টানা আঠারো
দিন ধরে লড়াইয়ের পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী সোমরা ওঁরাও।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল একশো
দশ বছর। গত ১ এপ্রিল, ২০১৯ থেকে তিনি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সিসিইউতে ভরতি
ছিলেন।
সোমরা ওঁরাও
ছিলেন ভারত ছাড়ো আন্দোলনের আদিবাসী একমাত্র জীবিত স্বাধীনতা সংগ্রামী। বয়স জনিত
বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
হাসপাতাল
সূত্রে জানা গিয়েছে শ্বাসকষ্ট ও রক্তচাপ জনিত বিভিন্ন সমস্যায় গত ১ এপ্রিল নাতি
দিলীপ ওঁরাও তাঁকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভরতি করেন। সেখানেই সিসিইউ’তে
ডাঃ সুকান্ত মান্নার অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। দিন দুয়েক ধরে চিকিৎসায় সারা
দিচ্ছিলেন না সোমরা ওঁরাও।
১৯৪২ এর ভারত
ছাড়ো আন্দোলনে বালুরঘাট থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে পারিলাহাটে ব্রিটিশের
বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকশো মানুষ। সেদিনের তরুণ সোমরার ডাকে অন্যান্য
সম্প্রদায়ের পাশাপাশি আদিবাসীরাও পরাধীনতার শৃংখল থেকে দেশমাতাকে উদ্ধার করতে
তীর-ধনুক নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন।
১৯৪২ সালের
১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় কৈকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সোমরা ওঁরাও-এর নেতৃত্বে
পারিলাহাটে কয়েকশাও আদিবাসী তীর ধনুক নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধে নেমে
পড়েছিলেন।
সেদিনের
লড়াইয়ে ব্রিটিশের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন চারজন। পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছিলেন
কুড়ি জনেরও বেশি। পায়ে গুলি লেগেছিল সোমরা ওঁরাও এর৷ দেশ স্বাধীন হবার পর ভারত
সরকার তাঁকে তাম্রফলক দিয়ে সম্মানীত করেছে। বহুদিন ধরেই তিনি অসুখে ভুগছিলেন বলে
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
সৌজন্য –
কলকাতা ২৪ x৭, শংকর দাস, April 18,
2019
No comments:
Post a Comment