Wednesday, December 13, 2017

এবার সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি হরফে পঠন পাঠনের উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


ইঁদপুর, বাঁকুড়া। ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭।

অলচিকি সিলেবাস কমিটিকে দিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা করাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ইঁদপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অলচিকি হরফে পঠনপাঠন চালু হয়েছে। আমি চাই আগামী দিনে ষষ্ঠ শ্রেণির পরেও এক একে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অলচিকি সিলেবাস তৈরি হোক।’’ এর পরেই তিনি জানান, কুড়মালি, সাঁওতালি (অলচিকি হরফ) প্রভৃতি নিজস্ব ভাষায় পঠনপাঠন চালু করতে আগ্রহী তিনি। কারণ তাঁদের মধ্যে অনেক মেধা রয়েছে। তাঁরা ভাল শিক্ষক হতে পারেন। বর্তমানে কিছু স্কুল থেকে অলচিকি হরফে (সাঁওতালি ভাষায়) মাধ্যমিকের পঠনপাঠন হলেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাসেই তা হচ্ছে। সে প্রসঙ্গ টেনে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সর্বভারতীয় প্রধান (দিশম পারগানা) নিত্যানন্দ হেমব্রম বলেন, ‘‘প্রাথমিক স্তরে সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি হরফে পঠনপাঠনই ঠিকঠাক শুরু হয়নি। অলচিকিতে উচ্চমাধ্যমিক পড়ার ব্যাপারটাও স্পষ্ট নয়।’’ তিনি জানান, জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁরা দুদফায় ২৭ দফা স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। তাঁর বেশির ভাগই শিক্ষা সংক্রান্ত। সংগঠনের দাবি, সে সব না মিটলে ২০ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, অলচিকি হরফে (সাঁওতালি ভাষায়) পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অনেকে। তিনি এ-ও জানান, আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বসার জন্য তাঁদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আদিবাসী ছেলেমেয়েদের চাকরির বয়সের সর্বোচ্চ সীমাও বাড়ানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৪/১২/২০১৭।

No comments:

Post a Comment