উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বিজেপি সমর্থক আদিবাসী কর্মীকে
অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
গত রবিবার ০২/০৬/২০১৯ রাত থেকেই খোঁজ মিলছে না গোপীনাথ
ওরফে গুটিন মূর্মূ নামে এক আদিবাসী যুবকের। গুটিনের স্ত্রী ও পরিবারের দাবি, বিজেপিকে
সমর্থন করার জন্যই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে। বিজেপির এস টি
মোর্চার তরফেও এই ঘটনায় শাসক দলের উপরেই দোষ চাপানো হয়েছে। সংগঠনের দাবি, গুটিনকে অপহরণ করা হয়েছে, আর সেটা করেছে এলাকারই
তৃণমূলের কিছু গুণ্ডা। যদিও অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এই ঘটনা ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বারিদুয়ারি এলাকায়। পুলিশ ও
স্থানীয় সূত্রে খবর,
গোপীনাথ মূর্মূ নামে ওই যুবক রায়গঞ্জ শহরের কাছে বারিদুয়ারি এলাকায়
একটি কারখানায় ড্রাইভারের কাজ করতেন। রবিবার সন্ধে ৭টা নাগাদ ডিউটি শেষ করে বাইরে
আসতেই ৬-৭ জন যুবক আচমকাই তাঁর উপর চড়াও হয়। অভিযোগ, তাঁকে
বেধড়ক মারধর করে বাইকে উঠিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
গোপীনাথ ওরফে গুটিনের স্ত্রী সনকা মার্ডি জানিয়েছেন, ঘটনার
দিনই বিকেলে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেয় দুর্গা হেমব্রম নামে এক স্থানীয় যুবক।
তার সঙ্গে আরও জনা সাত যুবক ছিল। সনকার কথায়, “বাড়িতে ঢুকেই
ওরা আমার স্বামীর খোঁজ করছিল। কারখানায় আছে শুনে বেরিয়ে গেল। যাওয়ার আগে বলে গেল
আমাদের উচিত শিক্ষা দেবে।” এর পর থেকেই গুটিনের আর কোনও খোঁজ
মিলছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুবকের পরিবারের দাবি, রবিবার অনেক রাতে অজানা নম্বর
থেকে একটি ফোন আসে। সেখানে বলা হয় গুটিনকে অপহরণ করে রাখা হয়েছে। এর পরই ফোন কেটে
যায়। গুটিনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরেও বার বার ফোন করা হয়েছে, সেই নম্বরও বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিজেপির এস টি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বাবলু সোরেন বলেছেন, “দুর্গা হেমব্রম নামের ওই যুবক এলাকায় শাসকদলের দুষ্কৃতী বলে পরিচিত। সে
তার দলবল নিয়ে রবিবার ওই কারখানার গেট থেকেই গোপীনাথকে মারধোর করার পরে অপহরণ করে।
অপহৃত ওই যুবক এলাকায় একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী। বিজেপি করার অপরাধেই তাকে শাসকদল
অপহরন করেছে।” তিনি আরও বলেন, পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া
হয়েছে। তার মধ্যে ওই যুবককে উদ্ধার করা না গেলে এলাকার সমস্ত আদিবাসীদের নিয়ে
অভিযান চালানো হবে।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃনমূল নেতা তথা রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত
সমিতির সহ সভাপতি মানষ ঘোষ বলেছেন, “আমাদের
দলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই এলাকায় বিজেপিই শক্তিশালী। এই ঘটনা
পুরোপুরি ওই যুবকের পারিবারিক বিষয়। বিজেপি এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা
করছে।’’
সংবাদ
সৌজন্য – দ্য ওয়াল, জুন ৩, ২০১৯।
No comments:
Post a Comment