Sunday, April 15, 2018

কাঠুয়া, উন্নাও-এর পর সুরাত, দেশজোড়া বিক্ষোভে সামিল সব স্তরের মানুষ।



দেশের প্রায় প্রতিটি বড় শহরেই দুই ধর্ষণকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কাঠুয়া ও উন্নাওয়ে গণধর্ষণ নিয়ে যখন তোলপাড় দেশ, তখন তার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হল রবিবার। এ দিন রাজধানী দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, কেরল, অজমেঢ় এবং ভোপালে আজ মোমবাতি মিছিলে পা মেলান হাজারে হাজারে মানুষ। কাঠুয়ায় ৮ বছরের আসিফাকে ৮ দিন ধরে গণধর্ষন করে খুন করা হয়েছে এবং উন্নাওয়ে ১৬ বছরের একটি কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এই দুই ঘটনাই নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতের সুরাতে ৯ বছরের একটি শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলেছে শনিবার জঞ্জালের স্তূপে।
দেশজুড়ে মহিলা ও শিশুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গোটা দেশের মানুষ সরব হয়েছেন। নট ইন মাই নেমএকটি সংগঠন এ দিন নয়াদিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখায়। দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল রবিবার দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে অনশন শুরু করেন।
বলিউড তারকারাও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনাগুলির তীব্র নিন্দা করে যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বলিউড ডিভাপ্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং একতা কপূর এ দিন টুইট করে তাঁদের ভক্তদের বান্দ্রার কার্টার রোডে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। একতা আজ টুইট করেছেন, ‘‘সবাই আসুন। জাতি-ধর্ম-লিঙ্গভেদে মানবিকতা এবং ন্যায্য বিচারের দাবিতে সবাই আসুন।’’
৪৯ জন প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি যেন নিজে এই পরিবারগুলির বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসেন। চিঠিতে তাঁরা প্রশাসনের তীব্র নিন্দা করে লিখেছেন, ‘‘একটি ৮ বছরের শিশুর উপর বর্বরোচিত অত্যাচার এবং খুন গোটা দেশকে আবার দেখিয়ে দিল যে আমাদের দেশ এখনও কতটা অমানবিক ও বিকৃত রুচির অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আরও এক বার অন্ধকার যুগ যেন নেমে এসেছে, যেখানে সরকার, প্রশাসন এমনকী, রাজনৈতিক দলের নেতারাও অযোগ্য এবং দূর্বল।’’
দেশজোড়া এই প্রতিবাদের মাঝে কাঠুয়ায় নিহত শিশুর মা আজ অপরাধীদের ফাঁসি চেয়েছেন। উন্নাও ধর্ষন কাণ্ডে অভিযোগকারী কিশোরীও বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেনেগার এবং তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।
সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৫ এপ্রিল, ২০১৮।

No comments:

Post a Comment