ঝাড়গ্রাম, ১৯ ডিসেম্বর,
২০১৭।
২৭ দফা দাবি পূরণ না
হলে আগামী ২ জানুয়ারি, ২০১৮ থেকে জঙ্গলমহল জুড়ে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল ‘ভারত জাকাত মাঝি
পারগানা মহল’। সোমবার এই আদিবাসী সংগঠনের নেতাদের আলোচনায়
ডেকেছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি। বৈঠকে ছিলেন পশ্চিম
মেদিনীপুর জেলা সহসভাধিপতি অজিত মাইতিও।
গত সেপ্টেম্বর ও
নভেম্বরে দু’দফায় ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর
উদ্দেশ্যে ২৭ দফা দাবি সনদ জমা দিয়েছিল আদিবাসী সংগঠনটি। সাঁওতালি এডুকেশন বোর্ড
গঠন, সাঁওতালি মাধ্যমে উপযুক্ত শিক্ষার পরিকাঠামো গড়া,
সাঁওতালি উন্নয়ন পর্ষদ গঠন, ২০১৮ সালের মাধ্যমিকে
সাঁওতালি মাধ্যমের পরীক্ষার্থীদের জন্য সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি লিপিতে প্রশ্নপত্র
তৈরি-সহ ২৭ দফা দাবি পূরণ না হলে ২০ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
দিয়েছিল আদিবাসী সংগঠনটি।
গত ৫ ডিসেম্বর আদিবাসী
সংগঠনের নেতাদের প্রথম দফায় আলোচনায় ডেকেছিলেন সমায়বাবু। এ দিন ফের আদিবাসীদের
নেতাদের আলোচনায় ডেকে দাবি পুরণে যথাযথ পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন সমায়বাবু ও
অজিতবাবু। আগামী ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে
আদিবাসী নেতাদের বৈঠকে বসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন সমায়বাবুরা। জবাবে আদিবাসী
নেতারাও জানিয়ে দেন তাঁরা ১ জানুয়ারি, ২০১৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। তার মধ্যে
রাজ্যের তরফে সদর্থক পদক্ষেপ করা না হলে ২ জানুয়ারি, ২০১৮ থেকে জঙ্গলমহল জুড়ে
আন্দোলন শুরু হবে। আদিবাসী সংগঠনটির মুখপাত্র রবিন টুডু বলেন,
“সভাধিপতির আশ্বাসে আমরা কিছুদিন আন্দোলন স্থগিত রাখছি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে
আমাদের দাবি নিয়ে বৈঠকে বসানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে আগামী ২
জানুয়ারি, ২০১৮ থেকে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে
ঘেরাও করে অনির্দিষ্টকালীন বন্ধ-অবরোধ কর্মসূচি শুরু হবে।” ঝাড়গ্রাম জেলা
পরিষদের সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি বলেন, “আদিবাসী সংগঠনটির দাবি
নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা ওদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।”
সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা,
১৯/১২/২০১৭।
No comments:
Post a Comment