Wednesday, June 21, 2017

রাজনগরে আদিবাসী সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল সমর্থক খুনে গ্রেফতার সিপিএম নেতা।


সিউড়ি ২১ জুন, ২০১৭

রাজনগর-কাণ্ডে এক সিপিএম নেতা তথা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার আদিবাসী সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধীর গুলি, বোমার লড়াইয়ে তেতে ওঠে রাজনগর। রাজারকেন্দ গ্রামে মুখোমুখি সংঘাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বলরাম মণ্ডল নামে এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মীর। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি ছিল, ‘‘ঘটনার জন্য দায়ি বিজেপি ও সিপিএম। থাকতে পারে মাওবাদী যোগও।’’
সোমবার রাতেই মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, দলের ব্লক যুব সভাপতি রানাপ্রসাদ রায়। তালিকায় নাম থাকা রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি, সিপিএম নেতা দেবীশ্বর পাঁউরিয়াকে তারপরই পুলিশ ধরে। গ্রেফতার করা হয় রাজেশ হাঁসদা, মঞ্জুর মিঞা এবং জব্বর খানকেও। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে মঙ্গলবার সিউড়ি আদালতে হাজির করায় পুলিশ। শেষ জনের চার দিনের জেল হেফাজত এবং প্রথম তিন জনের চার দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন এসিজেএম রিনা তালুকদার।
সিপিএমের দাবি, দলের ওই আদিবাসী নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাধন ঘোষ বলেন, ‘‘এক জন শিল্পীকে ইচ্ছে করে ফাঁসিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। দেবীশ্বর ওই সময়ে তো কাছাকাছি ছিলেন না।’’ সিপিএমের দাবি, বিরোধী দলের সদস্যদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত করতে গিয়ে আদিবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল তৃণমূল। কিন্তু, আদিবাসীরা তো আর বোমা-বন্দুক নিয়ে লড়াই করতে আসেননি। তা হলে? বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বক্তব্য, ‘‘সেটা পুলিশ ঠিক ভাবে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।’’ তৃণমূলের রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার সাধুর দাবি, ‘‘ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছিল দেখে ওই গ্রামে আমাদের নেতাকর্মীরা যান। তখনই অতর্কিতে আক্রমণের মুখে পড়েন।’’
আদিবাসীদের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই গঠিত রাজনগর আদিবাসী ল্যাম্পস। এর আগে যা সিপিএমের দখলেই ছিল। সেই সমবায়ের দখল নিয়েই চূড়ান্ত সংঘাত তৈরি হয় শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে। বিরোধীদের দাবি, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সব জায়গায় তৃণমূল ক্ষমতা থাকলেও আলিগড় গ্রামের ওই সমবায়টি দখলে না থাকায় তারা মরিয়া হয়ে মনোনয়ন পত্র তোলা থেকেই সন্ত্রাস চালাচ্ছিল। এই নিয়ে ক্ষোভ জমছিল আদিবাসীদের মধ্যে। সোমবার নির্বাচনের দিন বহিরাগতদের নিয়ে ভোটারদের আটকানোর চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, ‘‘বোমাবাজি ও ভয় দেখানোর চেষ্টা করতে গিয়েই রাজরকেন্দ গ্রামে আদিবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে তৃণমূল।’’
তৃণমূলের এক নেতা মানছেন, ‘‘সম্মিলিত আক্রমণ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, এমনটা যে হতে পারে সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি।’’ আঁচ করতে পারেনি পুলিশও। তৃণমূলের দাবি, বিরোধীরা ঝাড়খণ্ড থেকে লোকজন নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে ছিল। শাসকদলের তরফে দাবি, মূল ষড়যন্ত্রকারী সদ্য বিজেপি যোগ দেওয়া সমিউল আখতার ওরেফে মিলন।
বিজেপি অবশ্য সমিউলের সঙ্গে তাদের যোগের কথা মানতে চায়নি। তবে এলাকার বড় অংশ জানাচ্ছে, তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেও রাজনগরে বিরোধী শক্তি রয়েছে। রয়েছে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীও। শেষ পর্যন্ত ল্যাম্পসের ক্ষমতা দখলে এলেও সোমবারের ঘটনা তৃণমূল বিরোধী শক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করছে। রাজারকেন্দ গ্রামে বেশ কয়েক’টি আদিবাসী গ্রামের লোকজন আগেই তৈরি ছিল সেটা মানছে পুলিশও।

http://www.anandabazar.com/district/purolia-birvhum-bankura/police-arrested-rajnagar-s-cpm-leader-1.631375?ref=purolia-birvhum-bankura-new-stry

খড়গপুরে ধর্ষণ করে খুনের নালিশ, গ্রেফতার।


খড়্গপুর ২১ জুন, ২০১৭

পড়শির বাড়ি থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল সোমবার। অভিযুক্ত গৌতম সিংহকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি খড়্গপুর-২ ব্লকের। স্থানীয় বাসিন্দা বছর একত্রিশের গৌতমের বাড়ি থেকেই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের বাবা গৌতমের বিরুদ্ধে পুলিশে মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গৌতমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পেশায় রাজমিস্ত্রি গৌতমের বাড়ি খড়্গপুরের মাদপুরের কাছে। দাদা মারা যাওয়ার পরে বৌদিকে বিয়ে করে গৌতম। তাদের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বছর ছ’য়েক আগে খড়্গপুর-২ ব্লকের গ্রামে ঘরজামাই হয়ে থাকতে শুরু করে গৌতম। ওই গ্রামে নিজের বাড়িও করেছে সে। দিন দু’য়েক আগে মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী বাপের বাড়ি যাওয়ায় বাড়ি ফাঁকাই ছিল। সোমবার সাইকেল শেখার সময় বাড়ির সামনে থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় ওই কিশোরী। পরিজনেরা তল্লাশি চালানোর সময় গৌতমের বাড়ির খাটের নীচ থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের ধারণা, সাইকেল শেখার সময়ে কোনও প্রলোভন দেখিয়ে ওই বালিকাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় গৌতম। এরপরেই তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। উত্তেজিত এলাকার বাসিন্দারা সোমবার গৌতমকে আটকে রেখে মারধর করে বলেও অভিযোগ। তার বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দা সনাতন বেরার অভিযোগ, “আগে গৌতম নিজেকে বাঁচাতে আরও দু’জনের নাম বলছিল। কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল যা করার ও নিজেই করেছে। তাই উত্তেজিত মানুষ ওর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামে এই ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। আমরা গৌতমের কঠোর শাস্তি চাই।”
মারধরে জখম গৌতমকে পুলিশ খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার গৌতমকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই কিশোরীর দেহও মেদিনীপুর মেডিক্যালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
গৌতমকে আর গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর দে বলছেন, “নিজের তিনটি কন্যা সন্তান থাকা সত্ত্বেও মেয়ের বয়সী বালিকাকে ও কী ভাবে ধর্ষণ করল সেটাই আমাদের ভাবাচ্ছে। গৌতমকে আর কখনও গ্রামে ঢুকতে দেব না।” মেয়ে হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মৃতের বাবা বলছিলেন, “মেয়েকে খুঁজে পেলাম কিন্তু মৃত অবস্থায়। গৌতম আমার মেয়ের সর্বনাশ করে খুন করেছে। আমি ওর ফাঁসি চাই।” খড়্গপুরের এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল বলেন, “মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গৌতম সিংহের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও তার পরে খুনের মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে।”

http://www.anandabazar.com/district/mednipore/man-arrested-for-the-complaint-of-rape-and-murder-1.631352?ref=mednipore-ft-stry

