Saturday, July 13, 2019

ঝাড়গ্রামে শিবির করে লোধা-শবরদের কাস্ট সার্টিফিকেট দেবে জেলা প্রশাসন।

ঝাড়গ্রাম জেলায় লোধা-শবর পরিবারগুলির জন্য শিবির করে শীঘ্রই কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। গত শনিবার ১৩/০৭/২০১৯ ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন ও শিরীষচক এলাকায় শবর পরিবারগুলির তথ্য সংগ্রহ শুরু করল জেলা আদিবাসী দপ্তর। জেলায় এখনও অনেক শবর পরিবারের কাস্ট সার্টিফিকেট নেই। জানা গিয়েছে, আধার কার্ড ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথির অভাবে এতদিন কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। জেলাশাসক উদ্যোগ নিয়ে এই সমস্যা মেটাতে এবার তথ্য অনুসন্ধানের পরে শিবির করে কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে শবরদের আর সরকারি অফিসে যেতে হবে না। এলাকায় তাঁদের হাতে কাস্ট সার্টিফিকেট তুলে দেবেন প্রশাসনের আধিকারিক ও কর্মীরা।
এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্যও গ্রামে শিবির করার উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। গতবছর থেকে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় শবরদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়। গতবছর নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় ১১৭৫ জন শবরের নাম প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৭৫ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এখনও ৬০০ জনের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি। জেলায় এখনও প্রায় দেড় হাজার শবর পরিবারের কাছে কাস্ট সার্টিফিকেট নেই।
অভিযোগ, কাস্ট সার্টিফিকেট না থাকায় লোধা-শবররা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। পড়াশোনার ক্ষেত্রে তারা নিজেদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই শবরদের শিক্ষাগতভাবে এগনোর ক্ষেত্রে এই কাস্ট সার্টিফিকেট খুবই প্রয়োজন। কিন্তু, উপযুক্ত নথির অভাবে তাঁরা এই সার্টিফিকেট করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। অনেকের আবার সরকারি অফিসে গিয়ে সার্টিফিকেট তৈরির ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে। তাই প্রশাসনই এবার শবর অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে দুয়ারে আসছে, যাতে তাঁরা সামাজিকভাবে নানা দিক থেকে মূলস্রোতে আসতে পারে।
সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ৪০ হাজার শবর রয়েছে। এরমধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলায় ১৮ হাজার শবর সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। ঝাড়গ্রাম জেলায় শবরদের উন্নয়নের জন্য গতবছর ডিসেম্বর মাসে ১০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। ওই টাকা বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি, বাড়ি সংস্কার, পরিস্রুত পানীয় জল, স্ব-সহায়ক দলের গোষ্ঠীদের আর্থিক ভাবে স্ব-নির্ভর করার জন্য পশুপালন, স্কিল ডেভলপমেন্ট সহ একাধিক কাজ চলছে।
জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, এখনও কিছু শবর পরিবারের কাস্ট সার্টিফিকেট নেই। তাই শবরদের গ্রামে শিবির করে কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
সংবাদ সৌজন্য – বর্তমান, ১৪/০৭/২০১৯। ছবি – প্রতীকী। 

No comments:

Post a Comment