তফসিলি জাতি ও জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ
আইনে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে এই আইন নিয়ে
সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়ই বহাল রইল। তবে এ নিয়ে আগামী দু’দিনের মধ্যে সমস্ত পক্ষকেই সবিস্তার মতামত জানাতে
নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টে দলিত আইন
নিয়ে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে কেন্দ্র। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই রায় দেয় সুপ্রিম
কোর্টের বিচারপতি এ কে গোয়েল এবং বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ। এই রায়ের পাশাপাশি
বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, এই মামলার শুনানি
জারি থাকবে।
গত ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে
জানিয়েছিল, বহু ক্ষেত্রেই দেখা
গিয়েছে, তফসিলি জাতি ও
জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনের অপব্যবহার করা হয়। কোনও সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে
এই ধরনের কোনও অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ওই
কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছিল আদালত। অন্য দিকে, কোন নাগরিকের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ উঠলে তাঁকে
গ্রেফতারের আগে ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও পুলিশ আধিকারিককে দিয়ে তদন্ত করানোর
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের ফলে একাধিক দলিত সংগঠন মত দেয়, এতে আইনটি লঘু করে দেওয়া হচ্ছে। একই মত ব্যক্ত করে
বিরোধী রাজনৈতিক দলের একাংশও। এ নিয়ে সোমবার ভারত বন্ধের ডাক দেয় বেশ কয়েকটি দলিত
সংগঠন। দলিত বিক্ষোভের জেরে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড-সহ দেশ জুড়ে একাধিক রাজ্যে হিংসার আগুন জ্বলে
ওঠে। মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহত হন বহু মানুষ।
রিভিউ পিটিশনে কেন্দ্রের আর্জি ছিল, আগের রায় বদলে যাতে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের উপর
অত্যাচার হলেই সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়। তবে সেই আর্জি খারিজ করে
দিয়েছে আদালত। এ দিনের রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, “আমাদের উদ্দেশ্য হল, নিরপরাধ মানুষকে রক্ষা করা। তবে এর জন্য কোনও ভাবেই
এই আইনকে লঘু করা হয়নি।”
সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, ০৩/০৪/২০১৮।
No comments:
Post a Comment