বীরভূম জেলায় ফের ধর্ষণের শিকার হলেন এক আদিবাসী যুবতী৷ তবে রাতারাতি গ্রেফতার
করা হয় অভিযুক্ত ধর্ষককে৷ সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ওই নির্যাতিতা৷
এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে সিউড়ি থানা এলাকার কামারডাঙা গ্রামে৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে কামারডাঙা গ্রামে বছর তেইশের ওই ছাত্রী
একটি জঙ্গলে গরু চরাতে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় পাশের গ্রামের মহিত খান নামের এক
যুবক ওই ছাত্রীকে জোর করে জঙ্গলের ভিতর টেনে নিয়ে যায়৷ তখনই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা
হয়৷ কাউকে জানালেই খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভয় না পেয়ে ওই ছাত্রী বাড়িতে
এসে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। এরপরই বাড়ির লোক ও গ্রামবাসীরা সিউড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ
দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে৷
কিন্তু এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আদিবাসী সমাজ। এই বিষয়ে আদিবাসী গাঁওতার নেতা
সুনীল সরেন বলেন, ‘‘এই ভাবে বারবার আদিবাসী মহিলারা ধর্ষিত হচ্ছে। বাংলায় আদিবাসী
মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। যদিও পুলিশ কাল রাতের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে৷”
বেশ কিছুদিন আগে বীরভূমের পাড়ুইয়ে এক আদিবাসী মহিলা গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন৷
সেই ঘটনার সাত দিন পেরোতে না পেরোতেই মহম্মদ বাজারের জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়ে গণধর্ষণের
শিকার হয়েছিল এক মাঝ বয়সী মহিলা৷ দুটি ঘটনায় আদিবাসী সমাজ তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছিল৷
তবে শনিবার ফের আদিবাসী যুবতী ধর্ষণের ঘটনায় আরও একবার আদিবাসী মহিলাদের নিরাপত্তা
নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
সৌজন্য
– Kolkata 24*7, Rajit Das, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮।
No comments:
Post a Comment