ঝাড়গ্রামে নতুন জেলা পরিষদ গঠন।


ঝাড়গ্রাম ২১ জুন, ২০১৭

সূচি মেনে গঠিত হল ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ। মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের সভাঘরে নতুন জেলা পরিষদের ১৫ জন সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করালেন ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সজলকান্তি টিকাদার। সদস্যদের মধ্যে থেকে সভাধিপতি পদে সমায় মাণ্ডি এবং সহ-সভাধিপতি পদে সোমা অধিকারীকে সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
দু’জনের নামই অবশ্য আগে ঠিক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন, মহকুমাশাসক (সদর) নকুলচন্দ্র মাহাতো, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রবীর ঘোষ, ভারপ্রাপ্ত জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নোয়ন আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
নিয়ম অনুযায়ী এ দিনের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটিই ছিল জেলা পরিষদের প্রথম সভা। ২৯ জুন জেলা পরিষদের ন’টি স্থায়ী সমিতি গঠন করা হবে। জুলাই মাসে প্রতিটি স্থায়ী সমিতির সদস্যরা মোট ৯জন কর্মাধ্যক্ষকে নির্বাচিত করবেন। মহকুমাশাসক (সদর) নকুলচন্দ্র মাহাতো জানান, আপাতত, সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি সহ নতুন জেলা পরিষদের সদস্যরা অস্থায়ী জেলা পরিষদ ভবনে বসবেন।
ঝাড়গ্রামের কৃষিসেচ দফতরের একটি অতিথিশালা সংস্কার করে নতুন জেলা পরিষদ কার্যালয় তৈরির কাজ চলছে। পরে তাঁদের শুভেচ্ছা জানান অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা, নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু প্রমুখ। নতুন জেলার সভাধিপতি পদে শপথ নেওয়ার পরে এ দিন সমায়বাবু জেলা পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে। তাঁদের কাছে উন্নয়নের পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। ঝাড়গ্রামকে মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
ঝাড়গ্রাম জেলা হওয়ার পরে পশ্চিম মেদিনীপুরেও নতুন ভাবে জেলা পরিষদ গঠিত হয়েছে। তবে সেখানে জেলা সভাধিপতি পদে কোনও বদল হয়নি। উত্তরা সিংহই সভাধিপতি রয়েছেন। আর সহ-সভাধিপতি হয়েছেন অজিত মাইতি। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

http://www.anandabazar.com/district/mednipore/new-district-council-made-in-jhargram-1.631344?ref=mednipore-new-stry

Tuesday, June 20, 2017

গাড়ি ছুটিয়ে ধর্ষণ চলল পালা করে।


গুরুগ্রাম ২১ জুন, ২০১৭

এক মাসের মাথায় ফের গুরুগ্রামে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের অভিযোগ। বছর পঁয়ত্রিশের এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে টানা সাত-আট ঘণ্টা ধর্ষণ করে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তিন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ধর্ষণ চলাকালীন গুরুগ্রাম থেকে দিল্লি পেরিয়ে গ্রেটার নয়ডার দিকে গাড়ি ছুটিয়ে দেয় গাড়ির চালক। পরে ভোরের দিকে অন্ধকার জায়গা দেখে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে যায় তাঁকে। এক মাস আগে এই গুরুগ্রামেরই মানেসর এলাকায় চলন্ত অটোতে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে অটোচালক ও তার দুই সঙ্গী। ভয় পেয়ে তাঁর কোলের সন্তান কেঁদে উঠলে নমাসের শিশুটিকে ছুড়ে রাস্তায় ফেলে দেয় তারা। সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির।
পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানান, গত কাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ গুরুগ্রামের সোহনা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকেই তাঁকে জোর করে গাড়িতে জোর করে তোলে ৩ দুষ্কৃতী। এর পর সারা রাত ধরে তাঁকে পালা করে ধর্ষণ করে তারা। সেই অবস্থাতেই দিল্লি পেরোয় গাড়িতে। ভোরের দিকে সুযোগ বুঝে গ্রেটার নয়ডায় একটি অন্ধকার জায়গায় তাঁকে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায়, পুলিশকে জানালে খুন করে ফেলবে। বিধ্বস্ত অবস্থায় পথে কাঁদতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় তাঁকে নিয়ে যান। পুলিশ তাঁর বয়ান রেকর্ড করে। পরে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। দিন ১০-১৫ আগেই কাজের সূত্রে রাজস্থানের ভরতপুর থেকে সোহরায় এসেছিলেন ওই তরুণী। সেখানে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, যেখানে ওই মহিলাকে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, সেখান থেকে বেশ করেকটি মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ধর্ষণের সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল তিন জন। এখনও তাদের কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি। রাজধানী সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। তবে ২০১২-য় নির্ভয়া কাণ্ডের পরে একের পর এক ধর্ষণ-খুনের ঘটনাতেও হুঁশ ফেরেনি পুলিশ-প্রশাসনের। আজও গ্রেটার নয়ডায় ১০০ নম্বর লেখা গাড়িতে বসে পুলিশকে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে দেখা গিয়েছে। সে ভিডিও এখন ভাইরাল।

http://www.anandabazar.com/national/woman-allegedly-gang-raped-then-thrown-from-car-1.631462?ref=hm-new-stry

নার্সারি থেকে পিএইচডি, ছাত্রী-শিক্ষা ফ্রি পাঞ্জাবে।


নয়াদিল্লি : নার্সারি থেকে একেবারে পিএইচডি পর্যন্ত মেয়েদের বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ দেবে পাঞ্জাব সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং মঙ্গলবার বিধানসভায় এই ঘোষণা করেছেন৷ আগামী ১ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে৷
সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে নার্সারি থেকে দ্বাদশ এবং তারপরে কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের খরচ সম্পূর্ণ মকুব করার সিদ্ধান্ত কার্যত নজিরবিহীন৷ শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকলেরই বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ পাওয়ার কথা৷ তারপরে মূলত দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য নানা সরকারের নানা প্রকল্প আছে৷ কোনও পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তান সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষা ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করলে একাদশ -দ্বাদশের জন্য স্কলারশিপ দেওয়া হয়৷ তবে এ রকম বিচ্ছিন্ন প্রকল্প নয়৷ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, মেয়েদের পড়াশোনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা৷ নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রীতি পূরণ করে মেয়েদের ক্ষমতায়নের একগুচ্ছ প্রকল্প নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য আগেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন৷ এর মধ্যে একটি প্রকল্প অনুযায়ী মেয়েদের থেকে লোকাল ফান্ড নেওয়া নিষিদ্ধ৷ মঙ্গলবারের এই ঘোষণার পরে ছাত্রীদের পঠনপাঠনের জন্য অ্যাডমিশন ফি, অ্যামালগামেটেড ফান্ড, পিটিএ এবং স্পোর্টস ফিও নেওয়া যাবে না৷ ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী পাঞ্জাবে ১০০ জন মেয়ে প্রতি ছেলের সংখ্যা ১১৭-রও বেশি৷ যার অর্থ, রাজ্যে পুত্রসন্তানের জন্মহার অনেক বেশি বা এক বছর বয়সের আগেই কন্যাসন্তানদের মৃত্যুহার স্বাভাবিকের অনেক উপরে৷ কন্যাভ্রূণ হত্যার পাশাপাশি সাক্ষরতার হারেও ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেকটাই পিছিয়ে৷ সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবে সাক্ষরতার হার ৬৯.৭ শতাংশ৷ ছেলেদের ক্ষেত্রে এই হার ৭৫.৪ শতাংশ৷ সে জায়গায় মেয়েরা আছে ৬৩.৪ শতাংশে৷ এই পরিস্থিতিতে অমরিন্দরের উদ্যোগ এবং সরকারি ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ মেয়েদের পড়াশোনার খরচ মকুবের পাশাপাশি একাদশ-দ্বাদশের লাখদেড়েক ছাত্রী বিনামূল্যে সাইকেল পাচ্ছে কি না, তাও দেখা হবে৷ শিক্ষা দফতরের  কাজকর্মের মূল্যায়ন হবে বলেও সরকার জানিয়েছে৷
সেই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নতির জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার৷ বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের সঙ্গে বইগুলি ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়া হবে৷ সরকারি স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক চালু এবং সরকারি স্কুল কলেজগুলিতে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেওয়ার কথাও জানান তিনি৷ প্রয়োজন অনুযায়ী স্কুলে আসবাব, বাসনপত্র দেওয়ার জন্যও ভাল মতো অর্থবরাদ্দ করেছে সরকার৷ জুলাই থেকে প্রত্যেক এডুকেশনাল ব্লকে দুটি করে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু করবে সরকার৷ যদিও যথাযথ পরিকল্পনা এবং যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ না করে এই উদ্যোগ নেওয়া হলে কতখানি সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে৷
সৌজন্য - এই সময়, ২১/০৬/২০১৭

