‘মুক্তিধারা’
প্রকল্পে পূর্ব বর্ধমান জেলার আটটি গ্রামকে মডেল ভিলেজ
হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। কৃষি, উদ্যানপালন,
প্রাণিপালন, মাছ চাষ প্রভৃতি
কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং বেকার যুবক-যুবতীদের আয়ের দিশা দেখানোই মূল
লক্ষ্য। জেলা স্বনিযুক্তি ও স্বনির্ভর দপ্তরের উদ্যোগে মুক্তিধারা প্রকল্পে এই
পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে পুরুষ ও মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পাশাপাশি
বেকার যুবক-যুবতীরাও কাজ করবেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসারদের ওইসব গ্রামে সমীক্ষা
করে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রতিটি দপ্তর থেকে সমীক্ষা করে
রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি মহকুমা থেকে দু’টি করে গ্রামকে মডেল
ভিলেজ তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। জেলায় চারটি মহকুমায় আটটি গ্রামকে প্রথম
পর্যায়ে নির্বাচিত করা হয়েছে। জামালপুর ব্লকের বেড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের সালিমডাঙা, মেমারি-২ ব্লকের বোহার-১ পঞ্চায়েতের মহিষপুর, আউশগ্রাম-১ ব্লকের দিগনগর পঞ্চায়েতের হাটকৃষ্ণপুর, আউশগ্রাম-২ ব্লকের ভাল্কি পঞ্চায়েতের প্রেমগঞ্জ, পূর্বস্থলী-১ ব্লকের দোগাছি পঞ্চায়েতের হরিপুর, মন্তেশ্বর ব্লকের বাঘাসন পঞ্চায়েতের হোসেনপুর, কাটোয়া-১ ব্লকের শ্রীখণ্ড পঞ্চায়েতের শ্রীখণ্ড এবং কাটোয়া-২ ব্লকের পলসোনা
পঞ্চায়েতের রোণ্ডা গ্রামকে মডেল ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ওই আটটি গ্রামকে মডেল ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলার পর আবারও বেশকিছু
গ্রামকে বেছে নেওয়া হবে।
বোহার-১ পঞ্চায়েতের মহিষপুর, বাঘাসনের হোসেনপুর, ভাল্কির প্রেমগঞ্জ,
কাটোয়া-১-এর শ্রীখণ্ড, পলসোনার রোণ্ডা
গ্রামে মাছ চাষে কোনও আগ্রহ নেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের। তবে, বেড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের সালিমডাঙায় ২৫জনকে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু
হয়েছে। দিগনগর পঞ্চায়েতের হাটশ্রীকৃষ্ণপুরে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য দু’বিঘা জমি আছে এবং মৎস্যদপ্তর সেখানে সবরকম সহযোগিতায় প্রস্তুত বলে রিপোর্ট
দিয়েছে। দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের হরিপুরে অবশ্য মাছের খাবার তৈরির প্ল্যান্ট বসানো
হয়েছে এবং ১০৬ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি প্রকল্পের অফিসার ইনচার্জ সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেন, মহিলা ও পুরুষ স্বনির্ভর দল এবং বেকার যুবক-যুবতীরা কৃষি, প্রাণিপালন,
উদ্যানপালন, মাছ চাষ প্রভৃতি
কাজে যুক্ত থাকবেন। উপার্জনের পথ তৈরি করাই মুক্তিধারা প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
বিভিন্ন দপ্তরকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল
ম্যানেজারও এর সঙ্গে যুক্ত। আপাতত চারটি মহকুমা থেকে দু’টি করে গ্রামকে বছে নেওয়া হয়েছে। এভাবেই মডেল ভিলেজ তৈরি করা হবে। প্রতিটি
দপ্তর থেকে সমীক্ষা করে রিপোর্ট জমা করা হয়েছে। সব গ্রামে সমস্ত দপ্তরের কাজ হবে, এমনটা নয়। সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
সৌজন্য – বর্তমান, ২৩/০৮/২০১৮।
No comments:
Post a Comment