খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে গত সোমবার ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকালে অসুস্থ হয়ে পড়ল
কেশিয়াড়ির নছিপুর আদিবাসী হাইস্কুলের প্রায় ৪০ জন আদিবাসী অবাসিক ছাত্রী। এদের
মধ্যে ১৮ জনকে স্থানীয় খড়িকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এবং বাকি ৬ জনকে কেশিয়াড়ি
গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এলাকায় পাঠানো হয়েছে মেডিক্যাল টিমও।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন স্কুল শুরু
হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ ছাত্রীদের পেট ব্যথা শুরু হয়, কারও
কারও বমিও হয়। রবিবার রাতে কয়েকজনের পায়খানা হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর এদিন একে
একে ছাত্রীরা অসুস্থ হতে শুরু করলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও সঙ্গে সঙ্গে তাদের
চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ৩৫ জন ছাত্রীকে সুপার স্পেশালিটিতে ও ৬ জনকে গ্রামীণ
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে মেডিক্যাল টিম
পাঠানো হয়। খড়্গপুরের এসিএমওএইচ দেবাশিস পাল নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্কুলে যান।
তিনি বলেন, পায়খানা, বমি, পেটব্যথা নিয়ে ছাত্রীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়। কোথায় রান্না হয়েছিল, কীভাবে খাবার আনা হয়েছিল, রান্না করার কতক্ষণ পরে
খাওয়া হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক স্বপন পড়িয়া বলেন, কয়েকজন
অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। অধিকাংশ ছাত্রীকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, হস্টেলে রান্না করা মাংস খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে
পড়ে।
সিএমওএইচ গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, ছাত্র
হস্টেল থেকে মাংস রান্না করে এনে ছাত্রীদের হস্টেলে খাওয়ানো হয়। দু’টি হস্টেলের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। সম্ভবত সকালের রান্না রাতে খাওয়ানো
হয়েছে। এর থেকেই বিষক্রিয়া হয়ে যায়। তিনি বলেন, এর আগেও
একবার একই ঘটনা ঘটেছিল। অনেকে অসুস্থ হয়েছিল। তাই খড়্গপুরের এসিএমওএইচকে তদন্ত করে
রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেরকম কিছু দেখলে সেই রিপোর্ট জেলাশাসক ও জেলা বিদ্যালয়
পরিদর্শককে পাঠানো হবে।
ছাত্রীরা জানায়, রবিবার রাতে হস্টেলে মাংস দেওয়া হয়েছিল।
সেই মাংস খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থতা বোধ হয়, পেট ব্যথা ও বমি
হয়। এদিন স্কুলে আসার পর তা বাড়তে থাকলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সৌজন্য
– বর্তমান পত্রিকা, ৩১/০৭/২০১৮।
No comments:
Post a Comment