সোমবার (৩০/০৪/২০১৮) থেকে হাইকোর্টের আইনজীবীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হওয়ায়
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি ফের
শুরু করার তৎপরতা আরম্ভ হয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাশিস
কর গুপ্ত ও বিচারপতি শেখর বি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শেষ শুনানি হয়েছিল। পরবর্তী
শুনানির দিন ছিল ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮। ওইদিন থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের কর্মবিরতি
শুরু হয়। এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ
সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুনানি শুরু করার জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে তাঁরা
আলোচনা করেছেন। ডিভিশন বেঞ্চে ‘মেনশন’ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুনানির দিন চাওয়া হবে।
গত ডিসেম্বর মাস থেকে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ডিএ মামলার নিয়মিত শুনানি হচ্ছিল।
আইনজীবীদের কর্মবিরতি শুরু হওয়ার পর কিছুদিন প্রতিদিনের মামলার তালিকায় (কজ লিস্টে)
ডিএ মামলাটির উল্লেখ থাকত। পরে অবশ্য শুনানি বন্ধ থাকায় তালিকায় কোনও মামলারই উল্লেখ
থাকত না। নতুন করে মামলাটি শুরু করার জন্য ‘মেনশন’ করার আগে বিপক্ষের আইনজীবীকে নোটিস
দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই নোটিস আজ, সোমবার রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে দেওয়া হবে। এরপর
মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চের কাছে ‘মেনশন’ করে শুনানির দিন চাইবেন মামলাকারীরা।
ডিএ মামলার শুনানি হাইকোর্টে চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। মামলাকারী সরকারি কর্মী
সংগঠনের তরফে ডিভিশন বেঞ্চের কাছে বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। শেষ শুনানির দিন রাজ্য সরকারের
তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর ঘোষ সওয়াল করছিলেন। কী আইনি ভিত্তিতে ‘স্যাট’ সরকারি
কর্মীদের ডিএ দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে বলে রায় দিয়েছিল,
তা আদালতের কাছে ব্যাখা করার জন্য ওইদিন নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। দু’দিন পর অর্থাৎ
১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু সরকারের
তরফে ১৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন চাওয়া হয়। কিন্তু ওইদিন থেকে আইনজীবীদের কর্মবিরতি
শুরু হয়ে যাওয়ায় শুনানি আর হয়নি।
রাজ্য সরকারি কর্মীমহল হাইকোর্টে ডিএ মামলাটির কী হয়, সেদিকে তাকিয়ে আছে। সরকারি
কর্মী সংগঠনগুলির দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে ৪৫ শতাংশ কম হারে ডিএ পাচ্ছেন
তাঁরা। অন্য রাজ্য সরকারগুলিও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমান বা কাছকাছি হারে ডিএ
দিচ্ছে।
সৌজন্য – বর্তমান পত্রিকা, ৩০/০৪/২০১৮।
No comments:
Post a Comment