আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে আজ কেন্দ্রীয়
মন্ত্রিসভায় নতুন একটি প্রকল্পের অনুমোদন করল মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী
অন্নদাতা আয় সংরক্ষণ অভিযান। সংক্ষেপে পিএম-আশা। যেখানে কৃষকদের যাতে কোনওভাবেই
অভাবী বিক্রিতে বাধ্য হতে না হয় তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সরকার ঘোষিত নূন্যতম
সমর্থন মূল্যের চেয়ে বাজারদর কম থাকলে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল কিনে নেবে সরকার। এ
ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগও চাইছে কেন্দ্র। উৎপাদিত ফসলের দাম সংক্রান্ত
বিষয় নিয়ে কৃষকদের যাতে কোনও চিন্তা করতে না হয়, তারই লক্ষ্যে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘পিএম-আশা’ প্রকল্পের জন্য ১৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকা অনুমোদন করল।
চাষের খরচ কমানো,
উৎপাদনের পর ফসল ঠিক মতো বিক্রির ব্যবস্থায় উপযুক্ত বাজার
তৈরির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাই যোজনা, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা, সয়েল হেলথ কার্ড, প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিকাশ যোজনার মতো প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্র। ২০১৪ সালে
কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসায় পর পরই এগুলি শুরু হয়েছে। কিছু পুরনো প্রকল্প নতুন নামেও
বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কৃষক আত্মহত্যা রোখা যায়নি। অভাবী
বিক্রির খবরও আসছে দিল্লিতে। এদিকে, আগামী ২০২২ সালের
মধ্যে কৃষকের উপার্জন দ্বিগুণ করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদি। তারই লক্ষ্যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নতুন ওই প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া
হল।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সরকারি বিবৃতি দিয়ে জানানো
হয়েছে, প্রাইস সাপোর্ট সিস্টেম, প্রাইস ডেফিসিয়েন্সি
পেমেন্ট স্কিম এবং পাইলট অব প্রাইভেট প্রকিওরমেন্ট অ্যান্ড স্টকলিস্ট স্কিম, এই তিনটিকে এক ছাতার নীচে আনা হবে। সরকার জানিয়েছে, পিএম-আশা প্রকল্পে ধান,
গম,
তৈলবীজ, দানাশস্য, পাট এবং তুলো যাতে কোনওভাবে নষ্ট না হয়, কৃষককে অভাবী
বিক্রিতে বাধ্য হতে না হয়,
তার জন্য কেবল কৃষিমন্ত্রকই নয়। খাদ্য ও গণবণ্টনমন্ত্রক, বস্ত্রমন্ত্রকও এই ব্যাপারে বাড়তি উদ্যোগ নেবে। কৃষি উৎপাদন সংগ্রহে বেসরকারি
উদ্যোগকে জুড়তে হবে। সরকার নির্ধারিত নূন্যতম সহায়ক মূল্যে তারা খাদ্যশস্য সংগ্রহ
করবে।
সৌজন্য
– বর্তমান, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮।
No comments:
Post a Comment