছিলেন৷ বাজারে বিকিকিনির জন্য আনা পশুগুলির পরিস্থিতি উন্নত করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই নিয়ম তৈরি হয়েছে বলে পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর৷ নয়া নিয়মে পশুবাজারে কী ভাবে কেনাবেচা চলবে ? ব্যবসায়ীকে গোরু কিনে প্রথমেই তা বিক্রির পাঁচটি প্রমাণ তৈরি করতে হবে৷ প্রমাণগুলি দিতে হবে স্থানীয় রেভিনিউ অফিস, ক্রেতার জেলার স্থানীয় পশু চিকিত্সক, পশু বাজার কমিটি এবং ক্রেতাকে৷ ক্রেতা যে কৃষক কৃষিকাজের উদ্দেশ্যেই তিনি গবাদি পশু কিনছেন, তার প্রমাণও খুঁটিয়ে দেখতে হবে পশু বাজারের দায়িত্বপ্রান্ত আধিকারিকদের৷ কোনও ধর্মীয় আচার উপলক্ষে পশু কেনা যাবে না৷ রাজ্যের সীমানার ২৫ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৫০ কিমির মধ্যে পশু বাজার থাকতে পারবে না৷ বিনা অনুমতিতে এক রাজ্যের বাসিন্দা অন্য রাজ্য থেকে পশু কিনতেও পারবেন না৷
http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32026&boxid=152158441