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32626&boxid=135933970

আদিবাসী ল্যাম্পস (LAMPS) নির্বাচনী সংঘর্ষে গুলি, রাজনগরে নিহত তৃণমূল নেতা।


রাজনগর : পাড়ুইয়ের বদলা রাজনগরে৷ ফের লার্জ সাইজড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড বা ল্যাম্পস নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তাল হল বীরভূম৷ গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল নেতার৷ আহত অন্তত পাঁচ জন৷ প্রকাশ্যে বোমা-গুলি-তির উঁচিয়ে চলে ক্ষমতা প্রদর্শন৷ তবে পাড়ুইয়ের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রীতিমতো প্রস্ত্ততি নিয়ে এসেছিল বিজেপি৷ ফলে তাদের আক্রমণে পিছু হটতে হয় তৃণমূল কর্মীদের৷ গোটা ঘটনায় বিজেপি-সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল৷ এমনকী ঘটনার সঙ্গে মাওবাদী যোগের তত্ত্ব শুনিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ এ দিন তিনি বলেন, ‘ঝাড়খণ্ড থেকে মাওবাদীদের নিয়ে এসে যথেচ্ছ বোমা-গুলি চালিয়েছে ওঁরা৷ ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যায় স্প্রিং-বোমা৷ যা স্পঞ্জে মোড়া ছিল৷ এই ধরনের বোমা বীরভূমে নয়, ব্যবহার করা ঝাড়খণ্ডে৷’ তবে যথেচ্ছ বোমাবাজির সময় পুলিশ কর্তাদের দফায় দফায় ফোন করা হলেও তাঁদের টিকি পাওয়া যায়নি বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা৷ বীরভূমের পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে৷ খুনের ঘটনায় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’ সোমবার রাজনগরে আলিগড় শিশাল ফার্ম হাইস্কুলে আদিবাসী ল্যাম্পসের নির্বাচন ছিল৷ শাসকদলকে রুখতে মনোনয়নের দিন থেকেই একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিরোধীরা৷ তাদের গোপন ব্লু-প্রিন্টের খবর পেয়ে বিভিন্ন প্রান্তের নেতা-কর্মীদের এনে রাজনগরে জড়ো করতে শুরু করে তৃণমূল৷ এদিন সকাল ৭টা থেকেই বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামের রাস্তার মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল কমীরা৷ তাঁরা ভোটারদের পথ আটকাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ৷ স্থানীয় আদিবাসী নেতা মিলন সোরেন বলেন, ‘ল্যাম্পের নির্বাচন আগে তেমন ভাবে হত না৷ সিপিএমের আমলে মুখে মুখেই ঠিক হয়ে যেত৷ এই প্রথম সব দল প্রার্থী দিয়েছিল৷ কিন্তু শাসকদল ল্যাম্প দখলের জন্য বহিরাগতদের নিয়ে এসেছিল৷ একের পর এক গ্রামের মুখে দাঁড়িয়ে থেকে ভয় দেখাতে শুরু করে৷ যাতে ভোটাররা ভোট দিতে যেতেই না পারেন৷ পুলিশকে সকাল থেকে বারবার বলেও দেখা পাওয়া যায়নি৷’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটারদের আটকাতে এদিন সকাল থেকেই জয়পুর-আলিগড় রাস্তায় শুরু হয় বোমাবাজি৷ বিরোধীরা একজোট হয়ে আসার চেষ্টা করলে তাঁদের লক্ষ করে বোমা ছুঁড়তে শুরু করেন তৃণমূল সমর্থকরা৷ প্রথমে মোকাবিলা করতে না-পারলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তির-ধনুক-লাঠি-বোমা-বন্দুক নিয়ে শাসকবাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে তারা৷ মুহুর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা৷ ১০-১২টি বাইক ভাঙচুর করেন আদিবাসীরা৷ লড়াইয়ের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন রাজনগর ব্লক তৃণমূল সদস্য বলরাম মণ্ডল৷ সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ পাঁচ দিন আগে বোমাবাজি-গুলিতে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল পাড়ুই এলাকা৷ আহমেদপুর-গড়গড়িয়া রাস্তায় তিন দিক থেকে ঘিরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ আক্রমণের জেরে পাড়ুইয়ে ল্যাম্পস নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বিজেপি৷
মৃত তৃণমূল নেতার সঙ্গে থাকা রাজনগর ব্লক যুব সভাপতি রানাপ্রতাপ রায় বলেন, ‘সদ্য নকশাল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিলন শেখের নেতৃত্বে গুলি চলেছে৷’ বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘আমাদের নেতাদের গ্রেন্তার করার জন্য দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল৷’ সিপিএমের মনসা হাঁসদা বলেন, ‘রাজনগরে মাওবাদীদের হাতে আমাদের দুই নেতা খুন হয়েছিলেন৷ আজ তারা বন্ধু হয়ে গেল!’
সৌজন্য - এই সময়, ২০/০৬/২০১৭।

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32603&boxid=143421113

রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন বিহারের বর্তমান রাজ্যপাল, কানপুর দেহাতের দলিত নেতা, গরিব কৃষক ঘরের সন্তান, আরএসএসের ঘনিষ্ঠ রামনাথ কোবিন্দ।


দেশের রাজনৈতিক মহলে প্রায় অপরিচিত কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছাই করে সাম্প্রতিক কালের সেরা রাজনৈতিক চমক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ বিজেপি নেতাদের দাবি, এটা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক৷ চলতি বছরের শেষে নিজের রাজ্য গুজরাট ও দু’বছর পরে লোকসভা নির্বাচনে দলিত ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপিকে তাই অনেকটাই এগিয়ে রাখলেন মোদী৷ এবং এমন একটা সময়, যখন দলিতদের উপর অত্যাচারের কিছু ঘটনা ঘটায় বিজেপি-র দলিত ভোট পাওয়া নিয়ে একটা সামান্য সংশয় দেখা যাচ্ছিল৷ দেশের রাজনীতিতে কোবিন্দ পরিচিত মুখ নন৷ যদিও তিনি দু’দফায় রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন, বিজেপি-র তফসিলি মোর্চার দীর্ঘদিনের প্রধান ছিলেন৷ তা সত্ত্বেও তাঁর নাম সেরকম সুপরিচিত নয়৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, দেশে অনেক বড় দলিত নেতা আছেন৷ তাঁদের ছেড়ে রামনাথকে যে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হল তার কারণ, তিনি বিজেপি-র তফসিলি মোর্চার প্রধান৷’ দেশের লোক এতদিনে বুঝে গিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীর চিন্তাভাবনাটা একটু আলাদা৷ রামনাথকে প্রার্থী করা তাঁর নিজস্ব চিন্তার ফসল৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে বলা হত, তিনি দিল্লির যে ক্ষমতার বৃত্ত আছে, তার বাইরের লোক৷ এই ক্ষমতার বৃত্তে থাকা লোকেরা চলনে-বলনে-চিন্তায়-চেতনায় বেশ কিছুটা আলাদা৷ তাঁরা হলেন অভিজাত রাজনীতিক৷ মোদী এই ক্ষমতার বলয়ে থাকা লোকেদের ও তাঁদের সংস্কৃতিকে যে বিশেষ পছন্দ করেন এমন নয়৷ তাই বারেবারে তিনি এমন লোকেদের গুরুত্ব দিচ্ছেন, যাঁরা এর বাইরের লোক৷
দলিত নেত্রী মায়াবতীকে রাজ্যসভায় নিয়ে আসতে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি ও রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস মোটামুটি একমত৷ তার মানে উত্তরপ্রদেশে দলিত-যাদব-সংখ্যালঘু ভোট পরের লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের দিকে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল৷ বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে কৃষকদের ক্ষোভ বেরিয়ে এসেছে৷ সেই অবস্থায় কানপুর দেহাতের অ-জাটভ দলিতের প্রতিনিধি ও গরিব কৃষক ঘরের সন্তানকে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসাচ্ছেন মোদী৷ উত্তরপ্রদেশে দলিতদের মধ্যে জাটভরা হচ্ছেন মায়াবতীর অনুগামী৷ তাঁদের বাদ দিয়ে অ-জাটভ ভোট বিজেপি-র দিকে আসতে বাধা রইল না৷ তবে এ হেন কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য সম্ভবত বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে হবে৷ কারণ, কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি তাঁদের প্রার্থী দাঁড় করানোর সিদ্ধান্তে কার্যত অনড়৷ তাঁরাও কোনও পরিচিত দলিত ব্যক্তিত্বকে প্রার্থী করার কথা ভাবছেন৷ মীরা কুমার বা সুশীল কুমার শিন্ডের নাম প্রস্তাব করা হতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে দলিত তাস থাকবে বিরোধীদের হাতেও৷ আগামী ২২ তারিখ বিরোধীদের বৈঠকে নাম সুনিশ্চিত করা হবে৷ রাতেই দিল্লি পৌঁছে গেছেন বিহারের রাজ্যপাল৷ তিনি বলেন, ‘আমাকে মনোনীত করার জন্য নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে ধন্যবাদ৷ আশা করি, আমাকে সকলেই সমর্থন করবেন৷’ যদিও তা বোধহয় হবে না৷ পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠক থেকেই সমর্থন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ফোনে সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংকে ফোন করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁরা সমর্থনের কথা জানাননি৷ তেমনই বেঁকে বসেছে শরিক শিবসেনাও৷ যদিও তাতে আনকোরা কোবিন্দের রাইসিনা হিলসে পা রাখতে কোনও সমস্যা হবে না৷
সৌজন্য - গৌতম হোড়। এইসময়, ২০/০৬/২০১৭।

