Monday, August 6, 2018

নমশূদ্র উন্নয়ন পর্ষদের দাবি নিয়ে নমশূদ্র নেতাদের সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


নমশূদ্র উন্নয়ন পর্ষদের দাবি নিয়ে নমশূদ্র জনগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকেল ৩ টেয় নমশূদ্র বিকাশ পরিষদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়। নবান্ন সূত্রের খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ওই বৈঠক চলে। বৈঠকের পর নমশূদ্র বিকাশ পরিষদ জানায়, তাদের উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের দাবিটি মুখ্যমন্ত্রী বিবেচনা করে দেখবেন বলে তাদের আশ্বাস দিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে সরকার এই ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের অন্য কেউ এ দিন এই ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলেননি।
এ দিন নমশূদ্র বিকাশ পরিষদের কার্যকরী সভাপতি মুকুলচন্দ্র বৈরাগ্য এই সময় সংবাদপত্রকে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের যা আলোচনা হয়েছে, তাতে আমরা খুশি। আশা করছি, সরকার এ বার আমাদের দাবি নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে।
পশ্চিমবঙ্গে নমশূদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা দুকোটির বেশি। নমশূদ্র বিকাশ পরিষদের প্রতিনিধিরা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে অনুযোগের সুরে বলেন, উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হওয়ার ফলে অন্য বহু জনগোষ্ঠীর বিকাশ হয়েছে। তবে নমশূদ্ররা ছবছর ধরে উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের দাবিতে আন্দোলন করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানান, ছোট ছোট জনজাতির জন্য উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে নমশূদ্র জনজাতির মানুষের সংখ্যা প্রচুর। রাজ্যের প্রায় সব জেলায় ওই জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। নমশূদ্র বিকাশ পরিষদের প্রতিনিধিরা তখন জানান, রাজ্যে আদিবাসী ও রাজবংশীদের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে নমশূদ্র উন্নয়ন পর্ষদ গঠনে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, নমশূদ্র উন্নয়ন পর্ষদ গঠন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বর্ষীয়ান কয়েক জন সদস্য ও কয়েক জন সচিবের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তার পরেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
তবে শুধু উন্নয়ন পর্ষদ গঠন নয়, নমশূদ্র বিকাশ পরিষদের দাবি, তফসিলি শংসাপত্র পেতে ১৯৫০ সালের আগে এ দেশে থাকা জমির দলিল জমা করতে বলে রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, তা বাতিল করতে হবে। বিকাশ পরিষদের দাবি, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আনা মাত্রই তিনি বৈঠক চলাকালীন এক সচিবকে টেলিফোন করে অবিলম্বে ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিতে নির্দেশ দেন।
সৌজন্য – এই সময়, ০৭/০৮/২০১৮।

No comments:

Post a Comment