Tuesday, December 4, 2018

নদিয়া জেলায় পুলিশ লক-আপে আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ।

নদিয়া জেলায় পুলিশ লক-আপে আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে চাকদহ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের চিঠি দিয়েছে নদিয়া জেলা আদিবাসী সংগঠন। তার পরই তদন্ত শুরু করেন কল্যাণীর এসডিপিও। গত বুধবার ২৮/১১/২০১৮ আদিবাসীদের ডেকে পাঠান কল্যাণীর এসডিপিও। তাদের বক্তব্য নথিভুক্ত করার পাশাপাশি চিকিৎসার নথিপত্র নেওয়া হয়েছে বলে জানান আদিবাসী সংগঠনের নেতারা। তবে, লক-আপে অত্যাচারের কথা অস্বীকার করেছেন পুলিশকর্তারা।
নদিয়া জেলা আদিবাসী সমাজ বিকাশ ও কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, গত সেপ্টেম্বর মাসে ভূমিজ সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চালায় পুলিশ। থানার লক-আপে মেরে এক আদিবাসীর হাত ভেঙে দেওয়া হয়। থানার আইসি জ্যোতির্ময় বোস বিষয়টি আদালতে না-জানানোর জন্য হুমকি দেন। আদিবাসী মহিলাদেরও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছে সংগঠন। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে চাকদহ থানায় নিরীহ গ্রামবাসীদের তিন দিন ধরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। আদালতে পেশ করা হয়নি তাদের। তার রেশ কাটতে না-কাটতেই ফের অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয় এসডিপিওকে। চাকদহ থানার আইসি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘একটা গন্ডগোল হয়েছিল। তাতে ধরপাকড়ের সময় পুলিশকে হেনস্থা করা হয়েছিল। লক-আপে মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।এসডিপিও কল্যাণী সুব্রত কংসবণিক জানান, ‘পুলিশ লক-আপে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।স্থানীয় সাংসদ তাপস মণ্ডল বলেন, ‘ঘটনা সত্যি হলে তা নিন্দনীয়। খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
সৌজন্য - এই সময়, ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮।

No comments:

Post a Comment