Wednesday, May 2, 2018

মধ্যপ্রদেশে পুলিশের চাকরি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের শরীরে জাতির নাম লিখে দেবার ঘটনায় বিতর্ক।


যত বার দলিত ক্ষত মেটাতে চাইছেন, তত বার ধাক্কা খাচ্ছেন। নতুন ঘটনা ঘটছে, ফের চুপ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরিপ্রার্থীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা চলাকালীন তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত ব্যক্তিদের ছাতিতে এসসি’, ‘এসটিলিখে দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী টুইট করে বলেন, ‘‘জাতপাত নিয়ে বিজেপির শুচিবায়ুগ্রস্ত মনোভাব দেশের ছাতিতে ছুরি মেরেছে। এটি সংবিধানের উপর হামলা। বিজেপি-আরএসএসের এই মানসিকতার জন্যই দলিতের গলায় কখনও কলসি ঝোলানো হয়, কখনও ঝাড়ু বাঁধা হয় কিংবা মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়না।’’
বহুজন সমাজ পার্টি সভানেত্রী মায়াবতী প্রশ্ন তুললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? এ তো অপরাধমূলক মামলা!’’
মধ্যপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঘটনাটি নিয়ে চুপ থাকলেও আজ দিল্লিতে বুদ্ধজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অম্বেডকর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। ঘরোয়া স্তরে বিজেপি বলছে, আসলে কনস্টেবল পদে সংরক্ষিত শ্রেণির পদপ্রার্থীরা উচ্চতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসূচকে বিশেষ ছাড় পান। সে কারণেই তাঁদের আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে সেটি অন্য পথেও করা যেত।
গুজরাতের উনাতেই আক্রান্ত দলিত পরিবার-সহ সাড়ে চারশো জন আজ সম্মান’-এর জন্য বৌদ্ধ ধর্ম নিয়েছেন। গুজরাতেরই স্পিকার জ্ঞানীবলে অম্বেডকরকে ব্রাহ্মণবলেছেন। নরেন্দ্র মোদীকেও ব্রাহ্মণআখ্যা দিয়েছেন। বিজেপির এক নেতার হতাশা, ‘‘এত বড় দল, কত জনকে কোথায় কী ভাবে সামাল দেওয়া যায়? আর সব কথাতে প্রধানমন্ত্রী কী করে বিবৃতি দেন?’’
কংগ্রেসের অভিযোগ, এটা আসলে মানসিকতার প্রশ্ন। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই এর বাড়বাড়ন্ত।
সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, ১ মে, ২০১৮।

No comments:

Post a Comment