গ্রামছাড়া এক আদিবাসী পরিবারকে ফেরানোর দাবিতে গত মঙ্গলবার ২৮/০৮/২০১৮ দুপুরে
রামপুরহাটের ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা পাথর শিল্পাঞ্চলের চাদনি গ্রামে অবস্থান-বিক্ষোভ ও মিছিল
করে এলাকার শতাধিক আদিবাসী। মিছিলে ছিলেন বীরভূম আদিবাসী গাঁওতার কনভেনর সুনীল সোরেন।
তিনি বলেন, বাইকা সোরেনের বিরুদ্ধে তোলাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকী তাঁর
বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর সঙ্গে এই আন্দোলনে শামিল হয়েছি।
জানা গিয়েছে, পাথর লোড করতে আসা গাড়ির চালকদের কাছ থেকে জোর করে দীর্ঘদিন ধরে
তোলা আদায় করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তোলা না দেওয়ায় শিল্পাঞ্চলে যাওয়ার রাস্তায় ঠাকুরপুরা
গ্রামের কাছে বাঁশ পুঁতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এলাকার বাসিন্দা বাইকা
সোরেন ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে শিল্পাঞ্চল।
কর্মহীন হন কয়েক হাজার শ্রমিক। মাস তিনেক আগে বাইকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। পরে তিনি
জামিন পান। বাইকার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে
গ্রামছাড়া হন বাইকা ও তাঁর পরিবার। এদিন চাঁদনি গ্রামে অবস্থান-বিক্ষোভে ওই পরিবারকে
গ্রামে ফেরানোর দাবি জানান এলাকার আদিবাসীরা।
বিক্ষোভের জেরে এদিন বিকেলে রামপুরহাট-১-এর বিডিও নীতীশ বালা ও রামপুরহাট থানার
আইসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে বৃহস্পতিবার সবপক্ষকে নিয়ে
এসডিও অফিসে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। বিডিও বলেন, দ্রুত সবপক্ষকে নিয়ে
আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
সৌজন্য
– বর্তমান, দক্ষিণবঙ্গ পাতা, ২৯/০৮/২০১৮।
No comments:
Post a Comment