খড়্গপুর: আসন সংরক্ষণের কারণে এবার খড়্গপুর মহকুমা থেকে নির্বাচিত জেলা
পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা আর পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। সংরক্ষিত হয়েছে সহ
সভাধিপতির আসনও। মহকুমার মাত্র দু’টি আসন সাধারণের জন্য
আছে। একটি খড়্গপুর-২ ব্লকে ও অপরটি সবং ব্লকে। বাকি সব আসনই মহিলা, এসসি,
এসটি, ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত
হয়ে গিয়েছে। সংরক্ষণের খসড়া তালিকা পেয়ে মাথায় হাত পড়েছে নেতাদের। কারণ জেলা
পর্যায়ের অনেক নেতাই এবার আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।
এই মহকুমা থেকে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি
অজিত মাইতি। তাঁর পিংলা ব্লকের আসনটি এবার সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। চার কর্মাধ্যক্ষ
নির্মল ঘোষ,
শৈবাল গিরি, সূর্য অট্ট ও
অমূল্য মাইতির আসনও সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। নির্মলবাবু আবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা
কার্যকরী সভাপতিও। সংরক্ষিত হয়েছে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন
সভাপতি তথা মানস ভুঁইয়ার ভাই বিকাশ ভুঁইয়ার আসনটিও। সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি
তথা নব্য তৃণমূল নেতা অমল পাণ্ডার আসনটিও সংরক্ষণের আওতায় পড়েছে। সবং তৃণমূল
সূত্রে খবর,
ব্লকের তিনটি আসনের মধ্যে সিপিএমের রীতা জানার আসনটি
সংরক্ষণের আওতা থেকে বাদ আছে। বাকি দু’টি এসসি ও এসটির জন্য
সংরক্ষিত হয়েছে। নির্মলবাবু বলেন, ডেবরা ব্লকের তিনটি আসনই
সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। শৈবালবাবু বলেন, দাঁতন-২ ব্লকের
সব আসনই সংরক্ষিত হয়েছে। সূর্যবাবু বলেন, নারায়ণগড়ের তিনটি
আসনই সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। পিংলা ব্লকেরও একই অবস্থা। এই ব্লকগুলি থেকেই সহ
সভাধিপতি ও এই চারজন কর্মাধ্যক্ষ জয়ী হয়েছেন।
দু’টি আসন সংরক্ষণের আওতার বাইরে থাকায় খড়্গপুর-২ থেকে অজিত মাইতি এবং অমূল্য
মাইতির সবং থেকে প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা থেকে যাচ্ছে। যদিও সবংয়ে মানসবাবুর ভাই
বিকাশবাবুও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থেকে যাবেন। নতুন প্রার্থী জোগাড় করতে এখন
চিন্তায় পড়েছে দল।
সৌজন্য – বর্তমান পত্রিকা, ১৭/১১/২০১৭।
No comments:
Post a Comment