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32594&boxid=135745200

আদিবাসী সমবায় সমিতির (LAMPS) ল্যাম্পসের ভোট ঘিরে গুলি, খুন।


রাজনগর ২০ জুন, ২০১৭

আদিবাসী সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী সংঘাতে ফের অশান্ত বীরভূম। পাড়ুইয়ের পরে রাজনগর। চলল গুলি, বোমা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল বলরাম মণ্ডল (৩৮) নামে এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মীর। তাঁর বাড়ি রাজনগর থানার ভবানীপুরে। ঘটনায় আহত কমপক্ষে আরও জনা চারেক তৃণমূল নেতা-কর্মী। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল প্রায় এক ডজন মোটরবাইকে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজনগরের গাংমুড়ি-জয়পুর পঞ্চায়েতের রাজারকেন্দ গ্রামে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘‘ঘটনার জন্য মিলিত ভাবে দায়ী বিজেপি ও সিপিএম।’’ সিপিএম-বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করে হামলার জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছে। দিনের শেষে অবশ্য তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরাই ওই সমবায়ে জয়ী হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মোট ১২টি ক্ষতিগ্রস্ত মোটরবাইক এবং স্পঞ্জে মোড়ানো চৌকো আকারের এক ধরনের বোমা উদ্ধার করেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, ‘‘সংঘর্ষে এক জন মারা গিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া বোমা কী ধরনের, তা জানতে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা পরীক্ষা করে দেখবে।’’ তবে, এত বড় ঘটনা নিয়ে কোনও পক্ষই সোমবার রাত অবধি লিখিত অভিযোগ করেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দাদের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই তৈরি হয় রাজনগর আদিবাসী ল্যাম্পস (লার্জ সাইজড এগ্রিকালচার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি)। এই আদিবাসী সমবায়টি রয়েছে আলিগড়ে। রাজনগর ব্লকের ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী গ্রামের মোট ১৭২২ জন সদস্য রয়েছে ওই সোসাইটির আওতায়। এত দিন পর্যন্ত ল্যাম্পসটি বামেদের দখলে ছিল। সমবায়ে মোট আসন ৬৮টি। এ বার মনোনয়ন জমা পড়ে ১৩৬টি। শাসক-বিরোধী সমানে সমানে লড়াই ছিল।
দিন কয়েক আগেই পাড়ুই এলাকায় সিপিএম-বিজেপি সংঘর্ষ বেধেছিল ল্যাম্পসের নির্বাচন ঘিরে। সোমবার রাজনগরের ল্যাম্পসের নির্বাচন ঘিরেও সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। ভোটকেন্দ্র হয়েছিল আলিগড় সিসালফার্ম উচ্চ বিদ্যালয়ে। ভোটকেন্দ্রের বাইরেও বোমাবাজি হয়। কিন্তু, সংঘর্ষের মূল ঘটনাটি ঘটে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থেকে ৫-৬ কিমি দূরে রাজারকেন্দ গ্রামের মুখেই।
বিরোধীদের অভিযোগ, এ দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন আদিবাসী গ্রাম, যেখানে বিরোধীরা শক্তিশালী, সেই সব জায়গায় ভোটারদের আটকাতে বাইক-বাহিনী এবং সশস্ত্র বহিরাগতদের এনে জড়ো করেছিল তৃণমূল। সকাল থেকেই দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি শুরু করে। বেলা ১০টা-১১টা নাগাদ মূল প্রতিরোধ হয় রাজারকেন্দ গ্রামে। দুষ্কৃতী ও তৃণমূল কর্মীদের উপরে পাল্টা আক্রমণ হয়। মুড়িমুড়কির বোমা পড়তে থাকে। গুলি ও তিরও চলতে থাকে। তখনই ডান বগলের নীচে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়েন বলরাম। সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রতিরোধের মুখে পড়ে তৃণমূলের লোকজন পালিয়ে যায়। কিন্তু, অনেকগুলি মোটরবাইক নিয়ে যেতে পারেনি। সেগুলিতেই ভাঙচুর চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এ দিন দুপুরে আলিগড়ে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার দখল নিয়েছে পুলিশ। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে বোমবাজি যে হয়েছে সেটা স্পষ্ট। গ্রামে ঢোকার মুখে ছবি আরও মারত্মক। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের সামনের মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাইকগুলি। পুলিশ সেগুলি পিক-আপ ভ্যানে তুলছে। রাজারকেন্দ-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম কার্যত পুরুষ-শূন্য। কিছু মহিলার দাবি, তাঁরা ভোট দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তৃণমূল আটকায়। তার জেরেই সংঘর্ষ বাধে। এর বেশি কেউ কিছু বলতে চাননি।  তবে, পাঁচ-ছ’টি গ্রামের আদিবাসী লোকজন যে প্রতিরোধের জন্য জড়ো হয়েছিলেন, তা পুলিশ জানতে পেরেছে। তৃণমূলের দাবি, এত দিন ক্ষমতায় থাকলেও এ বার রুখতে পারা যাবে না বুঝেই মিলিত ভাবে হামলার প্রস্ততি নিয়েছিল বিজেপি এবং সিপিএম। আগেই বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র লোকজন জুটিয়ে পরিকল্পিত আক্রমণ হয়েছে। এই হামলায় লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী যোগ থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত করেছেন অনুব্রত। বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘নিজেদের গুলিতেই ওরা মারা গিয়েছে।’’ একই দাবি সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাধন ঘোষের। তাঁর আরও প্রশ্ন, নিহত ব্যক্তি সমবায়ের ভোটার নন। তাঁর গ্রাম আলিগড় থেকে অন্তত ৬ কিলোমিটার দূরে। তাহলে তিনি এ দিন রাজারকেন্দ গ্রামে কী করছিলেন? এর থেকেই স্পষ্ট, তৃণমূল বহিরাগত জড়ো করেছিল—দাবি সাধনবাবুর। যা শুনে রাজনগরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার সাধু বলছেন, ‘‘আমাদের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছিল সিপিএম-বিজেপির দুষ্কৃতী বাহিনী। নির্বিঘ্নে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসতেই বলরাম-সহ আমাদের কিছু নেতা-কর্মী ওই গ্রামে যান। তখনই ওঁদের উপরে গেরিলা কায়দায় আক্রমণ চালানো হয়।’’
ভোটের ফল অবশ্য তৃণমূলের পক্ষেই গিয়েছে। মোট ৬৮টি আসনের ৫১টি তৃণমূল এবং বাকি ১৭টি বিরোধীরা পেয়েছে।

http://www.anandabazar.com/district/purolia-birvhum-bankura/violence-during-election-in-suri-1.630893?ref=purolia-birvhum-bankura-ft-stry

কুসংস্কার দূর করতে গ্রামে শিবির, অনুষ্ঠান।


কাঁকসা ১৮ জুন, ২০১৭

নিয়মিত প্রচার, শিবির থেকে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা — গ্রামে কুসংস্কার দূর করতে এই ধরনের কর্মসূচির উপরে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। সম্প্রতি কাঁকসার গোপালপুরের মনেরকোঁদা গ্রামে ডাইনি অপবাদে এক মহিলা ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরে সেখানে নিয়মিত নানা সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ হয়েছে।
মাসখানেক আগে ওই আদিবাসী গ্রামে ডাইনি অপবাদে এক মহিলাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়েন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অর্পিতা ঢালি। তিনি জানান, গ্রামবাসীদের একাংশ কোনও কথাই শুনতে চাইছিলেন না। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পর দিন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের কুসংস্কারের বিষয়টি বোঝান। আক্রান্ত মহিলাকে বাড়ি ফেরানো হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পরেই গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। ওই গ্রামে একটি স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবিরের আয়োজনও করা হয়েছে। কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস দূর করতে আলোচনারও আয়োজন হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসায় একশোটিরও বেশি আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। সেগুলির বেশির ভাগই জঙ্গলে ঘেরা এলাকায়। অনেক গ্রামে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে না। বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, শিক্ষার অভাবের কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। তাই তাঁরা গ্রামে-গ্রামে গিয়ে ছোটদের স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া গ্রামের বড়দেরও এ সব নিয়ে বোঝানো হবে।
প্রশাসনের কর্তারা মেনে নেন, অনেক গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবা বলে কিছু নেই। তাই সেখানে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। অরবিন্দবাবু বলেন, ‘‘শুরুটা করা হচ্ছে মনেরকোঁদা গ্রাম থেকেই। কুসংস্কার যাতে দানা বাঁধতে না পারে, সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।’’ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফেও বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা মনেরকোঁদায় ঘুরে এসেছে। মঞ্চের কাঁকসা কেন্দ্রের সম্পাদক অরুণকিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আমরা মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। কাঁকসার গ্রামগুলিতে নানা কর্মসূচির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।’’

http://www.anandabazar.com/district/bardhaman/awareness-program-happened-against-superstitions-1.630048?ref=bardhaman-new-stry

