গত বুধবার (২১/০২/২০১৮) গঙ্গারামপুরের সরকারি সভায়
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে সরকারের
তরফে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা তরুণীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। তিনি সুস্থ
হয়ে উঠলে তাঁর সব দায়িত্বই নেবেন তাঁরা। তবে এই ঘটনায় পুলিশ ও হাসপাতালের একাংশের
ভূমিকায় তিনি কতটা ক্ষুব্ধ তা বোঝা গিয়েছে রায়গঞ্জের প্রশাসনিক বৈঠকে। এক দিকে
পুলিশ প্রশাসনকে ধমক দিয়েছেন, অন্য দিকে গাফিলতির দায়ে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের রোগী
কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনকে সরিয়ে দিয়েছেন।
এ দিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতার
সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। চিকিৎসায়
সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি। জটিল অস্ত্রোপচারের পর নির্যাতিতার পরিস্থিতি এখন
স্থিতিশীল বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এ দিন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন
লীনাদেবীর সঙ্গে সামান্য কথাও হয় তাঁর। লীনাদেবী বলেন,
‘‘অস্ত্রোপচার ভাল ভাবেই হয়েছে। তাই ওই
তরুণী বেঁচে গেলেন। প্রয়োজনের সময় দ্রুত তাঁকে পাঁচ বোতল রক্তও দেওয়া হয়েছে।’’ কুশমণ্ডি কাণ্ডের গোড়া থেকে যা যা হয়েছে তার কিছুতেই
যে তিনি সন্তুষ্ট নন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন
মুখ্যমন্ত্রী। সকালে গঙ্গারামপুরের সভাতে জেলা পুলিশকে সতর্ক করেন। বিকেলে
রায়গঞ্জে প্রশাসনিক বৈঠকে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
এবং কুশমণ্ডি থানার আইসি শ্যামল ঘোষের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,
‘‘একটি আদিবাসী মেয়ে নির্যাতিত হয়ে ২০ থেকে
২৪ ঘণ্টা পড়ে থাকল, তোমরা জানতে না? মেয়েটি উদ্ধার হওয়ার পরেও অনেক দেরিতে পুলিশ অ্যাকশন
নিয়েছে। পুলিশ কী এলাকায় টহল দেয় না? পুলিশের কী সোর্স নেই? এ ভাবে কিন্তু চলতে পারে না। আমি লাস্ট বলে গেলাম।’’
এই বৈঠকেই রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ
সমিতির চেয়ারম্যান কেয়া চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
নির্যাতিতা রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হলেও রোগী কল্যাণ সমিতি তৎপরতা দেখায়নি বলে
অভিযোগ উঠেছে।
No comments:
Post a Comment