আদিবাসী যুবক মতিলাল
বাস্কে কে মিথ্যা মাওবাদী তকমা দিয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশ গুলি করে খুন করার অভিযোগে
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা আন্দোলনে নামল।
গত ৯ ই জুন, ২০১৭ ঝাড়খণ্ড এর পিড়টাড় ব্লক, গিরিডি তে ঝাড়খণ্ড পুলিশ এক নিরীহ আদিবাসী
যুবক মতিলাল বাস্কে কে মাওবাদী তকমা দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ
জানিয়েছেন খোদ ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও প্রাত্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত
সরেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এই শীর্ষ নেতা নিজের বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন
অভিযোগ করেন যে যাকে ঝাড়খণ্ড পুলিশ মাওবাদী সন্দেহে গুলি করে মেরেছে, সেই মতিলাল বাস্কে একজন সাধারণ আদিবাসী
কৃষক ও চা বিক্রেতা। হেমন্ত সরেন উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে মৃত মতিলাল বাস্কে এর
বিধবা ও তিন নাবালক শিশুকে উপস্থিত করেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতা
হেমন্ত সরেন মৃত মতিলাল বাস্কের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার জন্য
ঝাড়খণ্ড সরকারের কাছে দাবী জানান। এই ঘটনার প্রতিবাদে পিড়টাড় ব্লকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি
মোর্চা গত ১৭ ই জুন, ২০১৭ বনধের ডাক দেয়।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতা হেমন্ত সরেন আরও অভিযোগ করেন যে রঘুবর দাস এর
নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সরকার এর পুলিশ মাওবাদী দমনের নামে নিরীহ আদিবাসীদের
খুন ও মহিলাদের রেপ করছে। যদিও এডিজি (অপারেশেন) আর কে মালিক সমস্ত অভিযোগ
অস্বীকার করে জানান যে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই এ মতিলাল বাস্কের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার রেশ টেনে গত ৪ ই
ডিসেম্বর, ২০১৭ আবারও আন্দোলনে
নামে ঝাড়খণ্ড মুক্তি । এবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গী হয়েছে ঝাড়খণ্ড বিকাশ
মোর্চা। আদিবাসী যুবক মতিলাল বাস্কের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে এক সঙ্গে ধরনায়
বসলেন ঝাড়খণ্ডের দুই প্রাত্তন মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতা
হেমন্ত সরেন ও ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার কেন্দ্রীয় সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি।
No comments:
Post a Comment