১০০ দিনের কাজে পক্ষপাতের নালিশ, পঞ্চায়েতে তালা এড়গোদায়।


এড়গোদা ১৭ জুন, ২০১৭

অভিযোগ উঠেছিল ১০০ দিনের কাজে পক্ষপাত করা হচ্ছে। তার জেরে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ৩০টি স্ব-সহায়ক দলের কয়েকশো মহিলা। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বিক্ষোভের জেরে ঘণ্টা তিনেক তালাবন্দি হয়ে থাকতে হয় পঞ্চায়েত কর্মীদের। খবর পেয়ে যুগ্ম বিডিও ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বোঝালে তালা খুলে দেন তাঁরা।
ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত এড়গোদা পঞ্চায়েতের জয়পুর গ্রাম সংসদের মহিলা স্ব সহায়ক দলগুলিকে একশো দিনের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাত করা হচ্ছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। জয়পুর গ্রাম সংসদে ৩৮টি স্ব-সহায়ক দল রয়েছে। এর মধ্যে সাত-আটটি দলকে বার বার একশো দিনের কাজের তদারকি করতে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বাকি দলগুলির সদস্যদের বক্তব্য, বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও তাঁদের একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। নিয়মানুযায়ী, একশো দিনের প্রকল্পে কাজের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্ব-সহায়ক দলগুলিকে। ২৫জন শ্রমিক পিছু স্ব-সহায়ক দলের এক জন সদস্যকে সুপার ভাইজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শ্রমিকরা যেমন দৈনিক মজুরি পান, তেমনই কাজ দেখভালের জন্য স্ব-সহায়ক দলগুলিও টাকা পায়।
অভিযোগ, জয়পুর গ্রাম সংসদ থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য হিমাংশু মাহাত বেছে বেছে কয়েকটি দলকে দিয়ে কাজ করাচ্ছেন।  এর বিরুদ্ধে এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ৩০টি স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরা এড়গোদা পঞ্চায়েত অফিসে হিমাংশুবাবুর বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে যান। কিন্তু সেখানে তখন প্রধান বা  উপপ্রধান কেউই ছিলেন না। অভিযোগ, দফতরে থাকা নির্মাণ সহায়ক ওই মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এরপরই ক্ষুব্ধ মহিলারা পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি জানান, প্রধান ও উপ প্রধানকে এসে অভিযোগ শুনতে হবে। যদিও প্রধান বৈদ্যনাথ সরেন ও উপপ্রধান রঞ্জিত নায়েক আসেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দুপুর দু’টো নাগাদ বেলপাহাড়ির যুগ্ম বিডিও দেবব্রত মণ্ডলও পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। তাঁর হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বে থাকা রুমা মাহাত, সাবিত্রী পাতর অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত সদস্যকে টাকা না দিলে একশো দিনের কাজের দেখভালের দায়িত্ব পাওয়া যায় না। অভিযোগ নিয়ে হিমাংশুবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। প্রধান বৈদ্যনাথ সরেন বলেন, “অসুস্থ থাকায় পঞ্চায়েত অফিসে যাইনি। হিমাংশুবাবু টাকা নিয়ে কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন বলে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেননি। সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ নেব।”
বেলপাহাড়ির বিডিও সন্তু তরফদার বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। ওই মহিলারা যাতে কাজ পান, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

http://www.anandabazar.com/district/mednipore/anomaly-in-100-days-work-hundreds-of-women-protesting-in-panchayat-1.629516?ref=mednipore-new-stry

নব গঠিত ঝাড়গ্রাম জেলার সভাধিপতি নির্বাচিত সমায় মাণ্ডি।

মেদিনীপুর ১৯ জুন, ২০১৭

পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ গঠন হতে চলেছে। নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতির নাম চূড়ান্ত করে ফেলল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের সভাধিপতি হচ্ছেন সমায় মাণ্ডি। সহ-সভাধিপতি হচ্ছেন সোমা অধিকারী।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি থাকছেন উত্তরা সিংহই। সহ-সভাধিপতি হচ্ছেন অজিত মাইতি। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল থেকে নির্বাচিত সমায়বাবু এতদিন সহ-সভাধিপতি ছিলেন । অজিতবাবু তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাপতি। রবিবার মেদিনীপুরে জেলা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে এক বৈঠকে দুই জেলার সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতির নাম ঘোষণা করা হয়। বৈঠক শেষে অজিতবাবু বলেন, “কে, কোন পদে বসবেন, সেটা দলের রাজ্য নেতৃত্বই ঠিক করেছেন। সেই মতো জেলায় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি শপথগ্রহণ করবেন। ঝাড়গ্রামের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি শপথ নেবেন মঙ্গলবার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের নতুন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হবেন তপন দত্ত। বাকি কর্মাধ্যক্ষ পদে কোনও রদবদল হবে না।
পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে নতুন জেলা পরিষদ গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় গত ২১ এপ্রিল। সাধারণত, বিজ্ঞপ্তি জারির ২১ দিনের মধ্যে বৈঠক ডেকে নতুন বোর্ড গঠন করার কথা। কিন্তু তা হয়নি। পরে নতুন জেলা পরিষদ গঠনের সময়সীমা বেঁধে জেলাকে চিঠি দেয় রাজ্য। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর নির্দেশ দেয়, ৩০ জুনের মধ্যে সদস্যদের শপথগ্রহন থেকে সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি নির্বাচন, স্থায়ী সমিতির সদস্য নির্বাচন, স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন, সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।
ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতির আসন সংরক্ষণের কোপে পড়েনি। প্রশাসন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে জানতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য। ১৫ মে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ঝাড়গ্রাম জেলা সভাধিপতির আসনটি অসংরক্ষিত থাকছে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাধিপতির আসনটি আগের মতোই মহিলা সংরক্ষিত থাকছে। উল্লেখ্য গত এপ্রিলের গোড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা গঠিত হয়েছে।

http://www.anandabazar.com/district/mednipore/tmc-selects-jhargram-zilla-parishad-sabhadhipati-1.630388?ref=mednipore-new-stry

Thursday, June 15, 2017

Protester arrested in women trafficking allegation. নারী পাচারের মামলায় ধৃত ‘প্রতিবাদী’ রাজীব।



নারী পাচারের রুখতে এক সময় যিনি পুলিশকে নিয়মিত তথ্য দিতেন, তাঁকেই ওই অপরাধ সংক্রান্ত একটি মামলায় গ্রেন্তার করল পুলিশ৷ বাগুইআটি এলাকার পানশালাগুলিতে নারীপাচার চলছে বলে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে এর বিরুদ্ধে প্রচার চালাতেন রাজীব সরকার৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার হিসেবে নিজেকে দাবি করা রাজীবের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, এলাকার নারী পাচারে যুক্তদের কাছ থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ শুক্রবার ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করবে বাগুইআটি থানার পুলিশ৷ কখনও পানশালার আড়ালে দেহ ব্যবসার অভিযোগ, কখনও কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় পানশালা থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে নীতি পুলিশ হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন এই রাজীব৷ পানশালার বিরুদ্ধে তিনটে মামলাও করেছেন তিনি৷ এমনকি, ২০১৫-র ২০ জুলাই গভীর রাতে নিজের বাড়ির সামনে ওই পানশালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য তাঁকে প্রহূত হতে হয়েছিল বলেও দাবি করেছিলেন দেশবন্ধুনগরের বাসিন্দা৷ গত ২৩ মে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান সন্তোষ পাণ্ডে সেই ব্যক্তির কথা তুলে জানিয়েছিলেন, পানশালা সংক্রান্ত মামলার তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি পানশালা মালিক এবং ডাউন টাউন গোষ্ঠীর অনত্যম কর্ণধার জগজিত্ সিংয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন রাজীব৷ ২০১৫-র অগস্ট থেকে ৮ বার ২৫ হাজার টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে রাজীবের অ্যাকাউন্টে৷ রাজীব দাবি করেছিলেন, ‘এনজিও থেকে আমার চাকরি চলে যাওয়ার পর জগজিত্ সিং আমাকে তাঁর সংস্থায় কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন৷ সেই সূত্রেই টাকা পেয়েছি৷’ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদেও এই দাবি করেন রাজীব৷ এতেই সন্দেহ বাড়ে গোয়েন্দাদের৷ কমিশনারেটের এক কর্তা এ দিন জানান, পানশালায় কনস্যালট্যান্ট হিসেবে রাজীবকে নিয়োগের বিষয়টি থেকেই পরিষ্কার হয় নেপথ্যে অন্য কোনও গল্প রয়েছে৷ সে কারণেই দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ সূত্রের দাবি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে হাতিয়ার করেই লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন রাজীব৷ কখনও বা সেই টাকা এসেছে আইনি ঝামেলা থেকে পানশালা মালিককে বাঁচিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি হিসেবে৷ তাঁর স্বেচাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠানে বহুবার দেখা গিয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্তাদের৷ যা থেকেই পরিষ্কার, পুলিশকর্তাদের সঙ্গে ভালো রকমের যোগাযোগ রেখে চলতেন রাজীব৷ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘রাজীবের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত, কোনও পুলিশকর্মী ওকে এই ঘটনায় সাহায্য করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’
এই সময়। 
http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32509&boxid=14475394

