Monday, July 22, 2019

পশ্চিম বর্ধমানের হীরাপুরে প্রেমিককে বেঁধে রেখে আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৬।


প্রেমিককে মারধর করে বেঁধে রেখে আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে শনিবার তিনজন যুবককে ও রবিবার আরও ৩ জন সমেত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। গত বুধবার (১৭/০৭/২০১৯) রাতে হীরাপুর থানার সূর্যনগর এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল দক্ষিণ থানার কুমারপুর এলাকার এক আদিবাসী তরুণী ও হীরাপুর থানার বেগুনবাড়ি এলাকার এক আদিবাসী যুবকের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা বুধবার সন্ধ্যায় হীরাপুর থানার সূর্যনগর এলাকায় দামোদর নদের তীরে ঘুরতে যান। অভিযোগ, রাতে ওখানে তাঁদের আটকায় পাঁচ যুবকপ্রেমিক যুগলকে জোর করে কাছেই একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ব্যাপক মারধর করে। এরপর প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করে তারা।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে শনিবার হীরাপুর থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয় এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে পাঁচজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজনকে স্থানীয় পাঠমোহনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের একদিন পরেই গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় এবং গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। এডিসিপি(পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, একটি গণধর্ষণের অভিযোগ হয়েছে। পাঁচজনের নামে অভিযোগ রয়েছে।
গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সুনীল বাউরি, রুপ লাহিড়ী, কাটি হাঁসদা, চিরঞ্জিত দাস, রাজেশ কর্মকার, টোটোই হেমরম। গণধর্ষণের ঘটনার মূল পাণ্ডা টোটোই হেমরম। সব অভিযুক্ত ধরা পড়ায় খুশি আদিবাসী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন স্থানীয় আদিবাসীরা। দুই সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বে স্থানীয় আদিবাসীরা ধামসা মাদল নিয়ে হীরাপুর থানা ঘেরাও করায় চরম চাপে ছিলেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। সব অভিযুক্ত ধরা পড়ায় হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।
সংবাদ সৌজন্য – বর্তমান (২১/০৭/২০১৯)। ছবি - প্রতীকী। 

1 comment:

  1. সাথে দেখলাম দুটা সাতালি মালও আছে।ঐ বেটা দুটোকে আলাদাভাবে শাস্তি দেওয়া হোক ।এই ধরনের মাদার**দেরা সমাজের সবচেয়ে খাতারনাক পাব্লিক।।আপাতত ওদেরকে গণধোলাই দিয়ে রাখা হোক।।

    ReplyDelete