গুড়গাঁও
: নৃশংসতার নজির! অটোয় তরুণী গণধর্ষণের আগে তাঁর ৯ মাসের শিশুকন্যাকে গলা টিপে হত্যা
করে ধর্ষকেরা৷ তার পর ছুড়ে ফেলে দেয় অটোর বাইরে৷ পুলিশের দাবি, শিশুটির কান্না থামাতেই
নৃশংস এই কাজটি করে অভিযুক্তরা৷ ঘটনার এক সপ্তাহ পর অবশেষে অভিযুক্ত অটোচালককে গ্রেফতার
করতে পেরেছে পুলিশ৷ এখনও খোঁজ নেই বাকিদের৷ এদিকে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড
করা হয়েছে গুড়গাঁওয়ের এক মহিলা পুলিশকর্মীকেও৷ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি নির্যাতিতার
অভিযোগ নিতে চাননি৷
ঘটনাটি
সোমবারের৷ শ্বশুরবাড়ির গ্রামে একটি ঝামেলার পর বাপের বাড়ি ফিরছিলেন বছর তেইশের ওই তরুণী৷
প্রথমে একটি ট্রাকে ওঠেন তিনি৷ কিন্তু, ট্রাক চালক তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করায় নেমে
যান৷ তখনই তাঁকে ‘লিফ্ট’ দেয় অটোচালক৷ আগে থেকেই যাতে সওয়ার ছিল তিন জন৷ অভিযোগ, অটোতেই
তাঁকে ধর্ষণ করে ওই তিন ব্যক্তি৷ শিশুটির কান্নার আওয়াজে যাতে পথচলতি কেউ টের না পায়,
তার জন্যই তাকে গলা টিপে খুন করে ধর্ষকেরা৷ দেহ ফেলে দেওয়া হয় অটোর বাইরে৷ ঘণ্টা চারেক
নির্যাতনের পর তরুণীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা৷ তিনি নিজেই কোনও মতে
উঠে শিশুটিকে নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান৷ সেখানে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বললে বিশ্বাস
হয়নি মায়ের৷ ওই অবস্থায় মেট্রো ধরে দিল্লির এইমসে যান তিনি৷ যদি কোনও মিরাকেল হয়
...বেঁচে যায় তাঁর সন্তান ! সেখানেও একই কথা বলা হলে, ঘরে ফিরে যান তরুণী৷ ঘটনা যতটা
নির্মম, ততটাই নির্মম এই ঘটনার প্রতি পুলিশের ভূমিকাও৷ অভিযোগ, প্রথম দিনে তো এফআইআর-ও
নেওয়া হয়নি৷ দ্বিতীয় দিন এফআইআর নেওয়া হলেও, গণধর্ষণের ধারা তাতে যোগ করা হয়নি৷ ঘটনার
পাঁচ দিন পর মামলায় গণধর্ষণ যুক্ত করা হয়৷ তার পর শুরু হয় তদন্ত৷ এ দিন অভিযুক্তদের
বিরুদ্ধে শিশুহত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে৷ গুড়গাঁও-এর পুলিশ প্রধানের অবশ্য বক্তব্য,
‘থানার মহিলা ইনচার্জ গড়িমসি করলেও, বিষয়টি ওপরতলায় পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা
নেওয়া হয়৷’ কিন্তু, এখনও কেন হদিশ পাওয়া গেল না বাকিদের ? পুলিশের বক্তব্য, ধৃত যোগেন্দরকে
জেরা করেই বাকিদের সন্ধান মিলবে৷ ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্যও মিলেছে বলে দাবি
পুলিশের৷
http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32321&boxid=152514299
No comments:
Post a Comment