ভাতারে আদিবাসী শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক অভিযুক্ত পড়শি যুবক।
এক আদিবাসী শিশুকন্যাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ি
থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শি এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত রবিবার (১৮/০৭/২০২১)
রাতে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেন এলাকার লোকজন। সোমবার ভোরে
ওই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে
আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাড়ে ছ’বছরের ওই আদিবাসী মেয়েটির
বাড়ি ভাতারের খেরুর গ্রামে। তার মা-বাবা দু’জনেই জনমজুরির কাজ করেন। তাঁদের আরও দুই
কন্যাসন্তান রয়েছে।
নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে, রবিবার রাতে মেয়েদের
ঘুম পাড়িয়ে এলাকার এক গৃহস্থের বাড়িতে মজুরির টাকা চাইতে গিয়েছিলেন শিশুটির মা। ঘটনার
সময় বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন মেয়েটির বাবা। অভিযোগ, ওই ঘুমন্ত শিশুটিকে মুখে কাপড় চাপা
দিয়ে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তীর্থ বাগ ওরফে লাদেন নামে এলাকার এক যুবক। এর পর
শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী খাল পাড়ের একটি সাবমার্সিবল পাম্পের কাছে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ
করে লাদেন বলে অভিযোগ।
শিশুটির মা মজুরির টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরে তাঁর
মেয়েকে দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরিবারের দাবি, সারা গায়ে কাদামাখা
এবং প্রচণ্ড অসুস্থ অবস্থায় রবিবার রাত প্রায় ১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসে শিশুটি। এর
পর সে জানায়, খালপাড়ে একটি সাবমার্সিবল পাম্পের কাছে নিয়ে গিয়ে তার উপর অকথ্য অত্যাচার
করেছে তীর্থ।
ঘটনার কথা শুনে তীর্থর খোঁজ শুরু হয়। সোমবার
ভোরে অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পর সোমবার সকালে পুলিশ গ্রামে গিয়ে
আটক করে আনে ২২ বছরের অভিযুক্তকে। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে
জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় পর ভাতার থানায় যান আদিবাসী সংগঠনের কর্মকর্তারা। তীর্থর
বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
তথ্য সুত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৯ জুলাই ২০২১।
No comments:
Post a Comment