Friday, June 1, 2018

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক পদাধিকারী তালিকা।


আগামী তিন বছরের (২০১৮-২০২০) জন্য ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক পদাধিকারী তালিকা প্রকাশিত হল।
1.      কেন্দ্রীয় সভাপতি – দিশম গুরু শিবু সরেন,
2.     কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি – শ্রী হেমন্ত সরেন,
3.     কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি – হাজি হুসেন আনসারি, শ্রী চম্পাই সরেন, শ্রীমতী রুপি সরেন, প্রোফেসর স্টিফেন মারান্ডি, শ্রী নলিন সরেন, শ্রী মথুরা প্রসাদ মাহাত, শ্রী বিজয় হাঁসদা, শ্রীমতী সবিতা মাহাত, শ্রী শশাঙ্ক শেখর ভক্তা।
4.     কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক – শ্রী বিজয় কুমার সিং, শ্রী বিনোদ কুমার পাণ্ডে, শ্রী সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, শ্রীমতী সীতা সরেন, শ্রী জগন্নাথ মাহাত, শ্রী ফাগু বেসরা, শ্রী মোহন কর্মকার, শ্রী দীপক বিরুয়া, শ্রী লোবিন হেমরম, শ্রী সুদিব্য কুমার সোনু, শ্রী সন্তোষ রনবার, শ্রী জয়প্রকাশ ভাই প্যাটেল, শ্রী মিথিলেশ কুমার ঠাকুর, শ্রী বাবুলাল সোরেন।
5.     কেন্দ্রীয় সম্পাদক – শ্রী অকিল আখতার, শ্রী পঙ্কজ মিশ্রা, শ্রী যোগেন্দ্র মাহাত, শ্রী সঞ্জীব বেদিয়া, শ্রীমতী জবা মাঝি, শ্রী নন্দকিশোর মেহতা, শ্রী রাজু গিরি, শেখ বদ্রুদ্দিন, শ্রী গনেশ চৌধুরী, ডাঃ শশিভূষণ মেহতা।
6.     কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ – শ্রী রবি কেজরিবাল।
7.     কেন্দ্রীয় যুব সংগঠন সভাপতি – শ্রী বসন্ত সরেন।
8.     কেন্দ্রীয় মহিলা সংগঠন সভানেত্রী – শ্রীমতী মহুয়া মাঝি।
9.     কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু সংগঠন সভাপতি – হিদায়াতুল্লা খান।
10.   কেন্দ্রীয় বুদ্ধিজীবী সংগঠন সভাপতি – ডাঃ জাবেদ আহমেদ।
11.    কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি সদস্যগণ – শ্রী সঞ্জীব কুমার, শ্রীমতী সুমন মাহাত, শ্রী রবীন্দ্রনাথ মাহাত, শ্রী নিরল পূর্তি, শ্রী চামরা লিন্ডা, শ্রী দশরথ গাগরাই, শ্রী শশিভূষণ সামাহ, শ্রী অমিত মাহাত, শ্রী রোডিয়া সরেন, শ্রী প্রমোদ লাল, ডাঃ কমল নয়ন সিংহ, শ্রী অশোক মণ্ডল, শ্রী পরেশ মারান্ডি, শ্রী বিট্টু মুরমু, শ্রী পবন কুমার, শ্রী সতিরমন সিং, শ্রী মহেশ চন্দ্র হেমরম, শ্রী সাদিয়ন আইন্দ, নিজামুদ্দিন আনসারি।

আদিবাসীদের মন ফিরে পেতে আদিবাসী সম্মেলন করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।


জঙ্গলমহলের সমস্যাবুঝতে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার আদিবাসী মানুষদেরকে নিয়ে সম্মেলন করতে চাইছে তৃণমূল। দলের মাথা-মুরুব্বিআর জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে স্থানীয় সংগঠনকে জড়িয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করতে চাইছে দলীয় নেতৃত্ব। আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে প্রস্তাবিত এই সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীকে রাখার কথাও ভেবেছেন দলীয় নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর দলীয় স্তরে মানুষের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির খোঁজখবর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন পরিবারের কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া উচিত ছিল অথচ পায়নি এবং কেন পায়নি, তা নির্দিষ্ট করে জানতে বলা হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বকে। প্রাথমিক খোঁজখবরে দলের রাজ্য নেতৃত্ব বুঝেছেন, এই প্রকল্পগুলির সুযোগ যাঁদের প্রাপ্য সব ক্ষেত্রে তাঁদের দেওয়া যায়নি। আর যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদেরও বিস্তর হয়রানি পেরোতে হয়েছে। তাই ঝাড়গ্রামের সব ব্লক সভাপতিকে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার সব বাড়িতে পৌঁছতে। একেবারে নাম-ঠিকানা ধরে জানতে বলা হয়েছে, রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলি আদৌ জনমুখী করা গিয়েছে কি না। এই তথ্য পাওয়ার পরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় নেতৃত্ব। অন্তর্ঘাতের কিছু অভিযোগ রয়েছে। তবে তাতে হাত দিয়ে ক্ষত বাড়াতে চাইছে না তৃণমূল।
শুধু ঝাড়গ্রাম নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা জঙ্গলমহলেই ফল খারাপ হয়েছে তৃণমূল। তাই এই একই পথ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার একাংশের জন্যে। স্থানীয় এক নেতার কথায়, ‘‘কিছু জায়গায় দলের সাংগঠনিক ক্ষতি গুরুতর। লোকসভা ভোটের আগে তা পূরণ করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা ভাবা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, পার্থের সঙ্গে আলোচনায় ঝাড়গ্রামের কয়েক জন ঝাড়গ্রামের দলীয় কাজকর্মের সঙ্গে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারীকে চেয়েছেন। তাঁদের দাবি, জঙ্গলমহলের রাজনীতির সঙ্গে শুভেন্দুর পরিচয় দীর্ঘ দিনের। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও যে কয়েকটি কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন, তাতে ভাল সাড়া ছিল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কে, কোথায় সংগঠন দেখবেন, তা ঠিক করেন নেত্রী। তবে স্থানীয় রাজনীতির সম্পর্কে অভিজ্ঞ কোনও নেতাকে যাতে বেশি সময়ের জন্য পাওয়া যায়, দল তা দেখবে।’’ ফল পর্যালোচনা করে ঝাড়গ্রামে গিয়ে দলের খামতি বোঝার চেষ্টা করেছেন পার্থ। স্থানীয় সংগঠন ও নেতৃত্ব সম্পর্কে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি রিপোর্ট দিচ্ছেন তিনি।
সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, ২ জুন, ২০১৮।