ব্যক্তির উপর রাগ থাকতে পারে। কিন্তু, সরকারের উপর রাগ
করবেন না। সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। গত শনিবার ০৮/১২/২০১৮ ঝাড়গ্রাম শহরে কুমুদ
কুমারী ইনস্টিটিউশনের মাঠে জেলা প্রাথমিক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে
একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের যে গতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনেছেন, যদি কোথাও মনে হয়,
অসুবিধা হচ্ছে তাহলে আমাদের জানাবেন। আমরা আপনাদের পাশে
থাকব। কেউ অভিমান করবেন না। জঙ্গলমহলকে নতুন করে যারা অশান্ত করার চেষ্টা করছে, সমবেতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতিহত করুন।
শিক্ষামন্ত্রী এদিন জানান, এই অঞ্চলে অর্থনৈতিকভাবে
পিছিয়ে পড়া মানুষ ও আদিবাসী ভাইবোনদের জন্য ব্রিট্রিশ কাউন্সিলের সঙ্গে যৌথ
উদ্যোগে ইংরেজি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা যাতে সর্বভারতীয় বিভিন্ন
প্রতিযোগিতায় সমানভাবে অংশ নিতে পারেন এজন্য এই উদ্যোগ। প্রাথমিক শিক্ষায় পড়ুয়াদের
জন্য সরকার অনেক কিছু করছে। জুতো, পোষাক, বইখাতা,
ব্যাগ সব দেওয়া হয়েছে। বড়দেরও সাইকেল ও বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
যেখানে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে, তা মিটে যাবে বলে আশ্বাস
দেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন,
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা নিয়ে দু’টো মিটিং করেছি। আমি বলেছি, ছাত্রছাত্রী অনুপাতে
শিক্ষকদের মনোনীত করতে হবে। পড়ুয়াদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিয়মিত ক্লাস করো। শিক্ষক-শিক্ষিকরা আছেন অথচ তোমরা স্কুলে যাচ্ছ না, এটা দেখলে তোমাদের অভিভাবকরাও লজ্জায় পড়ে যাবেন।
তিনি বলেন,
প্রতিটি স্কুলে পানীয় জল ও শৌচাগার তৈরি নিশ্চিত করতে হবে।
সব দিক থেকে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পড়ুয়ার যেদিকে প্রতিভা রয়েছে তাকে
সেদিকে নিয়ে যেতে হবে। পড়াশোনা ও জ্ঞানের কোনও বিকল্প নেই। সবার মধ্যে শিক্ষা ও
জ্ঞানের আলো দিতে হবে। তাহলে সে তার নিজেরটা বুঝে নিতে পারবে।
এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা প্রাথমিক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন
শিক্ষামন্ত্রী। রবিবার পর্যন্ত এই খেলা চলবে। জেলার ১৮টি চক্রের ১২৯১টি প্রাথমিক
স্কুল ও ৬২০টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সাড়ে চারশো প্রতিযোগী ২৮টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ
করে। এদিন এক পড়ুয়া মশাল হাতে নিয়ে মাঠ পরিক্রমা করার পর শিক্ষামন্ত্রীর হাতে সেটি
তুলে দেয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি কোনও বাচ্চাকে হাতে
মশাল নিয়ে এতটা দৌড়াতে দেখিনি। ওই বাচ্চাকে সাহায্য করা হোক। যেন কোনও রকম
কার্পণ্য করা না হয়। আমি এই প্রথম জেলাস্তরীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগদান করলাম।
উৎসাহের সঙ্গে বার্ষিক ক্রীড়া প্রমাণ করছে জঙ্গলমহল শান্ত।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক আয়েষা রানি এ, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সচিব শুভাশিস মিত্র, ঝাড়গ্রাম সংসদ সদস্য উমা সরেন, জেলা পরিষদের
সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস সহ জেলার বিধায়ক ও শিক্ষিক-শিক্ষিকারা। কুমুদ কুমারী
ইনস্টিটিউশনের বিল্ডিং নির্মাণ করার আশ্বাস দেন তিনি।
সৌজন্য
– বর্তমান পত্রিকা, ০৯/১২/২০১৮।
No comments:
Post a Comment