Thursday, September 27, 2018

বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে শপথ নিলেন জঙ্গলমহলের আদিবাসী নেতা মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু।


বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে শপথ নিলেন জঙ্গলমহলের আদিবাসী নেতা মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, সহ সভাধিপতি পদে শপথ নিলেন শুভাশিস বটব্যাল।

গত বৃহস্পতিবার ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে শপথ নিলেন জঙ্গলমহলের আদিবাসী নেতা মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু ও সহ সভাধিপতি পদে শপথ নিলেন শুভাশিস বটব্যাল। নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্যরাও এদিন শপথ নেন। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ বাঁকুড়া জেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বিদায়ী সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁ, ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁ, বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস, পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এবার বাঁকুড়া জেলা পরিষদে তৃণমূল বিরোধীশূন্য বোর্ড গড়েছে। মোট ৪৬টি আসনের মধ্যে ৩১টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ১৫টি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসক দলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। তবে সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতির পদে কারা বসবেন তা নিয়ে এদিন সকাল পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মৃত্যুঞ্জয়বাবু ও শুভাশিসবাবুর নাম ঘোষণা করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রচুর ভিড় হয়। আদিবাসী শিল্পীদের নাচ ও গানের সঙ্গে ঢাক, ঢোল প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের পাশাপাশি এদিন আদিবাসীরাও তাঁদের রীতি অনুসারে সভাধিপতি সহ অন্যান্যনের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন।
বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেন। অথচ বাঁকুড়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত একজনকে তিনি বসিয়েছেন। মৃত্যুঞ্জয়বাবু সভাধিপতি হওয়ার পর বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষা গিয়েছে।
জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, বাঁকুড়া জেলা পরিষদে বিগত পাঁচবছরে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। আগামী দিনে নতুন বোর্ড আরও ভালো কাজ করবে বলে আশা রাখি। মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক কাজের গতি আমরা ত্বরান্বিত করব।
জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, উন্নয়নের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জেলা পুলিস নিরন্তর কাজ করবে। আমরা বাঁকুড়াবাসীর পাশে রয়েছি।
বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে আমরা এবার থেকে দলের তরফে তিন মাস অন্তর পর্যালোচনামূলক বৈঠক করব। ব্লকে ব্লকে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। প্রশাসনের পাশাপাশি দলও প্রত্যেকের কাজের উপর নজর রাখবে।
নবনির্বাচিত সভাধিপতি তথা রাইপুরের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, আমি গত পাঁচ বছর জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ করেছি। সবার সহযোগিতা নিয়ে জেলার উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাব।
নবনির্বাচিত সহ সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা শুভাশিসবাবু বলেন, বাঁকুড়ার গা থেকে পিছিয়ে পড়া তকমা দূর করতে আমরা চেষ্টা করব।
সৌজন্য – বর্তমান পত্রিকা, ২৮/০৯/২০১৯। ছবি সৌজন্য – সংবাদ প্রতিদিন, ২৮/০৯/২০১৯।

No comments:

Post a Comment