7 arrested in Bandawan for gang rape of school student. বান্দোয়ানে স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণে ৭ আদিবাসী যুবক গ্রেফতার।

এবার আদিবাসী যুবকেরাও গণধর্ষণের মতন জঘন্য কাজে লিপ্ত হচ্ছে !!! ছিঃ ছিঃ ছিঃ । আদিবাসী সংস্কৃতি ছেড়ে বাজার সর্বস্য, ভোগ বিলাসী মানসিকতার পুঁজিবাদী সংস্কৃতির কুফল এটা।
সৌজন্য - সংবাদ প্রতিদিন, ১৫ /০৬ /২০১৭ 

Trinamul Congress agrees to change the route of proposed train line in Vaba Dighi, TMC MLA wrote to Rail. ভাবা দিঘি বাঁচিয়ে লাইন পাতায় রাজি, রেলকে চিঠি তৃণমূল বিধায়কের।


দীর্ঘদিন ধরে নানা হম্বিতম্বি করার পর অবশেষে ভাবাদিঘির রেল প্রকল্প নিয়ে সুর নরম করল তৃণমূল৷ গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার পূর্ব রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে সম্প্রতি এক চিঠিতে দিঘি বাঁচিয়ে রেল লাইন করার কথা বলেছেন৷ চিঠিতে তিনি রেলকর্তার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘দিঘি বাঁচিয়ে যদি আপনাদের পক্ষে রেল লাইন করা সম্ভব হয়, তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই৷ আমরা চাই, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইনের ওই সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি হোক৷’ সূত্রের খবর, রেল বিধায়ককে তাঁর চিঠির জবাবে লিখিত ভাবে কিছু জানায়নি৷ তবে মৌখিক ভাবে তাঁকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে লাইন ঘোরানো সম্ভব নয়৷ স্থানীয় বিধায়কের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটি৷ তার অন্যতম মুখপাত্র স্বপন রায় বলেন, ‘এত দিনে তাহলে ঘুম ভাঙল ? আমরা তো এই কথাই প্রথম থেকে বলে আসছি৷ আমরা রেল লাইনের জন্য দিঘির উত্তর পারের জায়গা ছেড়ে দেব৷’ ভাবাদিঘির মানুষ দিঘি বাঁচিয়ে রেল লাইন করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন৷ সেই আন্দোলনকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে কটাক্ষ করেছেন৷ মাস তিনেক আগে বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওটা আমার স্বপ্নের প্রকল্প৷ আমাকে কেউ চমকাতে আসবেন না৷ ওই জায়গা দিয়েই রেল লাইন হবে৷ দরকার হলে পাশ দিয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ দিঘি কাটিয়ে দেব৷’ মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রয়োজনে আলোচনায় বসার কথাও বলেছিলেন৷ যদিও তার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি বা সরকারের তরফ থেকে কেউ আন্দোলনকারীদের আলোচনার টেবিলে ডাকেননি৷ এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ও গোঘাটে গিয়ে নানা প্রতিশ্রীতি দিয়ে এসেছিলেন৷ তবে তিনিও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেননি৷ বিধায়ক রেলকে লেখা চিঠিতে জানান, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প গোঘাট স্টেশনের অনতিদূরে ভাবাদিঘির পারে গিয়ে অংশীদারদের কিছু অংশের বাধায় থমকে গিয়েছে৷ তারা কোনও ভাবেই দিঘির উপর দিয়ে প্রকল্প নিয়ে যেতে রাজি হচ্ছিল না৷ এই অবস্থায় রেলের কাজ দ্রুত শুরু করার স্বার্থে মানুষদের আন্দোলন থেকে সরে আসতে একগুচ্ছ প্রতিশ্রীতি দেওয়া হয়েছে৷ তা পূরণ হলে আন্দোলনকারীরা রেলের কাজ শুরু করতে দিতে রাজি আছেন৷ মানস বলেন, ‘রেলের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা মানুষকে বুঝিয়ে ছিলাম, দিঘির দুই প্রান্তের কাজ যেখানে প্রায় শেষ, সেখানে রেলের পক্ষে অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন করা অসম্ভব৷ তার পরও কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বলছে, রেল মনে করলে অ্যালাইমেন্ট বদল করে দিঘির জল বাদ দিয়ে উত্তর পারের ডাঙার উপর লাইন ঘোরাতে পারে৷ আমরা নাকি তাতে বাধা দিচ্ছি৷’ এই অবস্থায় তৃণমূল বিধায়ক জানাচ্ছেন, রেল যদি দিঘি বাঁচিয়ে রেল লাইন করতে পারে, তাহলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই৷ এদিকে বুধবারই ভাবাদিঘি নিয়ে কলকাতায় পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দ্র রাওয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন সেভ ডেমোক্র্যাসির এক প্রতিনিধিদল৷ তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদেরও কয়েক জন ছিলেন৷ রেলকর্তা তাঁদের জানান, রেল বিষয়টি নিয়ে ভাবছে৷ বৃহস্পতিবার গোঘাটের বিধায়ক বলেন, ‘যাতে রেলের কাজ দ্রুত শেষ করা যায়, তার জন্যই আমি চিঠি দিয়েছি৷ আমরা বাগড়া দিচ্ছি বলে একটা প্রচার চলছে৷ আমরাও চাই, দিঘি বাঁচুক৷ রেল লাইনটি হলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে৷’ গত ১৬ মার্চ, ২০১৭ ভাবাদিঘি নিয়ে প্রথম আন্দোলনের সূচনা হয়৷ তাতে মারধর, আগুন লাগিয়ে দেওয়া, গাড়ি ভাঙচুর সবই চলে৷ পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মারামারি হয়৷ তার পর দীর্ঘ প্রায় তিন মাস রেলের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে৷
দেবাশিস দাশগুন্ত ও দিব্যেন্দু সরকার, এই সময়।

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32508&boxid=144254875

Chattisgarh Chief Minister Raman Singh will dine in an Adibasi home. আদিবাসী ঘরে ভোজ সারবেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী।


