এই ব্যক্তির
নাম মিনু মাসানি। তৎকালীন বিহারের রাঁচি সংসদীয় কেন্দ্র থেকে ঝাড়খণ্ড পার্টির
টিকিটে ১৯৫৭ সালে নির্বাচিত হয়ে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। মিনু মাসানি একাধারে
ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, আইনজ্ঞ, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে
সংবিধান রচনা সভার সদস্য, লেখক ও মন্ত্রী। ঝাড়খণ্ড পার্টির সভাপতি জয়পাল সিং
মুণ্ডার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথমবার রাঁচি (পূর্ব) লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে
সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সেই সময়
রাঁচিতে দুটি সংসদীয় আসন ছিল – রাঁচি (পূর্ব) ও রাঁচি (তপশীলি উপজাতি সংরক্ষিত)।
ঝাড়খণ্ড পার্টির তৎকালীন সভাপতি জয়পাল সিং মুন্ডা রাঁচি (পূর্ব) লোকসভা আসনে মিনু
মাসানিকে মনোনীত করেন এবং নিজে রাঁচি (তপশীলি উপজাতি সংরক্ষিত) লোকসভা আসন থেকে
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুজনেই নির্বাচনে জয়লাভ করেন। সেই সময় বিহারে
মোট ৪৫ টি লোকসভা আসন ছিল। জয়পাল সিং মুন্ডার নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ড পার্টি ১৯৫৭ সালের
নির্বাচনে ৬ টি লোকসভা আসনে জয়লাভ করে, যার মধ্যে তিনটি সাধারণ আসন।
মিনু মাসানি মুম্বাই
এ জন্মগ্রহণ করে। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ
করেন। লিঙ্কন ইন্ন থেকে আইন নিয়ে পাশ করেন। ১৯২৯ সালে পরাধীন ভারতে ফিরে এসে
বোম্বে হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। অচিরেই ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে মিনু মাসানি
জড়িয়ে পড়েন ও ওকালতি ছেড়ে দেন। জয়প্রকাশ নারায়ণ, অচুত্য পটবর্ধন, ইউসুফ মেহের আলি
ও অন্যান্য দিজ্ঞজ নেতাদের সাথে মিলে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টির স্থাপন করেন,
কিন্তু কিছু দিন পরেই এই পার্টির সংশ্রব ত্যাগ করেন। ১৯৩৯ সালে মিনু মাসানি টাটা
কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন।
১৯৪২ সালে
পুনরায় ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন এবং কারাবাস বরণ করেন। ১৯৪৩ সালে বোম্বের মহানাগরিক
মনোনীত হন। ভারত স্বাধীন হবার পর ভারতীয় সংবিধান রচনা সভার সদস্য মনোনীত হন।
১৯৫৭ সালে
দ্বিতীয় লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড পার্টির সভাপতি জয়পাল সিং মুণ্ডার ডাকে সাড়া
দিয়ে প্রথমবার রাঁচি (পূর্ব) লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সাংসদ নির্বাচিত
হয়েছিলেন। ১৯৭৮ সালে জনতা পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পুনরায় জয়লাভ করেন
এবং জনতা পার্টির সরকারে মন্ত্রী হন। মিনু মাসানি একজন বড় লেখকও ছিলেন, রাজনীতি ও
অর্থনীতির ওপর প্রায় ২০ টির মতন বই লিখেছেন। ১৯৭৮ সালে এই মহান ব্যক্তির মৃত্যু
হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ
ReplyDelete