শরিক দল আইপিএফটি-কে সঙ্গে নিয়ে ছ’মাস ঘর করে ফেলেছেন ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। মন্ত্রিসভায় রয়েছেন
আইপিএফটি-র দুই মন্ত্রীও। শরিক এই আদিবাসী জনভিত্তি দলের অন্যতম দাবি হল পৃথক আদিবাসী
রাজ্য তিপ্রাল্যান্ড গঠন। অন্য দিকে, ত্রিপুরার বাঙালি ভাবাবেগের কথা মাথায় রাখলে রাজ্য
বিজেপির পক্ষে সেই পথে হাঁটা কার্যত অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে সরকারের প্রথম ছ’মাসের মাথায় তিপ্রাল্যান্ডের প্রশ্নে বিপ্লববাবুর দাবি, ‘‘আমাদের
কমিউনিস্ট বন্ধুরা ভোটের আগে বলতেন আইপিএফটি এসে রাজ্য ভাগ করবে। আসলে এমন কিছু নেই।
প্রত্যেকটি দলের রাজনৈতিক বিষয়সূচি থাকে। আর্থ-সামাজিক, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে
আমাদের যৌথসূচি আমরা স্বাক্ষর করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পাঠিয়ে দিয়েছি। এর
পর কেন্দ্র যা পদক্ষেপ করবে।”
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশ্নে বাঙালি-অবাঙালির (আদিবাসী)
মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। সেই ভেদাভেদ তৈরি করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা
বারবার উল্লেখ করার অর্থ হল সাম্প্রদায়িক অশান্তিকে জিইয়ে রাখা। কিন্তু রাজ্য সরকারের
লক্ষ্য হল সকলের উন্নতি। উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের অসন্তোষ দূর করা হবে।
আর তাই ক্ষমতায় এসে চাকরি দেওয়ার পথে হাঁটার চেষ্টা করছে বিজেপি পরিচালিত বিপ্লব
দেবের সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে আগের সরকারের আমলে তৈরি নিয়োগ প্যানেল।
অভিযোগ ছিল, বাম আমলে তৈরি হওয়া ওই প্যানেল মূলত দলীয় ক্যাডারদের চাকরি দেওয়ার জন্য
তৈরি হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লববাবু বলেন, ‘‘শিক্ষা-স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বহু পদ ফাঁকা রয়েছে।
১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে সরকার। শিক্ষক পদে আবেদনকারীদের বিএড যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন।
তাই ওই পাঠ্যক্রম পড়ার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার।” কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরে। বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে মহিলা নিয়োগে। রাজ্যে মহিলাদের
স্বশক্তিকরণের লক্ষ্যে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র দফতরে মহিলাদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন সরকার।
সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, অনমিত্র সেনগুপ্ত, ১২ সেপ্টেম্বর,
২০১৮।
No comments:
Post a Comment