মেদিনীপুর ১৬ জুন, ২০১৭

মোদী মেলা হচ্ছে না। তবে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দু’দিনের সফরে আজ, শুক্রবার দুপুরে মেদিনীপুরে আসছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ। এ দিন দুপুরে এক আদিবাসী পরিবারের ঘরে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। সেই মতো প্রস্তুতিও সারা হয়েছে। স্বচ্ছতা অভিযান থেকে কর্মিসভা- শুক্র ও শনিবার একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা রমন সিংহের।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গিয়ে এক কর্মীর বাড়ি গিয়ে দুপুরের ভোজ সারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এ বার ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীও আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি ধীমান কোলেও মানছেন, “শহরের এক আদিবাসী পরিবারের ঘরে রমন সিংহ মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। সেই মতোই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে দলের জমি শক্ত করতেই দলের শীর্ষ নেতাদের এ রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি। রমন সিংহের জেলা সফরও তারই অঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল সম্পর্কে জানাতে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে ‘মোদী মেলা’ শুরু হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। এই মেলারই উদ্বোধন করার কথা ছিল রমন সিংহের। দলের এক সূত্রে খবর, এই মেলা হচ্ছে না। এর পরিবর্তে বিদ্যাসাগর হল চত্বরে শুক্রবার কিছু স্টল রাখার চেষ্টা চলছে। যে সব স্টলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফলের দিকগুলো তুলে ধরা হবে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধীমানবাবুর অভিযোগ, “মেলার অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশাসন অনেক টালবাহানা করেছে। বুধবার বিকেলে আমাদের জানানো হয় যে মেলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। একদিনের মধ্যে সব আয়োজন করা কী করে সম্ভব? তাই কলেজের মাঠের মেলা হচ্ছে না।”
বিজেপির এক সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছবেন ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। বিমানে কলকাতায় পৌঁছনোর কথা তাঁর। কলকাতা থেকে মেদিনীপুরে আসার কথা হেলিকপ্টারে। তবে আবহাওয়া অন্য রকম থাকলে সড়ক পথেও আসতে পারেন তিনি। মেদিনীপুরে ১২টা নাগাদ পৌঁছনোর কথা রয়েছে তাঁর। শহরে পৌঁছে সোজা চলে যাবেন সার্কিট হাউসে। ১টা নাগাদ এক আদিবাসী পরিবারের ঘরে যাবেন মধ্যাহ্নভোজ সারতে। সঙ্গে থাকবেন বিধায়ক তথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মধ্যাহ্নভোজ সেরে ফের সার্কিট হাউস। বিকেলে বিদ্যাসাগর হলে কর্মিসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। শুক্রবার রাতে সার্কিট হাউসেই থাকবেন। পরের দিন মেদিনীপুরে স্বচ্ছতা অভিযানে যোগদান করবেন তিনি। পরে একাধিক কর্মসূচি সেরে দুপুরে শহর ছাড়বেন।

http://www.anandabazar.com/district/mednipore/chhattisgarh-chief-minister-will-be-able-to-eat-in-the-indigenous-house-1.628968?ref=mednipore-new-stry

Thursday, June 8, 2017

পরকীয়া সন্দেহে বধূকে নগ্ন করে বেধড়ক মার।


ডায়মন্ড হারবার : নীতিপুলিশির বাড়াবাড়ি এ বার অত্যাচারের প্রায় সব সীমা লঙ্ঘন করল৷ নামখানার চন্দ্রনগর গ্রামে এক গৃহবধূকে পরকীয়া করার অপবাদ দিয়ে প্রায় বিবস্ত্র করে দিনভর চলল অত্যাচার৷ মাথা নেড়া করে ঘোরানো হল গ্রামে, পাল্লা দিয়ে চলল মারধর৷ মঙ্গলবার দিনভর লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কিন্তু তার পরেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি৷ স্ত্রীর উপরে এমন নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী৷ কিন্তু তাতে জুটেছে বেদম মারধর৷ খবর পেয়ে সন্ধে নাগাদ নামখানা থানার পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করতে যায়৷ কিন্তু তাদেরও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়৷ রাতে স্থানীয়দের হাত থেকে ওই বধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় দ্বারিকনগর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ৷ বুধবার দুপুরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার স্বামী৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ এ দিন বিকেলে প্রতিবেশী গণেশ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে৷ ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৫৪এ, ৩৫৪বি, ১২০বি, ৩৭৯, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃতকে জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে৷’ তবে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ঘটনার নিন্দা জানানোর কোনও ভাষা নেই৷ পুলিশকে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলব৷’ স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতার স্বামী পেশায় মৎস্যজীবী৷ গ্রামের অন্য প্রান্তেই বাপের বাড়ি নির্যাতিতার৷ সোমবার বাপের বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন৷ ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন স্বামী৷ মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ স্থানীয় খাটুয়ার বাজারে স্ত্রীকে আটকে রেখে মারধরের খবর পান তিনি৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, স্ত্রীকে ঘিরে রয়েছেন পুরুষ-মহিলা মিলে শ’খানেক গ্রামবাসী৷ বিবস্ত্র অবস্থায় মাটিতে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন স্ত্রী৷ লাঠি-বাঁশ দিয়ে চলছে প্রহার৷ এর মধ্যেই জনাচারেক যুবক ধারালো ব্লেড দিয়ে মাথার সামনের চুল কাটতে শুরু করে৷ অতি উৎসাহী কয়েকজন সেই ছবি মোবাইলে বন্দি করতে ব্যস্ত৷ হাসপাতালে নির্যাতিতা বলেন, ‘এক প্রতিবেশীর সঙ্গে আমার পরিবারের সুসম্পর্ক সহ্য করতে না-পেরে বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী ফন্দি এঁটে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে৷ আমাকে বিবস্ত্র করে মারধর করেছে, চুল কেটে গোটা গ্রাম ঘুরিয়েছে৷ আমাদের গ্রামছাড়া করতে এত সব পরিকল্পনা৷ ওদের শাস্তি চাই৷’ হাসপাতালে চিকিৎসক বীরেন্দ্র সাঁতরা জানান, ‘নির্যাতিতার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ মাথার সামনের চুলও কেটে নেওয়া হয়েছে৷ এমনকি উনি গোপনাঙ্গেও আঘাত পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন৷’
এই সময়, বুধবার।

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32313&boxid=153619238

মাকে গণধর্ষণের আগে গলা টিপে খুন শিশুকে।


গুড়গাঁও : নৃশংসতার নজির! অটোয় তরুণী গণধর্ষণের আগে তাঁর ৯ মাসের শিশুকন্যাকে গলা টিপে হত্যা করে ধর্ষকেরা৷ তার পর ছুড়ে ফেলে দেয় অটোর বাইরে৷ পুলিশের দাবি, শিশুটির কান্না থামাতেই নৃশংস এই কাজটি করে অভিযুক্তরা৷ ঘটনার এক সপ্তাহ পর অবশেষে অভিযুক্ত অটোচালককে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ৷ এখনও খোঁজ নেই বাকিদের৷ এদিকে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে গুড়গাঁওয়ের এক মহিলা পুলিশকর্মীকেও৷ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি নির্যাতিতার অভিযোগ নিতে চাননি৷
ঘটনাটি সোমবারের৷ শ্বশুরবাড়ির গ্রামে একটি ঝামেলার পর বাপের বাড়ি ফিরছিলেন বছর তেইশের ওই তরুণী৷ প্রথমে একটি ট্রাকে ওঠেন তিনি৷ কিন্তু, ট্রাক চালক তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করায় নেমে যান৷ তখনই তাঁকে ‘লিফ্ট’ দেয় অটোচালক৷ আগে থেকেই যাতে সওয়ার ছিল তিন জন৷ অভিযোগ, অটোতেই তাঁকে ধর্ষণ করে ওই তিন ব্যক্তি৷ শিশুটির কান্নার আওয়াজে যাতে পথচলতি কেউ টের না পায়, তার জন্যই তাকে গলা টিপে খুন করে ধর্ষকেরা৷ দেহ ফেলে দেওয়া হয় অটোর বাইরে৷ ঘণ্টা চারেক নির্যাতনের পর তরুণীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা৷ তিনি নিজেই কোনও মতে উঠে শিশুটিকে নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান৷ সেখানে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বললে বিশ্বাস হয়নি মায়ের৷ ওই অবস্থায় মেট্রো ধরে দিল্লির এইমসে যান তিনি৷ যদি কোনও মিরাকেল হয় ...বেঁচে যায় তাঁর সন্তান ! সেখানেও একই কথা বলা হলে, ঘরে ফিরে যান তরুণী৷ ঘটনা যতটা নির্মম, ততটাই নির্মম এই ঘটনার প্রতি পুলিশের ভূমিকাও৷ অভিযোগ, প্রথম দিনে তো এফআইআর-ও নেওয়া হয়নি৷ দ্বিতীয় দিন এফআইআর নেওয়া হলেও, গণধর্ষণের ধারা তাতে যোগ করা হয়নি৷ ঘটনার পাঁচ দিন পর মামলায় গণধর্ষণ যুক্ত করা হয়৷ তার পর শুরু হয় তদন্ত৷ এ দিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিশুহত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে৷ গুড়গাঁও-এর পুলিশ প্রধানের অবশ্য বক্তব্য, ‘থানার মহিলা ইনচার্জ গড়িমসি করলেও, বিষয়টি ওপরতলায় পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷’ কিন্তু, এখনও কেন হদিশ পাওয়া গেল না বাকিদের ? পুলিশের বক্তব্য, ধৃত যোগেন্দরকে জেরা করেই বাকিদের সন্ধান মিলবে৷ ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্যও মিলেছে বলে দাবি পুলিশের৷

