রাজস্থান রাজ্যের
আলওয়ার জেলার লালওয়াড়ি গ্রাম থেকে তালবৃক্ষ গ্রামে যাবার পথে স্বামীর সামনেই নির্মম
ভাবে গণধর্ষিতা হলেন এক দলিত নারী। বেধড়ক মারধর করা হল স্বামীকে। শুধু তা-ই নয়। ধর্ষণের পুরো
পর্ব ভিডিয়ো করে ছেড়ে দেওয়া হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঙ্গে ভয় দেখানো
হল, যদি তাঁরা অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় ফাঁস করেন তা হলে খুন
করা হবে ওই দলিত দম্পতিকে। ঘটনাটি গত ২৬ এপ্রিল হলেও ভয়ের চোটে তার সাতদিন
পর পুলিশে অভিযোগ রুজু করেন ওই দম্পতি। আপাতত এক জন ধৃত।
পুলিশ সুত্রে
জানা যায় যে,
গত ২৬ এপ্রিল আলওয়ার জেলার লালওয়াড়ি গ্রাম থেকে তালবৃক্ষ গ্রামের দিকে
যাচ্ছিলেন ওই বধূ ও তাঁর স্বামী। হঠাৎই পাশ থেকে দু’টি মোটরবাইকে
চেপে এসে রাস্তা আটকায় পাঁচ অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। তখনই প্রমাদ গুণেছিলেন
রাজস্থানের ওই বধূ।
কিন্তু
আত্মরক্ষার সুযোগটুকু পাওয়ার আগে দু’জনকেই টেনে আড়ালে নিয়ে যায় ওই পাঁচ
জন।
দু’জন মিলে
আটকে রাখে স্বামীকে। আর তাঁর চোখের সামনেই বাকি তিনজন মিলে গণধর্ষণ
করে স্ত্রীকে।
তার
পর সেই তিন জন গিয়ে আটকে রাখে স্বামীকে, বাকি দু’জন গণধর্ষণ করে। পুরো পর্বের ভিডিয়ো হয়। গত সোমবার সে
ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হলে ভাইরাল হয়ে যায় সেটি। পুলিশের দাবি, ‘অভিযুক্তরা
যখন নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল, তখন ওই বধূ তিন জনের নাম জানতে
পেরেছিল - সচিন, জিতু এবং অশোক। বাকি দু’জন অভিযুক্তের
নাম তিনি জানতে পারেননি।’ ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা ছাড়াও তফসিলি
জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) সংশোধনী
আইন, ২০১৫ ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়েছে। ১৪টি দল তৈরি
করা হয়েছে বাকি অভিযুক্তদের ধরার জন্য।
অভিযুক্তরা এলাকার
প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। আর যাদের উপর অত্যাচার চলেছে, তারা
দলিত সম্প্রদায়ের। গ্রামবাসীদের একাংশের ক্ষোভ, এ কারণেই
পুলিশ এত দিন ধরে গড়িমসি করেছে। কিন্তু খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরে আসায় আপাতত
সক্রিয় পুলিশ।
শেষমেশ
নির্যাতিতা ন্যায়বিচার পায় কি না, সেটাই দেখার। (ছবি - প্রতীকী)
সংবাদ সৌজন্য
– এইসময়, ০৮/০৫/২০১৯।
No comments:
Post a Comment