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32321&boxid=152514299

উত্তাল মধ্যপ্রদেশে ছড়াচ্ছে কৃষক বিক্ষোভ।


ভোপাল : গুলির মুখে পড়লেও মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের বিক্ষোভ থামছে না৷ বুধবারও রাস্তা অবরোধ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে৷ হেনস্থার মুখে পড়েছেন মান্দাসৌরের জেলাশাসক৷ তবে সার্বিক ভাবে হিংসার আঁচ কিছুটা কমেছে৷ এ দিন রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী৷ পরিস্থিতি সামলাতে মধ্যপ্রদেশ সরকার কৃষকদের জন্য নয়া প্রকল্প আনার কথা ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু, বিরোধীদের পাশাপাশি সঙ্গী শিবসেনা তুমুল সমালোচনা করায় বিজেপি স্বস্তিতে নেই৷ এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন মান্দাসৌরে৷ রাজ্য ও জেলা প্রশাসন কংগ্রেসের সহ সভাপতিকে অনুমতি না দিলেও, তিনিও অনড়৷ পুলিশের গুলিতে নিহত কৃষকদের ‘শ্রদ্ধা’ জানাতে তিনি যাবেনই৷ কৃষকদের উপর গুলিচালনার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস এ দিন তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে৷ একটি বিবৃতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল জানিয়েছে, ‘যখন বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্য কৃষকের উপর গুলি চালায়, তখন নজর ঘোরানোর জন্য দল তার অন্য ব্যাখ্যা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে৷’ ঋণ মকুব ও ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে ১ জুন থেকে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা৷ মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে পাঁচ কৃষকের মৃত্যুতে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে৷ মন্দসৌরে বেরখেদা পন্থ এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা৷ ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক এস কে সিং৷ সঙ্গে ছিলেন মন্দসৌরের পুলিশ সুপার ওমপ্রকাশ ত্রিপাঠি৷ দু’জনেই হেনস্থার মুখে পড়েন৷ বেরখেদার পঞ্চায়েত প্রধান দীনেশ জানান, ‘বিক্ষোভকারীরা চড়াও হয় জেলাশাসকের উপর৷ তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করে৷’ কৃষকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে মন্দসৌরে আসতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য৷ মঙ্গলবার মূলত পিপলিয়া মাণ্ডি গ্রামে হিংসা হয়েছিল৷ তা এ দিন ছড়িয়ে পড়ে সীতামৌ গ্রামে৷ একটি খামারবাড়ি ও কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা৷ কয়েকটি ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে আগুন ধরানো হয়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জনতার সঙ্গে তাদের গন্ডগোল বাধে৷ পুলিশের সঙ্গে সিআরপিএফ জওয়ানরা থাকলেও তাদের সংখ্যা ছিল খুবই কম৷ কৃষকদের ক্ষোভ সামলাতে নেমেছে বিজেপি৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ ব্যাপারে কথা বলেছেন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে৷ কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংকে এ দিনের নির্ধারিত সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করে দেন৷ কৃষকদের জন্য নয়া কৃষি প্রকল্প আনার কথা ঘোষণা করেছে শিবরাজ সিং চৌহান সরকার৷ রাজ্যের মন্ত্রী এ চিটনিস জানান, তাঁরা কৃষি ঋণ সমাধান যোজনা আনতে চলেছেন৷ এই প্রকল্পে ঋণ শোধ করতে না পারা কৃষকরা নতুন করে ঋণ পাবেন৷ এই ঋণ দেওয়া হবে কম সুদে৷ এর আগেই গুলিচালনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য৷ তবে, ক্ষোভ সামলাতে এ সব পথ পর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে না৷ জনতার আন্দোলন ও বিরোধীদের সমালোচনার মুখে রাজ্য সরকার ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে৷ সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে চাপান উতোর বাড়ছে৷ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কমলনাথের দাবি, ‘অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে৷ ৫-১০ লাখ বা এক কোটি টাকা বিলিয়ে ক্ষোভ শান্ত করতে চাইছেন তিনি৷’ জেডিইউ নেতা শরদ যাদবের মন্তব্য, ‘বিজেপি সরকার কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী ভাবছে৷ তাই গুলি চালিয়ে তাঁদের ক্ষোভ দমাতে চাইছে৷’ সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজ্ঞাপন দিয়ে টুইট করেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, ‘কৃষকদের হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী প্রচার চালাচ্ছেন, অথচ কৃষকরা গুলি খাচ্ছেন বা আত্মঘাতী হচ্ছেন৷’ মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দল কংগ্রেসের দিকে অশান্তির জন্য আঙুল তুলছে বিজেপি৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুর অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক ভাবে শিবরাজের মোকাবিলা করতে না পেরে কংগ্রেস কৃষকদের প্ররোচনা দিচ্ছে৷ তাই দেশের সবচেয়ে শান্ত রাজ্যে অশান্তি হচ্ছে৷’ কিন্তু, বিজেপির সঙ্গী শিবসেনাই তাদের বিরুদ্ধে সরব৷ মুখপত্র ‘সামনা’য় লেখা হয়েছে, ‘বিমুদ্রাকরণের ফলে কৃষকরা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন৷’ মহারাষ্ট্রেও কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ঋণ মকুবের দাবিতে৷ এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বৈঠক ডাকলেও তা বয়কট করে শিবসেনা৷ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশে কৃষিঋণ মকুব করে দেশের কৃষকদের পথ দেখিয়েছেন৷ সেই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া সামলাতে এখন হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি৷

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=32321&boxid=15254814

Tuesday, June 6, 2017

কৃষক-বিক্ষোভে উত্তাল মধ্যপ্রদেশ, পুলিশের গুলিতে হত ৫।


৭ জুন, ২০১৭

এ বার মধ্যপ্রদেশ। কৃষক বিক্ষোভের আগুন ছড়াল বিজেপি শাসিত আরও এক রাজ্যে। যেখানে বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে মঙ্গলবার মন্দসৌরে কৃষকদের উপরে বেপরোয়া গুলি চালাল পুলিশ। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। রাজ্যের একাধিক জায়গায় জারি করা হয়েছে কার্ফু। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়া আটকাতে বহু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে কৃষক মৃত্যুর প্রতিবাদে আগামিকাল, বুধবার রাজ্যে বন্‌ধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। নিহত কৃষক পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাতে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর মন্দসৌর যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
ফসলের ন্যায্য দাম এবং ঋণ মকুবের দাবিতে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে গত ক’দিন ধরেই চলছে কৃষক বিক্ষোভ। মহারাষ্ট্রে কৃষকেরা আনাজ-দুধ রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কংগ্রেস-বামেদের পাশাপাশি সেখানে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে বিজেপির জোট শরিক শিবসেনাও। এই বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে প্রতিবেশী মধ্যপ্রদেশও। খরা কবলিত এই রাজ্যে পেঁয়াজ, ডাল-সহ উৎপাদিত শস্যের বেশি দাম এবং ঋণ মকুবের দাবিতে কৃষকেরা একজোট হয়ে পথে নেমেছেন।
আগামী বছর মধ্যপ্রদেশে ভোট। বিক্ষোভ থামাতে সোমবারই কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। তার পরে আরএসএসের কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিসান সঙ্ঘ বিক্ষোভ-ধর্মঘট থেকে সরে আসে। কিন্তু বাকিরা অনড়ই ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকেরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আজ বেলার দিকে মন্দসৌরে আন্দোলনকারীদের হটাতে পুলিশ এলে সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষে। চলে গুলি। অনেকেই আহত হন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৫ কৃষকের।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি আসরে নামে শিবরাজ-প্রশাসন। নিহত কৃষকদের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় তদন্তের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। রাতের দিকে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়িয়ে ১ কোটি করা হয়েছে।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় কৃষকদের দুরবস্থা নিয়ে বহু দিন ধরেই সরব বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের উন্নতি নিয়ে অনেক কথা বললেও তাঁর তিন বছরের শাসনে কৃষকদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। কৃষক আত্মহত্যা গত তিন বছরে রেকর্ড ছুঁয়েছে। এবং এই হার সবচেয়ে বেশি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেই। মন্দসৌরে ৫ কৃষকের মৃত্যুর পরে ফের সরব নেমেছেন বিরোধীরা। বিজেপিকে আক্রমণ করে রাহুল গাঁধীর টুইট, ‘‘গোটা দেশেই এই সরকার কৃষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে।’’ বামেদের অভিযোগ, মন্দসৌরের ঘটনা বিজেপির কৃষক-বিরোধী মনোভাবেরই প্রতিফলন।

http://www.anandabazar.com/national/5-killed-in-firing-during-farmers-protest-in-madhya-pradesh-1.624509?ref=hm-ft-stry